ঢাকা , শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আগরতলার এক বাড়িতেই ষড়ঋতুর ফুল

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ আধুনিক নাগরিক সভ্যতার কারণে প্রতিদিনই ধ্বংস হচ্ছে প্রাকৃতি ও সবুজ বন। আর এই ধ্বংস স্তুপে গড়ে উঠছে উঁচু উঁচু ইট-কংক্রিটের জঙ্গল।

 তবে অনেকেই আবার এই সুউচ্চ ইমারতগুলির মধ্যে ছায়াসুনিবিড় শান্তির নীড় গড়ে তোলার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

এই ইচ্ছে থেকে জন্ম হয়েছে ছাদকৃষি, ছাদবাগান। অন্যান্য শহরের মতো আগরতলা শহরেও ছোট্ট বাড়ির খালি জায়গাতে ফুল, ফল ও সবজির বাগান করছেন অনেকেই।
আঙ্গিনা বাগানকারীদের মধ্যে আগরতলার অন্যতম একজন হচ্ছেন অরুনেশ দাস। তিনি পেশায় একজন সরকারি কর্মচারী হলেও বাগান করা তার ধ্যান-জ্ঞান। দেশ-বিদেশের ফুল, ফল, পাতাবাহার, অর্কিড ও ক্যাকটাস মিলিয়ে প্রায় ৪০০প্রজাতির গাছ রয়েছে।

আগরতলার এসডিও চৌমুহনী এলাকায় গিয়ে যে কাউকে বাগানবাড়ি কোনটি জিজ্ঞাসা করলে এক মিনিট দেরি না করে দেখিয়ে দেবে বাড়িটি। গেটের সামনে গেলেই প্রথমে দেখা মেলে নানা প্রজাতির ফুলের লতা। এগুলি যেন সবাইকে স্বাগত জানাতেই ওপর থেকে নিচের দিকে ঝুকে রয়েছে। মূল গেট থেকে ঘরে যাওয়ার দূরত্ব ১০০মিটার থেকে সামন্য বেশি পায়ে হেঁটে যাওয়ার রাস্তাটুকু পাকা করা আর বাকি জায়গাজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ফুলের টব, দেশ-বিদেশের নানা প্রজাতির ফুল ফলের গাছ।
অরুনেশ দাস বাংলানিউজকে জানান, তার বাড়িতে গোলাপ রয়েছে প্রায় ১৬০ প্রজাতির, শাপলা ফুল রয়েছে প্রায় ১২ প্রজাতির, জবা রয়েছে প্রায় ২৫ প্রজাতির, এডিনিয়াম গাছ রয়েছে ২০ থেকে ২৫ধরনের, বোগেনভেলিয়া আছে প্রায় ১০রকমের, প্যাসিফ্লোরা রয়েছে ৫রকমের, এছাড়াও নানা প্রজাতির অর্কিড, পাতাবাহার, ক্যাকটাস, নাইট ক্যুইনসহ অগুনতি দেশীয় প্রজাতির ফুল গাছ রয়েছে। এছাড়া ক্লাইমেট রেসিলিয়েন্ট আপেল, হাইব্রিড আমড়া, জাম, মালব্যারী (তুতফল), লাল পেয়ারা, ড্রাগনফল, বিভিন্ন প্রজাতির লেবু গাছ রয়েছে, অর্নামেন্টাল গাছসহ অগুনতি প্রজাতির দেশীয় ফুল ও ফলের গাছ রয়েছে।

এই গাছগুলি কোথা থেকে সংগ্রহ করেন? এর উত্তরে তিনি জানান এগুলি কলকাতা, দিল্লী, পুনে, দেরাদুন, বেঙ্গালুরু, হায়দ্রাবাদসহ দেশে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কিনে আনেন। তিনি গোলাপসহ একাধিক পুস্প প্রেমি সংগঠনের সদস্য, তাই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে ঘুরে ফুল সংক্রান্ত আলোচনাসভা ও কর্মশালায় যোগ দিতেন। এই সব আলোচনাসভাতেও উপহার হিসেবে তিনি অনেক গাছ পেয়ে থাকেন এবং তিনি নিজেও গাছের চারা বিতরণ করেন। তিনি আরো জানান তার বাগানে এমনও অনেক গাছ রয়েছে এগুলি ত্রিপুরা রাজ্যে প্রথম বার লাগানো হয়েছে। তিনি এগুলি নিয়ে রীতিমতো পড়াশোনা ও গবেষণা করছেন। যেমন ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের গড় তাপমাত্র ও জলবায়ু, মাটিতে থাকা খনিজ উপাদানের মাত্রা ভিন্ন ভিন্ন। এই ভিন্ন ভিন্ন প্রকৃতির গাছকে ত্রিপুরার আবহাওয়া পরিবেশে বাঁচিয়ে রাখার জন্য মাটির গঠন গত পরিবর্তন আনতে হয়, যেমন অম্লতা, তাপমাত্রা, পানির পরিমান, আদ্রতা ইত্যাদি। এজন্য তিনি মাটি ও পানির অম্লতা(পি এইচ), মাটির গুণগতমান মাপার আলাদা আলাদা যন্ত্র কিনে এনেছেন। গাছের চাহিদা অনুসারে আলাদা আলাদা টবে মাটির গঠন, পানির মাত্রার চাহিদা অনুসারে এসব প্রয়োগ করেন। মাটির পাশাপাশি তিনি মাটিহীন (সয়েললেস) ও হাড্রোফোনিক (শুধুমাত্র পানিতে) পদ্ধতিতেও ফুল ও ফলের গাছ চাষ করছেন। পরীক্ষমূলক ভাবে তিনি গাছের চাষ করছেন। এর মধ্যে তিনি সিন্ডার (পোড়া কয়লা) ও পানিতে গাছ লাগিয়েছেন। তিনি মূলত গোলাপ ফুলের চাষ করছেন সিন্ডারে। এর সুবিধা হলো এগুলিতে গাছের প্রয়োজন অনুসারে খনিজ উপাদান দেওয়া হয়, ফলে অন্যান্য অপ্রয়োজনীয় উপাদান থাকে না এবং গাছে রোগবালাই হয় না বলেই চলে। এই সুবিধার জন্য ভারতের বিভিন্ন শহরে মাটির বদলে সিন্ডার, বালিসহ অন্যান্য মাধ্যমে গাছ চাষ হচ্ছে। বছরের ৬টি ঋতুতে কম করে ২থেকে ৩প্রজাতির ফুল ফুটে তার বাড়িতে বলেও জানান।
কবে থেকে এমন রকমারি ফুল ও ফলের গাছ লাগানো শুরু করেছেন? জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন গাছ লাগানোর প্রতি আগ্রহ বা গাছের প্রতি আলাদা ভালোবাসা সেই ছোট বেলা থেকেই রয়েছে এবং গত ১৫বছর ধরে গাছ দেশ-বিদেশের গাছ দিয়ে তার বাগানটাকে সমৃদ্ধ করে তোলছেন।

অফিসে কাজ করে গাছ পরিচর্যা করা সময় বের করা সম্ভয় কি করে? প্রতিদিন সকালে তিনি নিজ হাতে গাছগুলির পরিচর্যা করেন। সেই সঙ্গে আরো একজন কর্মী রেখেছেন প্রতিদিন গাছ গুলিকে পরিচর্যা করার জন্য।

এসবের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয় যে বিষয়টি সেটি হল তিনি তার বাগানের উদ্বৃত্ত গাছগুলি সাধারণ মানুষ যারা গাছ ভালোবাসে তাদের মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণ করে থাকেন। আর এই বাগানবাড়ির কথা ছড়িয়ে পড়েছে আগরতলাসহ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা। তাই বিভিন্ন সময় মানুষ এসে ঘুরে দেখেন তার বাগানটি। তাদের প্রত্যেকের হাতে ১, ২টি গাছের চারা উপহার হিসেবে তোলে দেন তিনি। এই জন্য তিনি সব সময় বাড়িতে বিভিন্ন ধরনের গাছের চারা তৈরি করে রাখেন।

তার এই কাজের অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে শহর এলাকায় যে সকল মানুষ বসবাস করছেন তাদেরকে এভাবে বাড়ির আঙ্গিনায় অথবা ছাদে গাছ লাগানোর প্রতি উৎসাহিত করা। তার মতে সমগ্র বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে নাগরিক সভ্যতা। এর ফলে বিশ্বজুড়ে এখন বাড়ছে দূষণের মাত্রা। সাধারণ মানুষ যদি আরো বেশি করে গাছ লাগানোর প্রতি উৎসাহিত হয় তবে কিছুটা হলেও সহজ সবুজ ও নির্মল হবে, সেই সঙ্গে কিছুটা হলেও পরিবেশ দূষণ মুক্ত করা সম্ভব।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

আগরতলার এক বাড়িতেই ষড়ঋতুর ফুল

আপডেট টাইম : ০৪:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ অক্টোবর ২০২০

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ আধুনিক নাগরিক সভ্যতার কারণে প্রতিদিনই ধ্বংস হচ্ছে প্রাকৃতি ও সবুজ বন। আর এই ধ্বংস স্তুপে গড়ে উঠছে উঁচু উঁচু ইট-কংক্রিটের জঙ্গল।

 তবে অনেকেই আবার এই সুউচ্চ ইমারতগুলির মধ্যে ছায়াসুনিবিড় শান্তির নীড় গড়ে তোলার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

এই ইচ্ছে থেকে জন্ম হয়েছে ছাদকৃষি, ছাদবাগান। অন্যান্য শহরের মতো আগরতলা শহরেও ছোট্ট বাড়ির খালি জায়গাতে ফুল, ফল ও সবজির বাগান করছেন অনেকেই।
আঙ্গিনা বাগানকারীদের মধ্যে আগরতলার অন্যতম একজন হচ্ছেন অরুনেশ দাস। তিনি পেশায় একজন সরকারি কর্মচারী হলেও বাগান করা তার ধ্যান-জ্ঞান। দেশ-বিদেশের ফুল, ফল, পাতাবাহার, অর্কিড ও ক্যাকটাস মিলিয়ে প্রায় ৪০০প্রজাতির গাছ রয়েছে।

আগরতলার এসডিও চৌমুহনী এলাকায় গিয়ে যে কাউকে বাগানবাড়ি কোনটি জিজ্ঞাসা করলে এক মিনিট দেরি না করে দেখিয়ে দেবে বাড়িটি। গেটের সামনে গেলেই প্রথমে দেখা মেলে নানা প্রজাতির ফুলের লতা। এগুলি যেন সবাইকে স্বাগত জানাতেই ওপর থেকে নিচের দিকে ঝুকে রয়েছে। মূল গেট থেকে ঘরে যাওয়ার দূরত্ব ১০০মিটার থেকে সামন্য বেশি পায়ে হেঁটে যাওয়ার রাস্তাটুকু পাকা করা আর বাকি জায়গাজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ফুলের টব, দেশ-বিদেশের নানা প্রজাতির ফুল ফলের গাছ।
অরুনেশ দাস বাংলানিউজকে জানান, তার বাড়িতে গোলাপ রয়েছে প্রায় ১৬০ প্রজাতির, শাপলা ফুল রয়েছে প্রায় ১২ প্রজাতির, জবা রয়েছে প্রায় ২৫ প্রজাতির, এডিনিয়াম গাছ রয়েছে ২০ থেকে ২৫ধরনের, বোগেনভেলিয়া আছে প্রায় ১০রকমের, প্যাসিফ্লোরা রয়েছে ৫রকমের, এছাড়াও নানা প্রজাতির অর্কিড, পাতাবাহার, ক্যাকটাস, নাইট ক্যুইনসহ অগুনতি দেশীয় প্রজাতির ফুল গাছ রয়েছে। এছাড়া ক্লাইমেট রেসিলিয়েন্ট আপেল, হাইব্রিড আমড়া, জাম, মালব্যারী (তুতফল), লাল পেয়ারা, ড্রাগনফল, বিভিন্ন প্রজাতির লেবু গাছ রয়েছে, অর্নামেন্টাল গাছসহ অগুনতি প্রজাতির দেশীয় ফুল ও ফলের গাছ রয়েছে।

এই গাছগুলি কোথা থেকে সংগ্রহ করেন? এর উত্তরে তিনি জানান এগুলি কলকাতা, দিল্লী, পুনে, দেরাদুন, বেঙ্গালুরু, হায়দ্রাবাদসহ দেশে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কিনে আনেন। তিনি গোলাপসহ একাধিক পুস্প প্রেমি সংগঠনের সদস্য, তাই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে ঘুরে ফুল সংক্রান্ত আলোচনাসভা ও কর্মশালায় যোগ দিতেন। এই সব আলোচনাসভাতেও উপহার হিসেবে তিনি অনেক গাছ পেয়ে থাকেন এবং তিনি নিজেও গাছের চারা বিতরণ করেন। তিনি আরো জানান তার বাগানে এমনও অনেক গাছ রয়েছে এগুলি ত্রিপুরা রাজ্যে প্রথম বার লাগানো হয়েছে। তিনি এগুলি নিয়ে রীতিমতো পড়াশোনা ও গবেষণা করছেন। যেমন ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের গড় তাপমাত্র ও জলবায়ু, মাটিতে থাকা খনিজ উপাদানের মাত্রা ভিন্ন ভিন্ন। এই ভিন্ন ভিন্ন প্রকৃতির গাছকে ত্রিপুরার আবহাওয়া পরিবেশে বাঁচিয়ে রাখার জন্য মাটির গঠন গত পরিবর্তন আনতে হয়, যেমন অম্লতা, তাপমাত্রা, পানির পরিমান, আদ্রতা ইত্যাদি। এজন্য তিনি মাটি ও পানির অম্লতা(পি এইচ), মাটির গুণগতমান মাপার আলাদা আলাদা যন্ত্র কিনে এনেছেন। গাছের চাহিদা অনুসারে আলাদা আলাদা টবে মাটির গঠন, পানির মাত্রার চাহিদা অনুসারে এসব প্রয়োগ করেন। মাটির পাশাপাশি তিনি মাটিহীন (সয়েললেস) ও হাড্রোফোনিক (শুধুমাত্র পানিতে) পদ্ধতিতেও ফুল ও ফলের গাছ চাষ করছেন। পরীক্ষমূলক ভাবে তিনি গাছের চাষ করছেন। এর মধ্যে তিনি সিন্ডার (পোড়া কয়লা) ও পানিতে গাছ লাগিয়েছেন। তিনি মূলত গোলাপ ফুলের চাষ করছেন সিন্ডারে। এর সুবিধা হলো এগুলিতে গাছের প্রয়োজন অনুসারে খনিজ উপাদান দেওয়া হয়, ফলে অন্যান্য অপ্রয়োজনীয় উপাদান থাকে না এবং গাছে রোগবালাই হয় না বলেই চলে। এই সুবিধার জন্য ভারতের বিভিন্ন শহরে মাটির বদলে সিন্ডার, বালিসহ অন্যান্য মাধ্যমে গাছ চাষ হচ্ছে। বছরের ৬টি ঋতুতে কম করে ২থেকে ৩প্রজাতির ফুল ফুটে তার বাড়িতে বলেও জানান।
কবে থেকে এমন রকমারি ফুল ও ফলের গাছ লাগানো শুরু করেছেন? জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন গাছ লাগানোর প্রতি আগ্রহ বা গাছের প্রতি আলাদা ভালোবাসা সেই ছোট বেলা থেকেই রয়েছে এবং গত ১৫বছর ধরে গাছ দেশ-বিদেশের গাছ দিয়ে তার বাগানটাকে সমৃদ্ধ করে তোলছেন।

অফিসে কাজ করে গাছ পরিচর্যা করা সময় বের করা সম্ভয় কি করে? প্রতিদিন সকালে তিনি নিজ হাতে গাছগুলির পরিচর্যা করেন। সেই সঙ্গে আরো একজন কর্মী রেখেছেন প্রতিদিন গাছ গুলিকে পরিচর্যা করার জন্য।

এসবের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয় যে বিষয়টি সেটি হল তিনি তার বাগানের উদ্বৃত্ত গাছগুলি সাধারণ মানুষ যারা গাছ ভালোবাসে তাদের মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণ করে থাকেন। আর এই বাগানবাড়ির কথা ছড়িয়ে পড়েছে আগরতলাসহ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা। তাই বিভিন্ন সময় মানুষ এসে ঘুরে দেখেন তার বাগানটি। তাদের প্রত্যেকের হাতে ১, ২টি গাছের চারা উপহার হিসেবে তোলে দেন তিনি। এই জন্য তিনি সব সময় বাড়িতে বিভিন্ন ধরনের গাছের চারা তৈরি করে রাখেন।

তার এই কাজের অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে শহর এলাকায় যে সকল মানুষ বসবাস করছেন তাদেরকে এভাবে বাড়ির আঙ্গিনায় অথবা ছাদে গাছ লাগানোর প্রতি উৎসাহিত করা। তার মতে সমগ্র বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে নাগরিক সভ্যতা। এর ফলে বিশ্বজুড়ে এখন বাড়ছে দূষণের মাত্রা। সাধারণ মানুষ যদি আরো বেশি করে গাছ লাগানোর প্রতি উৎসাহিত হয় তবে কিছুটা হলেও সহজ সবুজ ও নির্মল হবে, সেই সঙ্গে কিছুটা হলেও পরিবেশ দূষণ মুক্ত করা সম্ভব।