ঢাকা , শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশ্ব শিক্ষক দিবস আজ, শুরুটা হয় যেভাবে

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ আজ ৫ অক্টোবর বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে শিক্ষক দিবস। ১৯৯৪ সালে ইউনেস্কোর ২৬ তম অধিবেশনে গৃহীত সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে ইউনেস্কো মহাপরিচালক ড. ফ্রেডারিক এম মেয়রের যুগান্তকারী ঘোষনার মাধ্যমে ৫ অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালনের শুভ সূচনা করা হয়।

এরপর ১৯৯৫ সালের  ৫ অক্টোবর থেকে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর অনেক দেশেই যথাযোগ্য মর্যাদায় বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত হয়ে আসছে । এটি সারা দেশ বিদেশে ‘শিক্ষক’ পেশাজীবিদের  জন্য সেরা সম্মান। পরবর্তী প্রজন্ম ও যাতে কার্যকরী ও যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে এই দিনটি পালন করে সেটাও উদ্দেশ্য।

দিবসটি  শিক্ষকদের অবদান স্মরণ করার জন্য পালন করা হয়। বিশ্বের ১০০ টি দেশে এই দিবসটি  পালিত হয়ে থাকে। এই দিবসটি  পালনে এডুকেশন ইন্টারন্যাশনাল ও তার সহযোগী ৪০১ টি সদস্য সংগঠন মূল ভূমিকা রাখে।

এডুকেশন ইন্টারন্যাশনাল মনে করে জাতীয় স্তরে সমগ্র বিশ্বেই একটি বিশেষ দিনকে স্বীকৃতি দেয়া জরুরী ; যেটি সমাজ সংস্কার শিক্ষায় শিক্ষকদের উপযুক্ত মান্যতা দান করার যোগ্য দিন।  শিক্ষকরা হচ্ছেন মানুষ গড়ার কারিগর। শুরু থেকে বাংলাদেশ এ দিবসটি পালন করে আসছে।

যদিও সরকারিভাবে এখনবোধি দিবসটি উদযাপিত হয়নি। বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠন দিবসটি পালন করে থাকে। ইউনেস্কোর মতে, ‘বিশ্ব শিক্ষক দিবস’শিক্ষা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে শিক্ষকদের অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে পালন করা হয়।

তবে আমাদের দেশে এখনো কিছু কিছু ক্ষেত্রে  শিক্ষকতাকে এখনো পেশা হিসেবে দেখার মানসিকতা তৈরী হয়ে উঠেনি। রাষ্ট্র এখনো শিক্ষকতাকে ‘ব্রত’ হিসেবে দেখতে চায়। ব্যক্তিগত জীবনে শিক্ষকরা যেমনই থাকুক, প্রতিবছর অসাধারণ সব প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে ‘বিশ্ব শিক্ষক দিবস’উদযাপিত হয়।

২০১৭ সালে এ দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘স্বাধীনভাবে পাঠদান, শিক্ষক হবেন ক্ষমতাবান’২০১৮ সালে এ দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল “শিক্ষার অধিকার মানেই একজন যোগ্য শিক্ষকের অধিকার“। ২০১৯ সালে এ দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘তরুন শিক্ষক, পেশার ভবিষ্যত’। ২০২০ সালে ও এ দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় ” শিক্ষক: সংকটে নেতৃত্ব, নতুন করে ভবিষ্যতের ভাবনা”।

তবে ভারতে এই দিবসটি পালিত হয় ৫ সেপ্টেম্বর। ভারতের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি ও দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি তথা প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ ড. সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণণের জন্মজয়ন্তী ৫ সেপ্টেম্বর। সেদিনই শিক্ষক দিবস পালন করা হয়। পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ গড়ার উদ্দেশে শিক্ষকদের অবদানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জাহিরের জন্যই এই দিনটি শিক্ষক দিবস হিসেবে পালিত হয়।

ড. সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ ছিলেন ভারতের প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ, ভারতরত্ন  উপাধিপ্রাপ্ত, ১ম উপরাষ্ট্রপতি এবং ২য় রাষ্ট্রপতি ১৯৬২ সালে ড. সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ ভারতের রাষ্ট্রপতি পদে আসীন হয়েছিলেন। শোনা যায়, কয়েকজন ছাত্র, বন্ধুবান্ধব প্রখ্যাত শিক্ষাবিদের জন্মদিন পালন করতে চেয়েছিলেন। সেই সময় রাধাকৃষ্ণণ জানিয়েছিলেন, তার জন্মদিন আলাদাভাবে পালন না করে সেই দিনটি দেশের সব শিক্ষকের জন্য পালন করা হলে তিনি গর্ববোধ করবেন।

এই আবেদন শিক্ষকদের প্রতি তার ভালোবাসা ও সম্মানকেই প্রকাশ করে। তাই ১৯৬২ সালের ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ড. সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণের জন্মদিন শিক্ষক দিবস হিসেবে পালন করা হতে থাকে। তিনি বিশ্বাস করতেন, দেশের সর্বশ্রেষ্ঠ বুদ্ধিসম্পন্ন ব্যক্তিদেরই শিক্ষক  হওয়া উচিত। ড. সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণের বাবা তার ইংরেজি শিক্ষা ও স্কুল যাওয়ার বিরোধী ছিলেন। ডঃ রাধাকৃষ্ণণের বাবা চেয়েছিলেন, ছেলে পুরোহিত হোক।
মেধাবী ডঃ রাধাকৃষ্ণণ নিজের অধিকাংশ পড়াশোনাই ছাত্রবৃত্তির সাহায্যে পুরো করেছিলেন।

ড. রাধাকৃষ্ণণ পড়ুয়াদের মধ্যে এতটাই জনপ্রিয় ছিলেন যে, তার কলকাতা যাওয়ার সময় তাকে ফুলে সাজানো গাড়িতে করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রেল স্টেশন পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। প্রখ্যাত অধ্যাপক এইচ. এন. স্পেলডিঙ্গ ড. রাধাকৃষ্ণণের ভাষণের এতটাই প্রভাবিত হয়েছিলেন যে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে তার জন্য চেয়ার স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। শিক্ষাক্ষেত্রে অভূতপূর্ব যোগদানের জন্য ১৯৩১ সালে ব্রিটিশ সরকার তাকে নাইট উপাধিতে ভূষিত করে।

শিক্ষক দিবস সম্পর্কে কিছু জানা-অজানা তথ্য:

৫ অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবস হিসেবে পালিত হয়। জার্মানি, ইংল্যান্ড, রাশিয়া, রোমানিয়া, সার্বিয়ার মতো কয়েকটি দেশে সেই দিনে শিক্ষক দিবস পালন করা হয়। তাছাড়া বিশ্বের ১০০টিরও বেশি দেশে পৃথক পৃথক তারিখে শিক্ষক দিবস পালিত হয়। ২৮ ফেব্রুয়ারি শিক্ষক দিবস পালিত হয় লিবিয়া, মরক্কো, আলজেরিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মতো দেশে।শিক্ষকদের অবদানকে সম্মান জানাতে ১৯৯৪ সাল থেকে ৫ অক্টোবর ‘বিশ্ব শিক্ষক দিবস’ পালন শুরু করে ইউনেস্কো।

১৯৪৪ সালে আমেরিকার মৈটে ওয়ায়েটে উডব্রিজ সর্বপ্রথম শিক্ষক দিবসের পক্ষে সওয়াল করেন। পরে ১৯৫৩ সালে মার্কিন কংগ্রেস তাতে সায় দেয়। ১৯৮০ সাল থেকে ৭ মার্চ শিক্ষক দিবস হিসেবে পালন করা শুরু হয়। কিন্তু পরে মে মাসের প্রথম মঙ্গলবার এটি পালিত হতে থাকে। সিঙ্গাপুরে সেপ্টেম্বরের প্রথম শুক্রবার শিক্ষক দিবস হিসেবে পালিত হয়। আফগানিস্তানে ৫ অক্টোবরই এই দিনটি পালিত হয়।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

বিশ্ব শিক্ষক দিবস আজ, শুরুটা হয় যেভাবে

আপডেট টাইম : ০৫:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ অক্টোবর ২০২০

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ আজ ৫ অক্টোবর বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে শিক্ষক দিবস। ১৯৯৪ সালে ইউনেস্কোর ২৬ তম অধিবেশনে গৃহীত সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে ইউনেস্কো মহাপরিচালক ড. ফ্রেডারিক এম মেয়রের যুগান্তকারী ঘোষনার মাধ্যমে ৫ অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালনের শুভ সূচনা করা হয়।

এরপর ১৯৯৫ সালের  ৫ অক্টোবর থেকে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর অনেক দেশেই যথাযোগ্য মর্যাদায় বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত হয়ে আসছে । এটি সারা দেশ বিদেশে ‘শিক্ষক’ পেশাজীবিদের  জন্য সেরা সম্মান। পরবর্তী প্রজন্ম ও যাতে কার্যকরী ও যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে এই দিনটি পালন করে সেটাও উদ্দেশ্য।

দিবসটি  শিক্ষকদের অবদান স্মরণ করার জন্য পালন করা হয়। বিশ্বের ১০০ টি দেশে এই দিবসটি  পালিত হয়ে থাকে। এই দিবসটি  পালনে এডুকেশন ইন্টারন্যাশনাল ও তার সহযোগী ৪০১ টি সদস্য সংগঠন মূল ভূমিকা রাখে।

এডুকেশন ইন্টারন্যাশনাল মনে করে জাতীয় স্তরে সমগ্র বিশ্বেই একটি বিশেষ দিনকে স্বীকৃতি দেয়া জরুরী ; যেটি সমাজ সংস্কার শিক্ষায় শিক্ষকদের উপযুক্ত মান্যতা দান করার যোগ্য দিন।  শিক্ষকরা হচ্ছেন মানুষ গড়ার কারিগর। শুরু থেকে বাংলাদেশ এ দিবসটি পালন করে আসছে।

যদিও সরকারিভাবে এখনবোধি দিবসটি উদযাপিত হয়নি। বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠন দিবসটি পালন করে থাকে। ইউনেস্কোর মতে, ‘বিশ্ব শিক্ষক দিবস’শিক্ষা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে শিক্ষকদের অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে পালন করা হয়।

তবে আমাদের দেশে এখনো কিছু কিছু ক্ষেত্রে  শিক্ষকতাকে এখনো পেশা হিসেবে দেখার মানসিকতা তৈরী হয়ে উঠেনি। রাষ্ট্র এখনো শিক্ষকতাকে ‘ব্রত’ হিসেবে দেখতে চায়। ব্যক্তিগত জীবনে শিক্ষকরা যেমনই থাকুক, প্রতিবছর অসাধারণ সব প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে ‘বিশ্ব শিক্ষক দিবস’উদযাপিত হয়।

২০১৭ সালে এ দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘স্বাধীনভাবে পাঠদান, শিক্ষক হবেন ক্ষমতাবান’২০১৮ সালে এ দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল “শিক্ষার অধিকার মানেই একজন যোগ্য শিক্ষকের অধিকার“। ২০১৯ সালে এ দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘তরুন শিক্ষক, পেশার ভবিষ্যত’। ২০২০ সালে ও এ দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় ” শিক্ষক: সংকটে নেতৃত্ব, নতুন করে ভবিষ্যতের ভাবনা”।

তবে ভারতে এই দিবসটি পালিত হয় ৫ সেপ্টেম্বর। ভারতের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি ও দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি তথা প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ ড. সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণণের জন্মজয়ন্তী ৫ সেপ্টেম্বর। সেদিনই শিক্ষক দিবস পালন করা হয়। পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ গড়ার উদ্দেশে শিক্ষকদের অবদানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জাহিরের জন্যই এই দিনটি শিক্ষক দিবস হিসেবে পালিত হয়।

ড. সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ ছিলেন ভারতের প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ, ভারতরত্ন  উপাধিপ্রাপ্ত, ১ম উপরাষ্ট্রপতি এবং ২য় রাষ্ট্রপতি ১৯৬২ সালে ড. সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ ভারতের রাষ্ট্রপতি পদে আসীন হয়েছিলেন। শোনা যায়, কয়েকজন ছাত্র, বন্ধুবান্ধব প্রখ্যাত শিক্ষাবিদের জন্মদিন পালন করতে চেয়েছিলেন। সেই সময় রাধাকৃষ্ণণ জানিয়েছিলেন, তার জন্মদিন আলাদাভাবে পালন না করে সেই দিনটি দেশের সব শিক্ষকের জন্য পালন করা হলে তিনি গর্ববোধ করবেন।

এই আবেদন শিক্ষকদের প্রতি তার ভালোবাসা ও সম্মানকেই প্রকাশ করে। তাই ১৯৬২ সালের ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ড. সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণের জন্মদিন শিক্ষক দিবস হিসেবে পালন করা হতে থাকে। তিনি বিশ্বাস করতেন, দেশের সর্বশ্রেষ্ঠ বুদ্ধিসম্পন্ন ব্যক্তিদেরই শিক্ষক  হওয়া উচিত। ড. সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণের বাবা তার ইংরেজি শিক্ষা ও স্কুল যাওয়ার বিরোধী ছিলেন। ডঃ রাধাকৃষ্ণণের বাবা চেয়েছিলেন, ছেলে পুরোহিত হোক।
মেধাবী ডঃ রাধাকৃষ্ণণ নিজের অধিকাংশ পড়াশোনাই ছাত্রবৃত্তির সাহায্যে পুরো করেছিলেন।

ড. রাধাকৃষ্ণণ পড়ুয়াদের মধ্যে এতটাই জনপ্রিয় ছিলেন যে, তার কলকাতা যাওয়ার সময় তাকে ফুলে সাজানো গাড়িতে করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রেল স্টেশন পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। প্রখ্যাত অধ্যাপক এইচ. এন. স্পেলডিঙ্গ ড. রাধাকৃষ্ণণের ভাষণের এতটাই প্রভাবিত হয়েছিলেন যে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে তার জন্য চেয়ার স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। শিক্ষাক্ষেত্রে অভূতপূর্ব যোগদানের জন্য ১৯৩১ সালে ব্রিটিশ সরকার তাকে নাইট উপাধিতে ভূষিত করে।

শিক্ষক দিবস সম্পর্কে কিছু জানা-অজানা তথ্য:

৫ অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবস হিসেবে পালিত হয়। জার্মানি, ইংল্যান্ড, রাশিয়া, রোমানিয়া, সার্বিয়ার মতো কয়েকটি দেশে সেই দিনে শিক্ষক দিবস পালন করা হয়। তাছাড়া বিশ্বের ১০০টিরও বেশি দেশে পৃথক পৃথক তারিখে শিক্ষক দিবস পালিত হয়। ২৮ ফেব্রুয়ারি শিক্ষক দিবস পালিত হয় লিবিয়া, মরক্কো, আলজেরিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মতো দেশে।শিক্ষকদের অবদানকে সম্মান জানাতে ১৯৯৪ সাল থেকে ৫ অক্টোবর ‘বিশ্ব শিক্ষক দিবস’ পালন শুরু করে ইউনেস্কো।

১৯৪৪ সালে আমেরিকার মৈটে ওয়ায়েটে উডব্রিজ সর্বপ্রথম শিক্ষক দিবসের পক্ষে সওয়াল করেন। পরে ১৯৫৩ সালে মার্কিন কংগ্রেস তাতে সায় দেয়। ১৯৮০ সাল থেকে ৭ মার্চ শিক্ষক দিবস হিসেবে পালন করা শুরু হয়। কিন্তু পরে মে মাসের প্রথম মঙ্গলবার এটি পালিত হতে থাকে। সিঙ্গাপুরে সেপ্টেম্বরের প্রথম শুক্রবার শিক্ষক দিবস হিসেবে পালিত হয়। আফগানিস্তানে ৫ অক্টোবরই এই দিনটি পালিত হয়।