ঢাকা , শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হুর নেমে এলো ধরণিতে

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ শীতে নানা ধরনের উৎসব লেগেই থাকে- তা সে ঘরোয়া আকদ, পিঠা অথবা মেহেদি উৎসব যাই হোক না কেন। করোনাকালীন এ সময়ে ঘরোয়াভাবে উদযাপিত হচ্ছে এসব আয়োজন।

এ দেশের নারীদের অন্যতম পছন্দের স্বাচ্ছন্দ্যময় পোশাক হল সালোয়ার-কামিজ। আর সালোয়ার-কামিজের মধ্যে লন হচ্ছে অন্যতম। হুরের এ লন কামিজগুলো আপনাকে করে তুলবে আকর্ষণীয় ও ভিন্ন। কাপড়গুলো দেখতে যেমন সুন্দর পরতেও খুবই আরামদায়ক। আপনি সারা দিন পরে ছোটাছুটি করতে পারবেন স্বাচ্ছন্দ্যে।

হুর নামটি এসেছে হুরি থেকে। স্বর্গের অপ্সরীদের বলা হয়ে থাকে হুরি। প্রত্যেক নারী যেন হুর ব্র্যান্ডের পোশাক পরে আধুনিক ফ্যাশনের অনুভব করতে পারে, এটিই হুরের স্বত্বাধিকারী

সুমাইয়া রোজালিন ইসলামের প্রত্যাশা। আমাদের মনে হয় প্রিমিয়াম লেভেলের কাপড়গুলো সবার জন্য নয়। কিন্তু সাধ্যের মধ্যেও প্রিমিয়াম ক্যাটাগরির ডিজাইন পাওয়া সম্ভব। এ ভাবনা থেকেই ড্রেসগুলোর মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে সাধ্যের মধ্যে। বাংলাদেশের লন ফ্যাশনে আধুনিকতা ও টেকসই দুটি সমানতালে ব্যালেন্স করাই এ ব্র্যান্ডটির উদ্দেশ্য।

হুরের যাত্রা শুরু হয়েছে ২০২০-এর ফেব্রুয়ারি মাসে। খুব অল্প সময়ে হুর জয় করে নিয়েছে অনেক মানুষের আস্থা। হুর ব্র্যান্ডের স্বত্বাধিকারী সুমাইয়া রোজালিন ইসলাম মনে করেন নারীদের প্রতিদিন ব্যবহৃত পোশাকের মধ্যে সালোয়ার কামিজ হচ্ছে সবচেয়ে স্বাচ্ছন্দ্যের। বাংলাদেশের নারীদের স্কিন কালার ও গঠনকে মাথায় রেখেই ডিজাইন করা হয় হুরের লন কামিজগুলো।

কটন কাপড়ের ওপর আধুনিক ডিজিটাল প্রিন্টে তৈরি হয় সব ডিজাইন। এ কাপড়গুলো ইউনিভার্সিটি, অফিস বা যে কোনো ক্যাজুয়াল প্রোগ্রামে নিয়ে আসবে এক ভিন্ন লুক। হুর শপে গেলেই পেয়ে যাবেন তাদের নতুন কালেকশনগুলো। আর খুব শিগগিরই হুর লঞ্চ করতে যাচ্ছে হুর বয় অ্যান্ড গার্লস কুর্তি, পাঞ্জাবি কালেকশন।

হুরের প্রোডাক্টগুলো সম্পূর্ণ বাংলাদেশি। পিউর কটন ফেব্রিকে ডিজাইন হয় লনগুলো। আমাদের দেশের আবহাওয়া অনুযায়ী কটন হচ্ছে সবচেয়ে কমফোর্টেবল ফেব্রিক। কটন পরিধানে আরামদায়ক ও নরম প্রকৃতির হয়, আর্দ্রতা শোষণ করতে পারে সহজেই। কটনের সঙ্গে যে কোনো ফ্যাশন করা যায় অনায়াসে। অনেক সময় আমরা মার্কেট থেকে লন কিনে ধুয়ে বানানোর পরও তা চেপে যায়।

কিন্তু হুরের এ লনগুলোতে আপনাকে এমন সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না। কারণ হুরের লনের কাপড় থেকে শুরু করে ডিজিটাল প্রিন্ট সবই হয় নিজস্ব ফ্যাক্টরিতে অত্যন্ত আধুনিক মেশিনে এবং মূল্য পাচ্ছেন সাধ্যের মধ্যেই। হুরের প্রত্যেক কালেকশনে আছে নতুনত্বের ছোঁয়া। স্টিচ এবং আনস্টিচ দুটিই আপনি পাচ্ছেন হুরে। আনস্টিচ লনের কাপড়গুলো দিয়ে যে কোনো ডিজাইন করতে পারবেন অনায়াসে।

কাপড়ের পরিমাণও থাকছে প্রচুর, দোপাট্টার কাপড়ের পরিমাণও থাকছে অনেক, আপনি চাইলে হিজাবও করতে পারবেন। স্টিচগুলোর সাইজ পাচ্ছেন ৩৬ থেকে ৪৬-এর মধ্যে এবং এ কালেকশনগুলোর মূল্যসীমা থাকছে ২২৯৫ থেকে শুরু করে ৩৩৯৫-এর মধ্যে।

হুরের এবারের কালেকশনে থাকছে ব্রাইট কালারের ওপর ট্রেন্ডি ডিজিটাল প্রিন্টে এমব্রয়ডারি কাজ, সঙ্গে ব্যবহার করা হয়েছে ফ্যান্সি কিছু বাটন। আপনার শীতের ফ্যাশনকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে হুরের নতুন কালেকশন। এদের অনলাইন সার্ভিসও আছে। আপনি চাইলে ঘরে বসেও অর্ডার করতে পাচ্ছেন প্রোডাক্টগুলো দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে। এছাড়া হুরে আছে কুর্তি, ছেলেদের পাঞ্জাবি, লেডিস, জেন্টস সু কালেকশন। হুরের আউটলেট যমুনা ফিউচার পার্কে লেভেল ১, জোন ডি-তে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

হুর নেমে এলো ধরণিতে

আপডেট টাইম : ০৪:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর ২০২০

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ শীতে নানা ধরনের উৎসব লেগেই থাকে- তা সে ঘরোয়া আকদ, পিঠা অথবা মেহেদি উৎসব যাই হোক না কেন। করোনাকালীন এ সময়ে ঘরোয়াভাবে উদযাপিত হচ্ছে এসব আয়োজন।

এ দেশের নারীদের অন্যতম পছন্দের স্বাচ্ছন্দ্যময় পোশাক হল সালোয়ার-কামিজ। আর সালোয়ার-কামিজের মধ্যে লন হচ্ছে অন্যতম। হুরের এ লন কামিজগুলো আপনাকে করে তুলবে আকর্ষণীয় ও ভিন্ন। কাপড়গুলো দেখতে যেমন সুন্দর পরতেও খুবই আরামদায়ক। আপনি সারা দিন পরে ছোটাছুটি করতে পারবেন স্বাচ্ছন্দ্যে।

হুর নামটি এসেছে হুরি থেকে। স্বর্গের অপ্সরীদের বলা হয়ে থাকে হুরি। প্রত্যেক নারী যেন হুর ব্র্যান্ডের পোশাক পরে আধুনিক ফ্যাশনের অনুভব করতে পারে, এটিই হুরের স্বত্বাধিকারী

সুমাইয়া রোজালিন ইসলামের প্রত্যাশা। আমাদের মনে হয় প্রিমিয়াম লেভেলের কাপড়গুলো সবার জন্য নয়। কিন্তু সাধ্যের মধ্যেও প্রিমিয়াম ক্যাটাগরির ডিজাইন পাওয়া সম্ভব। এ ভাবনা থেকেই ড্রেসগুলোর মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে সাধ্যের মধ্যে। বাংলাদেশের লন ফ্যাশনে আধুনিকতা ও টেকসই দুটি সমানতালে ব্যালেন্স করাই এ ব্র্যান্ডটির উদ্দেশ্য।

হুরের যাত্রা শুরু হয়েছে ২০২০-এর ফেব্রুয়ারি মাসে। খুব অল্প সময়ে হুর জয় করে নিয়েছে অনেক মানুষের আস্থা। হুর ব্র্যান্ডের স্বত্বাধিকারী সুমাইয়া রোজালিন ইসলাম মনে করেন নারীদের প্রতিদিন ব্যবহৃত পোশাকের মধ্যে সালোয়ার কামিজ হচ্ছে সবচেয়ে স্বাচ্ছন্দ্যের। বাংলাদেশের নারীদের স্কিন কালার ও গঠনকে মাথায় রেখেই ডিজাইন করা হয় হুরের লন কামিজগুলো।

কটন কাপড়ের ওপর আধুনিক ডিজিটাল প্রিন্টে তৈরি হয় সব ডিজাইন। এ কাপড়গুলো ইউনিভার্সিটি, অফিস বা যে কোনো ক্যাজুয়াল প্রোগ্রামে নিয়ে আসবে এক ভিন্ন লুক। হুর শপে গেলেই পেয়ে যাবেন তাদের নতুন কালেকশনগুলো। আর খুব শিগগিরই হুর লঞ্চ করতে যাচ্ছে হুর বয় অ্যান্ড গার্লস কুর্তি, পাঞ্জাবি কালেকশন।

হুরের প্রোডাক্টগুলো সম্পূর্ণ বাংলাদেশি। পিউর কটন ফেব্রিকে ডিজাইন হয় লনগুলো। আমাদের দেশের আবহাওয়া অনুযায়ী কটন হচ্ছে সবচেয়ে কমফোর্টেবল ফেব্রিক। কটন পরিধানে আরামদায়ক ও নরম প্রকৃতির হয়, আর্দ্রতা শোষণ করতে পারে সহজেই। কটনের সঙ্গে যে কোনো ফ্যাশন করা যায় অনায়াসে। অনেক সময় আমরা মার্কেট থেকে লন কিনে ধুয়ে বানানোর পরও তা চেপে যায়।

কিন্তু হুরের এ লনগুলোতে আপনাকে এমন সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না। কারণ হুরের লনের কাপড় থেকে শুরু করে ডিজিটাল প্রিন্ট সবই হয় নিজস্ব ফ্যাক্টরিতে অত্যন্ত আধুনিক মেশিনে এবং মূল্য পাচ্ছেন সাধ্যের মধ্যেই। হুরের প্রত্যেক কালেকশনে আছে নতুনত্বের ছোঁয়া। স্টিচ এবং আনস্টিচ দুটিই আপনি পাচ্ছেন হুরে। আনস্টিচ লনের কাপড়গুলো দিয়ে যে কোনো ডিজাইন করতে পারবেন অনায়াসে।

কাপড়ের পরিমাণও থাকছে প্রচুর, দোপাট্টার কাপড়ের পরিমাণও থাকছে অনেক, আপনি চাইলে হিজাবও করতে পারবেন। স্টিচগুলোর সাইজ পাচ্ছেন ৩৬ থেকে ৪৬-এর মধ্যে এবং এ কালেকশনগুলোর মূল্যসীমা থাকছে ২২৯৫ থেকে শুরু করে ৩৩৯৫-এর মধ্যে।

হুরের এবারের কালেকশনে থাকছে ব্রাইট কালারের ওপর ট্রেন্ডি ডিজিটাল প্রিন্টে এমব্রয়ডারি কাজ, সঙ্গে ব্যবহার করা হয়েছে ফ্যান্সি কিছু বাটন। আপনার শীতের ফ্যাশনকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে হুরের নতুন কালেকশন। এদের অনলাইন সার্ভিসও আছে। আপনি চাইলে ঘরে বসেও অর্ডার করতে পাচ্ছেন প্রোডাক্টগুলো দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে। এছাড়া হুরে আছে কুর্তি, ছেলেদের পাঞ্জাবি, লেডিস, জেন্টস সু কালেকশন। হুরের আউটলেট যমুনা ফিউচার পার্কে লেভেল ১, জোন ডি-তে।