ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হলুদ তরমুজে কপাল খুলল

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ শস্যভাণ্ডার খ্যাত হিসেবে পরিচিত সিংড়া উপজেলার সুকাশ নওদাপাড়ার যুবক জিয়ারুল হকের কপাল খুলেছে হলুদ তরমুজে। বাড়ির আঙিনায় মাচায় হলুদ ও ব্লাক বেবি তরমুজ চাষ হয়েছে। এতে দরিদ্র কৃষক বেশ লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।

এই তরমুজের উপরিভাগ হলুদ ও দেখতে বেশ সুন্দর। আর কাটলে ভেতরে টকটকে লাল। খেতেও বেশ মিষ্টি এবং সুস্বাদু। এই তরমুজ দেখতে প্রতিদিন আশপাশের মানুষ ভিড় করছেন।

রোববার বিকেল ৪টায় সিংড়া উপজেলা সুকাশ ইউনিয়নের নওদাপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বেকার যুবক জিয়ারুল হক বাড়ির সামনে ১২ শতক জায়গায় গড়ে তুলেছেন তরমুজ ক্ষেত। মালচিং পদ্ধতিতে এই তরমুজ চাষ হয়েছে। মাচায় সবুজ পাতার মধ্যে হলুদ ও কালো হাজারো তরমুজ ঝুলছে। অনেকেই তরমুজ দেখতে ভিড় করছেন।

তরমুজ চাষী জিয়ারুল হক বলেন, গত বছর এই জায়গায় বেগুন চাষাবাদ হয়েছিল। কিন্তু তেমন লাভ হয়নি। এবার কৃষি অফিসের পরামর্শে সেখানে তরমুজ চাষ করেছেন।

তিনি জানান, গত ৬ জুন উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বীজ সংগ্রহ করে বপন করেন। মাত্র ৫০ দিনেই তরমুজ পাকতে শুরু করেছে। আর মাত্র ১০ দিন গেলেই পুরোপুরি খাওয়ার উপযোগী হবে। কিন্তু পাকার আগেই স্থানীয় ব্যবসায়ীরা তা কিনতে দরদাম করছেন। প্রতি কেজি ৭০ টাকা দাম উঠেছে। এতে তিনি বেশ লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা বলেন, অসময়ে তরমুজ চাষ কৃষকের একটি লাভজনক ব্যবসা। উপজেলায় এই প্রথম পরীক্ষামূলক ভাবে এই ফল চাষে সফলতা আশা করা যাচ্ছে। অনেকেই পরামর্শ নিতে আসছেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

হলুদ তরমুজে কপাল খুলল

আপডেট টাইম : ১২:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ জুলাই ২০২১

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ শস্যভাণ্ডার খ্যাত হিসেবে পরিচিত সিংড়া উপজেলার সুকাশ নওদাপাড়ার যুবক জিয়ারুল হকের কপাল খুলেছে হলুদ তরমুজে। বাড়ির আঙিনায় মাচায় হলুদ ও ব্লাক বেবি তরমুজ চাষ হয়েছে। এতে দরিদ্র কৃষক বেশ লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।

এই তরমুজের উপরিভাগ হলুদ ও দেখতে বেশ সুন্দর। আর কাটলে ভেতরে টকটকে লাল। খেতেও বেশ মিষ্টি এবং সুস্বাদু। এই তরমুজ দেখতে প্রতিদিন আশপাশের মানুষ ভিড় করছেন।

রোববার বিকেল ৪টায় সিংড়া উপজেলা সুকাশ ইউনিয়নের নওদাপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বেকার যুবক জিয়ারুল হক বাড়ির সামনে ১২ শতক জায়গায় গড়ে তুলেছেন তরমুজ ক্ষেত। মালচিং পদ্ধতিতে এই তরমুজ চাষ হয়েছে। মাচায় সবুজ পাতার মধ্যে হলুদ ও কালো হাজারো তরমুজ ঝুলছে। অনেকেই তরমুজ দেখতে ভিড় করছেন।

তরমুজ চাষী জিয়ারুল হক বলেন, গত বছর এই জায়গায় বেগুন চাষাবাদ হয়েছিল। কিন্তু তেমন লাভ হয়নি। এবার কৃষি অফিসের পরামর্শে সেখানে তরমুজ চাষ করেছেন।

তিনি জানান, গত ৬ জুন উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বীজ সংগ্রহ করে বপন করেন। মাত্র ৫০ দিনেই তরমুজ পাকতে শুরু করেছে। আর মাত্র ১০ দিন গেলেই পুরোপুরি খাওয়ার উপযোগী হবে। কিন্তু পাকার আগেই স্থানীয় ব্যবসায়ীরা তা কিনতে দরদাম করছেন। প্রতি কেজি ৭০ টাকা দাম উঠেছে। এতে তিনি বেশ লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা বলেন, অসময়ে তরমুজ চাষ কৃষকের একটি লাভজনক ব্যবসা। উপজেলায় এই প্রথম পরীক্ষামূলক ভাবে এই ফল চাষে সফলতা আশা করা যাচ্ছে। অনেকেই পরামর্শ নিতে আসছেন।