ঢাকা , মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৬ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বাম রাজনীতি থেকে ‘অগ্নিকন্যা’, নৌকায় উঠে ক্ষমতায়, আ. লীগের দুঃসময়ে প্রস্থান ১০০ রানের লিড হলেই চলবে দক্ষিণ আফ্রিকার লেবানন থেকে দেশে ফিরেছেন ৫৪ বাংলাদেশি মৃত্যুর পর মরদেহ কী হবে, বলে গেছেন মনি কিশোর দুর্নীতি দমাতে ডিজিটাইজেশনে গুরুত্ব প্রধান উপদেষ্টার হাসিনার পদত্যাগ ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাংবিধানিক বৈধতা ‘মীমাংসিত’ ইস্যু, নয়া বিতর্ক সৃষ্টি আর নয় : প্রেসিডেন্ট বঙ্গভবনের বিলাসিতা ছেড়ে নিজের পথ দেখুন : রাষ্ট্রপতিকে হাসনাত জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সম্পাদক সারজিস, প্রধান নির্বাহী স্নিগ্ধ শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র ইস্যুতে মতিউর রহমান চৌধুরীকে যা বলেছেন রাষ্ট্রপতি জামায়াত নিষিদ্ধের বিপক্ষে ছিল জাতীয় পার্টি, দাবি জিএম কাদেরের

কীর্ত্তনখোলায় ট্যাঙ্কার-কার্গোর সংঘর্ষ, ভাসছে ডিজেল

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ  বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে ফ্লাই অ্যাশবাহী জাহাজ ও তেলবাহী ট্যাঙ্কারের মুখোমুখি সংঘর্ষে উভয় নৌযানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গতকাল সকাল ৮টায় কীর্ত্তনখোলার চরকাউয়া পয়েন্টে এ দুর্ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের পর ক্ষতিগ্রস্ত তেলবাহী ট্যাঙ্কার থেকে ডিজেল ছড়িয়ে পড়েছে কীর্ত্তনখোলা নদীতে। ঘটনার পর থেকেই প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এলাকাবাসী নদীর তীর থেকে বিপুল পরিমাণ ডিজেল উত্তোলন করেছেন। তবে কী পরিমাণ ডিজেল নদীতে ছড়িয়ে পড়েছে তেল ওঠানোর আগ পর্যন্ত সে ব্যাপারে বলা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন দুর্ঘটনার শিকার ট্যাঙ্কার এমটি ফজরের মাস্টার জামসেদুর রহমান। দুর্ঘটনার শিকার মেঘনা গ্রুপের ফ্লাই অ্যাশবাহী কার্গো জাহাজ এমভি মা-বাবার দোয়া-২-এর সুকানি মো. এরশাদ বলেন, তারা ভারত থেকে মোংলা বন্দর হয়ে ঢাকায় যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে স্রোতের কারণে তেলবাহী ট্যাঙ্কারের সঙ্গে তাদের জাহাজের সংঘর্ষ হয়। দুর্ঘটনার শিকার ট্যাঙ্কার এমটি ফজরের মাস্টার জামসেদুর রহমান বলেন, তারা ঢাকা থেকে ডিজেল ও পেট্রল নিয়ে বরিশাল যমুনা ডিপোতে আসছিলেন। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কীর্ত্তনখোলা নদীর চরকাউয়া পয়েন্টে পৌঁছলে অ্যাশ বোঝাই কার্গো জাহাজ তাদের ট্যাঙ্কারে সজোরে আঘাত হানে। এতে কার্গোর ক্ষতি হয়ে ডিজেলের চেম্বার ফেটে তা কীর্তনখোলা নদীতে ছড়িয়ে পড়ে। পরে তারা দ্রুততার সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত চেম্বার থেকে ডিজেল অন্য চেম্বারে সরিয়ে নিয়েছেন। তবে তেল সরানোর আগে কী পরিমাণ তেল নদীতে ভেসে গেছে তা পুরো তেল ওঠানোর আগে বলা সম্ভব হচ্ছে না। এদিকে দুর্ঘটনার পর স্থানীয় জনতা বিপুল পরিমাণ ডিজেল নদী থেকে উত্তোলন করেছেন। প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকা জুড়ে শতাধিক মানুষ তেল সংগ্রহে নামেন বলে স্থানীয় সূত্র জানায়। এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র উদ্ধারকারী জাহাজ নির্ভীকের দায়িত্বে থাকা উপ-পরিচালক রফিকুল সেলিম বলেন, খবর পাওয়ার পর তারা ঘটনাস্থলে আসেন। তবে এর আগেই দুর্ঘটনার শিকার দুটো জাহাজই নিরাপদ স্থানে নোঙর করে রাখা হয়।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

বাম রাজনীতি থেকে ‘অগ্নিকন্যা’, নৌকায় উঠে ক্ষমতায়, আ. লীগের দুঃসময়ে প্রস্থান

কীর্ত্তনখোলায় ট্যাঙ্কার-কার্গোর সংঘর্ষ, ভাসছে ডিজেল

আপডেট টাইম : ০৬:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুলাই ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ  বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে ফ্লাই অ্যাশবাহী জাহাজ ও তেলবাহী ট্যাঙ্কারের মুখোমুখি সংঘর্ষে উভয় নৌযানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গতকাল সকাল ৮টায় কীর্ত্তনখোলার চরকাউয়া পয়েন্টে এ দুর্ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের পর ক্ষতিগ্রস্ত তেলবাহী ট্যাঙ্কার থেকে ডিজেল ছড়িয়ে পড়েছে কীর্ত্তনখোলা নদীতে। ঘটনার পর থেকেই প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এলাকাবাসী নদীর তীর থেকে বিপুল পরিমাণ ডিজেল উত্তোলন করেছেন। তবে কী পরিমাণ ডিজেল নদীতে ছড়িয়ে পড়েছে তেল ওঠানোর আগ পর্যন্ত সে ব্যাপারে বলা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন দুর্ঘটনার শিকার ট্যাঙ্কার এমটি ফজরের মাস্টার জামসেদুর রহমান। দুর্ঘটনার শিকার মেঘনা গ্রুপের ফ্লাই অ্যাশবাহী কার্গো জাহাজ এমভি মা-বাবার দোয়া-২-এর সুকানি মো. এরশাদ বলেন, তারা ভারত থেকে মোংলা বন্দর হয়ে ঢাকায় যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে স্রোতের কারণে তেলবাহী ট্যাঙ্কারের সঙ্গে তাদের জাহাজের সংঘর্ষ হয়। দুর্ঘটনার শিকার ট্যাঙ্কার এমটি ফজরের মাস্টার জামসেদুর রহমান বলেন, তারা ঢাকা থেকে ডিজেল ও পেট্রল নিয়ে বরিশাল যমুনা ডিপোতে আসছিলেন। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কীর্ত্তনখোলা নদীর চরকাউয়া পয়েন্টে পৌঁছলে অ্যাশ বোঝাই কার্গো জাহাজ তাদের ট্যাঙ্কারে সজোরে আঘাত হানে। এতে কার্গোর ক্ষতি হয়ে ডিজেলের চেম্বার ফেটে তা কীর্তনখোলা নদীতে ছড়িয়ে পড়ে। পরে তারা দ্রুততার সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত চেম্বার থেকে ডিজেল অন্য চেম্বারে সরিয়ে নিয়েছেন। তবে তেল সরানোর আগে কী পরিমাণ তেল নদীতে ভেসে গেছে তা পুরো তেল ওঠানোর আগে বলা সম্ভব হচ্ছে না। এদিকে দুর্ঘটনার পর স্থানীয় জনতা বিপুল পরিমাণ ডিজেল নদী থেকে উত্তোলন করেছেন। প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকা জুড়ে শতাধিক মানুষ তেল সংগ্রহে নামেন বলে স্থানীয় সূত্র জানায়। এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র উদ্ধারকারী জাহাজ নির্ভীকের দায়িত্বে থাকা উপ-পরিচালক রফিকুল সেলিম বলেন, খবর পাওয়ার পর তারা ঘটনাস্থলে আসেন। তবে এর আগেই দুর্ঘটনার শিকার দুটো জাহাজই নিরাপদ স্থানে নোঙর করে রাখা হয়।