ঢাকা , শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডিম খেয়ে কমবে ওজন, খেয়াল রাখুন এই ৫টি বিষয়

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ ওজন কমানোর ক্ষেত্রে প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবারের প্রসঙ্গ উঠলে তালিকায় সবার আগে উঠে আসে ডিম। কারণ এটি সহজেই রান্না করা যায় এবং এর পুষ্টিগুণও অনেক। কিন্তু ডায়েটে ডিমের ব্যবহার বা ডিম রান্না করার ক্ষেত্রে অনেক সময়েই নানা ধরনের ভুল হয়ে যায়। যাতে ওজন কমার বদলে উলটা নানা সমস্যা দেখা যায়। তাই কয়েকটি সাধারণ ভুলে একবার চোখ বুলিয়ে নেওয়া যেতে পারে।

 ডিমের কুসুম বাদ:

একটা ভুল ধারণা রয়েছে যে, ডিমের কুসুমে প্রচুর অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট রয়েছে। তাই অনেকেই ডায়েট থেকে ডিমের কুসুম বাদ দেওয়ার কথা ভাবেন। এটিতে কোলেস্টেরল রয়েছে ঠিকই, কিন্তু সে জন্য খুব একটা প্রভাব পড়ে না। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হল, ভিটামিন বি-২, বি-১২, ডি এর পাশাপাশি ফোলেট, ফসফেট, সেলেনিয়াম, ক্যালসিয়াম, জিঙ্কসহ একাধিক উপাদান থাকে ডিমের কুসুমে। তাই ওজন কমানোর পাশাপাশি শরীর ফিট রাখতে অত্যন্ত জরুরি ডিমের কুসুম। তাই ডিমের কুসুম কোনভাবেই বাদ দেওয়া যাবে না।

ডিম রান্না করতে গিয়ে সঠিক তেলের ব্যবহার:

ডিম রান্না করতে গিয়ে নানা ধরনের তেল ব্যবহার করা হয়। অনেককেই আবার অল্প বাটার দিয়ে ডিমের তরকারি বানাতে দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে সাবধান হতে হবে। কারণ দীর্ঘ দিন ধরে ভুল তেলের প্রয়োগে হার্ট অ্যাটাক বা হাই কোলেস্টেরলের সম্ভাবনা থেকে যায়। তাই নারকেল তেল বা অলিভ ওয়েল ব্যবহার করতে পারলে খুব ভালো।

 ডিমের পাশে যথাযথ খাবার রাখাটাও জরুরি:

হেলদি ডায়েটের পাশাপাশি ওজন কমানোর বিষয়টিকে সুনিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ডিমের সঙ্গে কী খাওয়া হচ্ছে, সেই বিষয়টিতে নজর দেওয়া জরুরি। এ ক্ষেত্রে ডিমের সঙ্গে পালং শাক, টম্যাটো, ক্যাপসিকাম, মাশরুম খাওয়া যেতে পারে। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা হজমের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূ্র্ণ ভূমিকা রাখে।

 বেশিক্ষণ ধরে রান্না করা ঠিক নয়:

ওভারকুকিং ঠিক নয়। ডিমকে বেশিক্ষণ ধরে রান্না করলে বা বেশি উষ্ণতায় ফোটালে ডিমের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে প্রথমেই ডিমের মধ্যে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও ভিটামিন এ নষ্ট হয়ে যায়। এমনকি ডিম বেশি উষ্ণতায় ফুটলে অক্সিসটেরলস নামে একটি উপাদান উৎপন্ন হয়, যা হৃদযন্ত্রের জন্য খুব ক্ষতিকর। তাই ডিমকে অল্প আঁচেই রান্না করা ভালো।

 ক্যালোরি কাউন্টে নজর দিতে হবে:

যদি ওজন কমাতে হয়, তা হলে ডিম কী ভাবে খাচ্ছেন, সেই বিষয়ে নজর দেওয়াটা অত্যন্ত জরুরি। এ ক্ষেত্রে ক্যালোরি মেপে খেতে হবে। তাই ডিমের পোচ বা ডিম সেদ্ধ করে খাওয়া যেতে পারে। এতে শরীরে অতিরিক্ত ফ্যাট যুক্ত হয় না। আর ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও তেমন অসুবিধা হয় না।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

ডিম খেয়ে কমবে ওজন, খেয়াল রাখুন এই ৫টি বিষয়

আপডেট টাইম : ০৪:২৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ নভেম্বর ২০২০

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ ওজন কমানোর ক্ষেত্রে প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবারের প্রসঙ্গ উঠলে তালিকায় সবার আগে উঠে আসে ডিম। কারণ এটি সহজেই রান্না করা যায় এবং এর পুষ্টিগুণও অনেক। কিন্তু ডায়েটে ডিমের ব্যবহার বা ডিম রান্না করার ক্ষেত্রে অনেক সময়েই নানা ধরনের ভুল হয়ে যায়। যাতে ওজন কমার বদলে উলটা নানা সমস্যা দেখা যায়। তাই কয়েকটি সাধারণ ভুলে একবার চোখ বুলিয়ে নেওয়া যেতে পারে।

 ডিমের কুসুম বাদ:

একটা ভুল ধারণা রয়েছে যে, ডিমের কুসুমে প্রচুর অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট রয়েছে। তাই অনেকেই ডায়েট থেকে ডিমের কুসুম বাদ দেওয়ার কথা ভাবেন। এটিতে কোলেস্টেরল রয়েছে ঠিকই, কিন্তু সে জন্য খুব একটা প্রভাব পড়ে না। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হল, ভিটামিন বি-২, বি-১২, ডি এর পাশাপাশি ফোলেট, ফসফেট, সেলেনিয়াম, ক্যালসিয়াম, জিঙ্কসহ একাধিক উপাদান থাকে ডিমের কুসুমে। তাই ওজন কমানোর পাশাপাশি শরীর ফিট রাখতে অত্যন্ত জরুরি ডিমের কুসুম। তাই ডিমের কুসুম কোনভাবেই বাদ দেওয়া যাবে না।

ডিম রান্না করতে গিয়ে সঠিক তেলের ব্যবহার:

ডিম রান্না করতে গিয়ে নানা ধরনের তেল ব্যবহার করা হয়। অনেককেই আবার অল্প বাটার দিয়ে ডিমের তরকারি বানাতে দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে সাবধান হতে হবে। কারণ দীর্ঘ দিন ধরে ভুল তেলের প্রয়োগে হার্ট অ্যাটাক বা হাই কোলেস্টেরলের সম্ভাবনা থেকে যায়। তাই নারকেল তেল বা অলিভ ওয়েল ব্যবহার করতে পারলে খুব ভালো।

 ডিমের পাশে যথাযথ খাবার রাখাটাও জরুরি:

হেলদি ডায়েটের পাশাপাশি ওজন কমানোর বিষয়টিকে সুনিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ডিমের সঙ্গে কী খাওয়া হচ্ছে, সেই বিষয়টিতে নজর দেওয়া জরুরি। এ ক্ষেত্রে ডিমের সঙ্গে পালং শাক, টম্যাটো, ক্যাপসিকাম, মাশরুম খাওয়া যেতে পারে। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা হজমের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূ্র্ণ ভূমিকা রাখে।

 বেশিক্ষণ ধরে রান্না করা ঠিক নয়:

ওভারকুকিং ঠিক নয়। ডিমকে বেশিক্ষণ ধরে রান্না করলে বা বেশি উষ্ণতায় ফোটালে ডিমের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে প্রথমেই ডিমের মধ্যে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও ভিটামিন এ নষ্ট হয়ে যায়। এমনকি ডিম বেশি উষ্ণতায় ফুটলে অক্সিসটেরলস নামে একটি উপাদান উৎপন্ন হয়, যা হৃদযন্ত্রের জন্য খুব ক্ষতিকর। তাই ডিমকে অল্প আঁচেই রান্না করা ভালো।

 ক্যালোরি কাউন্টে নজর দিতে হবে:

যদি ওজন কমাতে হয়, তা হলে ডিম কী ভাবে খাচ্ছেন, সেই বিষয়ে নজর দেওয়াটা অত্যন্ত জরুরি। এ ক্ষেত্রে ক্যালোরি মেপে খেতে হবে। তাই ডিমের পোচ বা ডিম সেদ্ধ করে খাওয়া যেতে পারে। এতে শরীরে অতিরিক্ত ফ্যাট যুক্ত হয় না। আর ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও তেমন অসুবিধা হয় না।