ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জমি রেজিস্ট্রেশনের খরচ বাড়াবে উৎসে কর

প্রস্তাবিত বাজেট জমি-প্লট রেজিস্ট্রেশনের খরচ বাড়াবে। জমি রেজিস্ট্রির সময় দলিলে লিখিত মূল্যের এক শতাংশ রেজিস্ট্রেশন ফি, এক দশমিক ৫০ শতাংশ স্ট্যাম্প শুল্ক, এলাকাভেদে স্থানীয় সরকার কর ২-৩ শতাংশ এবং ১-৪ শতাংশ উৎসে কর দিতে হতো। বাজেটে উৎসে কর বাড়িয়ে দ্বিগুণ করা হয়েছে। বর্তমানে ৩ (এ, বি ও সি) ক্যাটাগরিতে উৎসে কর আদায় করা হয়।

নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ‘এ’ ক্যাটাগরির গুলশান, বনানী, মতিঝিল, দিলকুশা, নর্থ-সাউথ রোড, মতিঝিল এক্সপ্যানশন এলাকা এবং মহাখালী এলাকায় জমি রেজিস্ট্রেশনে দলিল মূল্যের ৮ শতাংশ অথবা ২০ লাখ টাকার মধ্যে যেটি বেশি, সেই হারে কর দিতে হবে। অর্থাৎ ওইসব এলাকায় জমি কিনলে প্রতি কাঠা জমির জন্য ২০ লাখ টাকা কর দিতেই হবে।

একইভাবে কারওয়ানবাজারে ৮ শতাংশ অথবা ১২ লাখ টাকা; চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ ও সিডিএ অ্যাভিনিউ এলাকা, নারায়ণগঞ্জ, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ, বাড্ডা, সায়েদাবাদ, পোস্তগোলা ও গেণ্ডারিয়া এলাকায় ৮ শতাংশ অথবা ৮ লাখ টাকা; উত্তরা, সোনারগাঁও জনপথ, শাহবাগ, পান্থপথ, বাংলামোটর, কাকরাইল এলাকায় ৮ শতাংশ অথবা ১২ লাখ টাকা উৎসে কর দিতে হবে। এসব এলাকায় ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশনের সময় দলিলে লিখিত মূল্যের ৮ শতাংশ বা প্রতি বর্গমিটারে ৮০০ টাকা উৎসে কর দিতে হবে।

এ ছাড়া ‘বি’ ক্যাটাগরির উত্তরা (১-৯ সেক্টর), খিলগাঁও পুনর্বাসন এলাকা, আজিমপুর, রাজারবাগ পুনর্বাসন এলাকা, চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ, হালিশহর, পাঁচলাইশ, নাছিরাবাদ, মেহেদীবাগ এলাকায় কাঠাপ্রতি দলিলে উলে­খিত মূল্যের ৮ শতাংশ অথবা ন্যূনতম ৩ লাখ টাকা; গুলশান, বনানী, ধানমন্ডি, বারিধারা ডিওএইচএস, বনানী ডিওএইচএস, মহাখালী ডিওএইচএস, বসুন্ধরা (ব্লক এ-আই), নিকেতন, বারিধারায় ১০ লাখ টাকা; পূর্বাচল, বসুন্ধরা (ব্লক কে-পি), ঝিলমিল আবাসিক এলাকায় ৩ লাখ টাকা; কাকরাইল, সেগুনবাগিচা, বিজয়নগর, ইস্কাটন, গ্রিন রোড, এলিফ্যান্ট রোড, ফকিরাপুল, আরামবাগ, মগবাজার, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, শেরেবাংলা নগর প্রশাসনিক এলাকা, আগারগাঁও প্রশাসনিক এলাকা, লালমাটিয়া, ক্যান্টনমেন্ট এলাকা ও চট্টগ্রামের খুলশী এলাকায় কাঠাপ্রতি ৫ লাখ টাকা; কাকরাইল, সেগুনবাগিচা, বিজয়নগর, ইস্কাটন, গ্রিন রোড, এলিফ্যান্ট রোডের কিছু অংশে আড়াই লাখ টাকা; গ্রিন রোড (ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার সড়ক নং ৩-৮) এলাকায় ৫ লাখ টাকা, উত্তরা (সেক্টর ১০-১৪), নিকুঞ্জ (উত্তর-দক্ষিণ), বাড্ডা পুনর্বাসন এলাকা, গেণ্ডারিয়া পুনর্বাসন এলাকা, শ্যামপুর পুনর্বাসন এলাকা, আইজি বাগান পুনর্বাসন এলাকা, টঙ্গী শিল্প এলাকায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা; শ্যামপুর শিল্প এলাকা, পোস্তগোলা শিল্প এলাকা, জুরাইন শিল্প এলাকায় ১ লাখ টাকা; খিলগাঁও পুনর্বাসন এলাকা, রাজারবাগ পুনর্বাসন এলাকায় দেড় লাখ টাকা; গোড়ান ও হাজারীবাগ ট্যানারি এলাকায় ৬০ হাজার টাকা কাঠাপ্রতি ন্যূনতম কর দিতে হবে।

এছাড়াও ‘এ’ ও ’বি’ ক্যাটাগরিতে উলে­খিত এলাকা ছাড়া রাজউক ও সিডিএর অন্য এলাকায় জমি রেজিস্ট্রিতে দলিল মূল্যের ৮ শতাংশ; গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, নরসিংদী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম জেলা (রাজউক ও সিডিএ এলাকা ছাড়া); অন্য সিটি করপোরেশন ও জেলা সদর পৌর এলাকায় দলিল মূল্যের ৬ শতাংশ; অন্যান্য পৌরসভা এলাকায় দলিল মূল্যের ৪ শতাংশ এবং দেশের অন্য এলাকায় দলিল মূল্যের ২ শতাংশ উৎসে কর দিতে হবে।

 

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

জমি রেজিস্ট্রেশনের খরচ বাড়াবে উৎসে কর

আপডেট টাইম : ০৪:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ জুন ২০২৩

প্রস্তাবিত বাজেট জমি-প্লট রেজিস্ট্রেশনের খরচ বাড়াবে। জমি রেজিস্ট্রির সময় দলিলে লিখিত মূল্যের এক শতাংশ রেজিস্ট্রেশন ফি, এক দশমিক ৫০ শতাংশ স্ট্যাম্প শুল্ক, এলাকাভেদে স্থানীয় সরকার কর ২-৩ শতাংশ এবং ১-৪ শতাংশ উৎসে কর দিতে হতো। বাজেটে উৎসে কর বাড়িয়ে দ্বিগুণ করা হয়েছে। বর্তমানে ৩ (এ, বি ও সি) ক্যাটাগরিতে উৎসে কর আদায় করা হয়।

নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ‘এ’ ক্যাটাগরির গুলশান, বনানী, মতিঝিল, দিলকুশা, নর্থ-সাউথ রোড, মতিঝিল এক্সপ্যানশন এলাকা এবং মহাখালী এলাকায় জমি রেজিস্ট্রেশনে দলিল মূল্যের ৮ শতাংশ অথবা ২০ লাখ টাকার মধ্যে যেটি বেশি, সেই হারে কর দিতে হবে। অর্থাৎ ওইসব এলাকায় জমি কিনলে প্রতি কাঠা জমির জন্য ২০ লাখ টাকা কর দিতেই হবে।

একইভাবে কারওয়ানবাজারে ৮ শতাংশ অথবা ১২ লাখ টাকা; চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ ও সিডিএ অ্যাভিনিউ এলাকা, নারায়ণগঞ্জ, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ, বাড্ডা, সায়েদাবাদ, পোস্তগোলা ও গেণ্ডারিয়া এলাকায় ৮ শতাংশ অথবা ৮ লাখ টাকা; উত্তরা, সোনারগাঁও জনপথ, শাহবাগ, পান্থপথ, বাংলামোটর, কাকরাইল এলাকায় ৮ শতাংশ অথবা ১২ লাখ টাকা উৎসে কর দিতে হবে। এসব এলাকায় ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশনের সময় দলিলে লিখিত মূল্যের ৮ শতাংশ বা প্রতি বর্গমিটারে ৮০০ টাকা উৎসে কর দিতে হবে।

এ ছাড়া ‘বি’ ক্যাটাগরির উত্তরা (১-৯ সেক্টর), খিলগাঁও পুনর্বাসন এলাকা, আজিমপুর, রাজারবাগ পুনর্বাসন এলাকা, চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ, হালিশহর, পাঁচলাইশ, নাছিরাবাদ, মেহেদীবাগ এলাকায় কাঠাপ্রতি দলিলে উলে­খিত মূল্যের ৮ শতাংশ অথবা ন্যূনতম ৩ লাখ টাকা; গুলশান, বনানী, ধানমন্ডি, বারিধারা ডিওএইচএস, বনানী ডিওএইচএস, মহাখালী ডিওএইচএস, বসুন্ধরা (ব্লক এ-আই), নিকেতন, বারিধারায় ১০ লাখ টাকা; পূর্বাচল, বসুন্ধরা (ব্লক কে-পি), ঝিলমিল আবাসিক এলাকায় ৩ লাখ টাকা; কাকরাইল, সেগুনবাগিচা, বিজয়নগর, ইস্কাটন, গ্রিন রোড, এলিফ্যান্ট রোড, ফকিরাপুল, আরামবাগ, মগবাজার, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, শেরেবাংলা নগর প্রশাসনিক এলাকা, আগারগাঁও প্রশাসনিক এলাকা, লালমাটিয়া, ক্যান্টনমেন্ট এলাকা ও চট্টগ্রামের খুলশী এলাকায় কাঠাপ্রতি ৫ লাখ টাকা; কাকরাইল, সেগুনবাগিচা, বিজয়নগর, ইস্কাটন, গ্রিন রোড, এলিফ্যান্ট রোডের কিছু অংশে আড়াই লাখ টাকা; গ্রিন রোড (ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার সড়ক নং ৩-৮) এলাকায় ৫ লাখ টাকা, উত্তরা (সেক্টর ১০-১৪), নিকুঞ্জ (উত্তর-দক্ষিণ), বাড্ডা পুনর্বাসন এলাকা, গেণ্ডারিয়া পুনর্বাসন এলাকা, শ্যামপুর পুনর্বাসন এলাকা, আইজি বাগান পুনর্বাসন এলাকা, টঙ্গী শিল্প এলাকায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা; শ্যামপুর শিল্প এলাকা, পোস্তগোলা শিল্প এলাকা, জুরাইন শিল্প এলাকায় ১ লাখ টাকা; খিলগাঁও পুনর্বাসন এলাকা, রাজারবাগ পুনর্বাসন এলাকায় দেড় লাখ টাকা; গোড়ান ও হাজারীবাগ ট্যানারি এলাকায় ৬০ হাজার টাকা কাঠাপ্রতি ন্যূনতম কর দিতে হবে।

এছাড়াও ‘এ’ ও ’বি’ ক্যাটাগরিতে উলে­খিত এলাকা ছাড়া রাজউক ও সিডিএর অন্য এলাকায় জমি রেজিস্ট্রিতে দলিল মূল্যের ৮ শতাংশ; গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, নরসিংদী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম জেলা (রাজউক ও সিডিএ এলাকা ছাড়া); অন্য সিটি করপোরেশন ও জেলা সদর পৌর এলাকায় দলিল মূল্যের ৬ শতাংশ; অন্যান্য পৌরসভা এলাকায় দলিল মূল্যের ৪ শতাংশ এবং দেশের অন্য এলাকায় দলিল মূল্যের ২ শতাংশ উৎসে কর দিতে হবে।