বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ আজ ৩০ সেপ্টেম্বর, সারাদেশে পালিত হচ্ছে কন্যা শিশু দিবস। আর আন্তর্জাতিক ভাবে পালন করা হয় ১১ অক্টোবর। তবে বিভিন্ন দেশ বিভিন্ন দিনে দিবসটি পালন করে থাকে। বেশ ঘটা করে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে স্ট্যাটাস দিয়েই পালন করছেন অনেকে।
তবে এত এত দিবসের ভিড়ে কেন যুক্ত করা হলো কন্যা শিশু দিবস। ঢাক পিটিয়ে কি দরকার এই দিবস পালনের। একটি দিন শুধু কন্যা শিশুদের জন্য উতসর্গ করা।
এমন প্রশ্ন মাথায় ঘুরছে অনেকেরই। সারাবিশ্বেই অনেকগুলো কারণে কন্যা শিশুরা বেশ অবহেলিত। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, মর্যাদা, ভালোবাসা প্রায় বলতে গেলে সব দিক থেকেই বঞ্চিত তারা। শুধু যে আমাদের দেশের চিত্র এমন তা কিন্তু নয়। সারাবিশ্বেই কোনো না কোনো জায়গায় প্রতি মুহূর্তে অবহেলার শিকার হচ্ছে কন্যা শিশু।
পরিবার ছাড়াও সামাজিকভাবেও তারা হচ্ছে নানাভাবে নির্যাতিত। মূলত মেয়েদের শিক্ষার অধিকার, পরিপুষ্টি, আইনি সহায়তা ও ন্যায় অধিকার, চিকিৎসা সুবিধা ও বৈষম্য থেকে সুরক্ষা, নারীর বিরুদ্ধে হিংসা ও বলপূর্বক বাল্যবিবাহ বন্ধে কার্যকর ভূমিকা পালনের লক্ষ্যে এ দিবসের সূচনা হয়। পৃথিবীজুড়ে লিঙ্গ বৈষম্য দূর করতে ২০১২ সালের ১১ অক্টোবর প্রথম এ দিবসটি পালন করা হয়। জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলো প্রতিবছর এ দিবসটি পালন করে থাকে।
কানাডা প্রথম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবস পালনের প্রস্তাব দেয়। পরে ২০১১ সালের ১৯ ডিসেম্বর তারিখে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় এ প্রস্তাব গৃহীত হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০১২ সালের ১১ অক্টোবর প্রথম আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবস পালন করা হয়। প্রথম আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল ‘বাল্য বিবাহ বন্ধ করা।’
কন্যাশিশুদের শিক্ষার অধিকার, স্বাস্থ্য, পুষ্টি, আইনি সহায়তা ও ন্যায় অধিকার, চিকিৎসা, বৈষম্য থেকে সুরক্ষা, বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে কার্যকরী ভূমিকা পালনের উদ্দেশে এ দিবসের সূচনা হয়। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারিত হয়েছে‘শিশুর সঙ্গে শিশুর তরে বিশ্ব গড়ি নতুন করে’। বাংলাদেশে জাতীয় কন্যা শিশু দিবসের প্রতিপদ্য ‘আমরা সবাই সোচ্চার, বিশ্ব হবে সমতার’।
এদিকে বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ উপলক্ষে ঢাকায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমিসহ দেশব্যাপী নানা ধরনের কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। আজ বিভিন্ন আয়োজন ও আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে দেশে দিবসটি পালিত হবে। এর মধ্যে রয়েছে, ৫ অক্টোবর থেকে ১১ অক্টোবর সপ্তাহব্যাপী শিশুর সুরক্ষা, বিকাশ ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিষয়ভিত্তিক কর্মসূচি অনলাইনে পালন করা হবে। এমনকি সারাবিশ্বে এবার মহামারির কারণে অনলাইনেই পালিত হয়েছে কন্যা দিবস। কন্যা শিশুদের প্রতি বৈষম্য দেখানো চলবে না। তাদের নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে ইত্যাদি আহ্বান থাকবে বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতায়।