বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ ইতালির পম্পেই নগরী একসময় ব্যাপক জনপ্রিয় ছিল। প্রায় দুই হাজার বছর আগে আগ্নেয়গিরির লাভার নিচে ঢাকা পড়েছিল পম্পেই। প্রত্নতাত্ত্বিকরা সেই সময়ের দুই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছেন।
দুই হাজার বছর আগে ভিসুভিয়াস পর্বতের আগ্নেয়গিরি দুই দিনব্যাপী সর্বনাশা অগ্ন্যুৎপাত করে। আর সেই আগ্নেয়গিরির লাভায় পম্পেই নগরী সম্পূর্ণভাবে পুড়ে ধ্বংস হয়ে যায়। ৬০ ফুট উঁচু ছাই ও ঝামা পাথরের নিচে শহরটি চাপা পড়ে যায়।
পরিকল্পিত ওই শহরে সে সময় ১৩ হাজার মানুষ বাস করতো। আগ্নেয়গিরির উত্তপ্ত লাভার নিচে চিরতরে হারিয়ে যান তারা।
প্রত্নতাত্ত্বিকরা সেই সময়কার দুই ব্যক্তির মরদেহের সন্ধান পেয়েছেন। পম্পেই নগরীর ধ্বংসস্তূপের মধ্যে এতদিন ধরে সংরক্ষিত ছিল তাদের মরদেহ।
ইতালির সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রায় দুই হাজার বছর আগে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে পুড়ে মারা যাওয়া দু’জন ব্যক্তির দেহাবশেষ আবিষ্কার করেছে তারা।
প্রত্নতাত্ত্বিকরা বলছেন, ওই দু’জনের মধ্যে একজন উচ্চ শ্রেণির মানুষ হয়ে থাকতে পারেন। তার বয়স ৩০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। তার ঘাড়ের নিচে পশমের তৈরি কাপড়ের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
অপর ব্যক্তির বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। তার পরনের পোশাক দেখে মনে হচ্ছে, প্রথম ব্যক্তির দাস তিনি।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, হঠাৎ করে বিপর্যয় ধেয়ে আসায় তারা পালানোর সুযোগ পাননি বা পালাতে গিয়েও মুখ থুবড়ে পড়ে গেছেন।
সিভিটা গিউলিয়ানা নামক তাদের দেহাবশেষ পাওয়া যায়। প্রাচীন পম্পেইয়ের কেন্দ্র থেকে সাতশ মিটার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত ওই এলাকা।
সূত্র : মিলেনীয় ডটকম