ঢাকা , রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশে আবাদি জমি কমেছে চার লাখ একর

দেশে আবাদি জমি কমছে আশঙ্কাজনকভাবে। ২০০৮ সালে আবাদি জমির পরিমাণ ছিল এক কোটি ৯০ লাখ ৯৭ হাজার একর। এর ঠিক ১১ বছর আগে ২০১৯ সালে দাঁড়িয়েছে এক কোটি ৮৬ লাখ ৮১ হাজার একর। গত ১১ বছরে আবাদি জমির পরিমাণ কমেছে চার লাখ ১৬ হাজার একর।

মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মিলনায়তনে ‘কৃষি শুমারি-২০১৯’ জরিপ প্রকাশ করা হয়। অনুষ্ঠানে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. মতিয়ার রহমান।

জরিপের প্রকল্প পরিচালক আলাউদ্দিন আল আজাদ বলেন, দেশে মোট আবাদি জমির পরিমাণ এক কোটি ৮৬ লাখ ৮১ হাজার একর। যার মধ্যে অস্থায়ী ফসলের জমির পরিমাণ এক কোটি ৬৪ লাখ ২৩ হাজার একর। স্থায়ী ফসলের জমির পরিমাণ ১৯ লাখ ৭০ হাজার একর। এ সময়ে কৃষি জমিতে ফসলের নিবিড়তা বেড়েছে। নিবিড়তা বৃদ্ধির ফলে ক্রমবর্ধমান খাদ্য জোগান বাড়ছে। অপরদিকে ২০০৮ সালের তুলনায় ২০১৯ সালের শুমারিতে আউশ ফসলের চাষের অধীন জমি কিছুটা কমেছে। একইভাবে আমন, বোরো, আলু, গম, ভুট্টা, পাট চাষেও জমির পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।

এদিকে, মাছ চাষের জমির পরিমাণ বেড়েছে। এরই মধ্যে ১২ লাখ ১২ হাজার ১০৭ একরে গেছে। তবে পুকুরে মাছ চাষের জমির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৮১ হাজার একর।

২০১৮ সালের ১৪ এপ্রিল থেকে ২০১৯ সালের ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত এ জরিপ চালানো হয়।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

দেশে আবাদি জমি কমেছে চার লাখ একর

আপডেট টাইম : ০৭:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২২

দেশে আবাদি জমি কমছে আশঙ্কাজনকভাবে। ২০০৮ সালে আবাদি জমির পরিমাণ ছিল এক কোটি ৯০ লাখ ৯৭ হাজার একর। এর ঠিক ১১ বছর আগে ২০১৯ সালে দাঁড়িয়েছে এক কোটি ৮৬ লাখ ৮১ হাজার একর। গত ১১ বছরে আবাদি জমির পরিমাণ কমেছে চার লাখ ১৬ হাজার একর।

মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মিলনায়তনে ‘কৃষি শুমারি-২০১৯’ জরিপ প্রকাশ করা হয়। অনুষ্ঠানে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. মতিয়ার রহমান।

জরিপের প্রকল্প পরিচালক আলাউদ্দিন আল আজাদ বলেন, দেশে মোট আবাদি জমির পরিমাণ এক কোটি ৮৬ লাখ ৮১ হাজার একর। যার মধ্যে অস্থায়ী ফসলের জমির পরিমাণ এক কোটি ৬৪ লাখ ২৩ হাজার একর। স্থায়ী ফসলের জমির পরিমাণ ১৯ লাখ ৭০ হাজার একর। এ সময়ে কৃষি জমিতে ফসলের নিবিড়তা বেড়েছে। নিবিড়তা বৃদ্ধির ফলে ক্রমবর্ধমান খাদ্য জোগান বাড়ছে। অপরদিকে ২০০৮ সালের তুলনায় ২০১৯ সালের শুমারিতে আউশ ফসলের চাষের অধীন জমি কিছুটা কমেছে। একইভাবে আমন, বোরো, আলু, গম, ভুট্টা, পাট চাষেও জমির পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।

এদিকে, মাছ চাষের জমির পরিমাণ বেড়েছে। এরই মধ্যে ১২ লাখ ১২ হাজার ১০৭ একরে গেছে। তবে পুকুরে মাছ চাষের জমির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৮১ হাজার একর।

২০১৮ সালের ১৪ এপ্রিল থেকে ২০১৯ সালের ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত এ জরিপ চালানো হয়।