ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কোরবানির জন্য প্রস্তুত ১ কোটি ২৫ লাখ পশু : প্রাণিসম্পদ সচিব

পবিত্র ঈদুল আজহায় দেশি গরু দিয়েই কোরবানির প্রস্তুতি নিয়েছে সরকার। এবার কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর সংখ্যা প্রায় এক কোটি ২৫ লাখ। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ এই কথা জানিয়েছেন।

শনিবার (১০ জুন) রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার সাদিক এগ্রো পরিদর্শন করেন তিনি। এ সময় বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ ইমরান হোসেনসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

পরিদর্শন শেষে ড. নাহিদ রশীদ বলেন, ব্যবসায়ী ও খামারিদের স্বার্থে ভারত ও মিয়ানমার থেকে অবৈধ পথে গরু প্রবেশে সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। বন্ধ আছে মাংস আমদানিও। পাশাপাশি খামারিদের ব্যবসা নির্বিঘ্ন করতে সব ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি বলেন, গত ঈদুল আজহার চাইতে বেশি কোরবানিযোগ্য পশু এবার প্রস্তুত রয়েছে। এখন পর্যন্ত খামারি ও প্রান্তিক চাষীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, প্রায় ১ কোটি ২৫ লাখ কুরবানিযোগ্য পশু প্রস্তুত রয়েছে। এই সংখ্যা বাড়তে পারে। ফলে বিদেশি পশুর ওপর নির্ভর করতে হবে না। তাই আমরা সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বাড়িয়েছি। এজন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করা হচ্ছে, যেন বাইরে থেকে কোনো পশু না প্রবেশ করে।

সচিব বলেন, গত বছর কোরবানিরযোগ্য পশু ছিল ১ কোটি ২১ লাখ। কিন্তু গত বছর ঈদুল আজহায় ৯৯ লাখ ৫০ হাজার পশু কোরবানি হয়েছিল। সেই হিসাবে এবার কোরবানি বাড়লেও পশুর সংকট হবে না।

খামারিদের দাবির প্রেক্ষিতে ঈদের আগে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কুরবানির পশুবিক্রেতা বা খামারি পর্যায়ে কেউ যেন অযথা হয়রানি বা চাঁদাবাজির শিকার না হন সেজন্য জাতীয় জরুরি সেবার হটলাইন নম্বর-৯৯৯ যুক্ত করার বিষয়ে আশ্বাস দেন সচিব। এর বাইরে অন্য কোনো হটলাইন নম্বর যুক্ত করার প্রয়োজন থাকলে সেটিও আগামী ১৪ জুন আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় চূড়ান্ত করা হবে বলে জানান তিনি।

খামার থেকে কেনা পশুর জন্য হাসিলমুক্ত রাখার বিষয়টি মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারির অনুরোধ জানান বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ ইমরান হোসেন।

তিনি বলেন, পশু ঢাকায় বা বিভিন্ন জেলা শহরে নিতে গেলে চাঁদা দিতে হয়। চাঁদার গিয়ে গরুর দাম বেশি হচ্ছে। এ ছাড়া খামারে বিক্রি হওয়া গরু কোনো হাটের কাছ দিয়ে গেলে ক্রেতাকে নাজেহাল হতে হয়। এদিকে সিটি করপোরেশন ঢাকায় থাকা খামারগুলো বাইরে নেয়ার তাগাদা দিচ্ছে। ফলে আমরা কয়েক হাজার খামারি বিপদে আছি।

এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেয়া আশ্বাস দেন সচিব। আগামী ১৪ জুন আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা ও আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভায় বিষয়টি আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়া হবে বলে জানান তিনি। পাশাপাশি খামারিদের উন্নয়নে ডেইরি উন্নয়ন বোর্ড গঠনের প্রস্তাব সংসদে পাস হওয়ার অপেক্ষায় আছে বলেও জানান সচিব।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

কোরবানির জন্য প্রস্তুত ১ কোটি ২৫ লাখ পশু : প্রাণিসম্পদ সচিব

আপডেট টাইম : ০৫:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ জুন ২০২৩

পবিত্র ঈদুল আজহায় দেশি গরু দিয়েই কোরবানির প্রস্তুতি নিয়েছে সরকার। এবার কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর সংখ্যা প্রায় এক কোটি ২৫ লাখ। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ এই কথা জানিয়েছেন।

শনিবার (১০ জুন) রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার সাদিক এগ্রো পরিদর্শন করেন তিনি। এ সময় বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ ইমরান হোসেনসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

পরিদর্শন শেষে ড. নাহিদ রশীদ বলেন, ব্যবসায়ী ও খামারিদের স্বার্থে ভারত ও মিয়ানমার থেকে অবৈধ পথে গরু প্রবেশে সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। বন্ধ আছে মাংস আমদানিও। পাশাপাশি খামারিদের ব্যবসা নির্বিঘ্ন করতে সব ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি বলেন, গত ঈদুল আজহার চাইতে বেশি কোরবানিযোগ্য পশু এবার প্রস্তুত রয়েছে। এখন পর্যন্ত খামারি ও প্রান্তিক চাষীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, প্রায় ১ কোটি ২৫ লাখ কুরবানিযোগ্য পশু প্রস্তুত রয়েছে। এই সংখ্যা বাড়তে পারে। ফলে বিদেশি পশুর ওপর নির্ভর করতে হবে না। তাই আমরা সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বাড়িয়েছি। এজন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করা হচ্ছে, যেন বাইরে থেকে কোনো পশু না প্রবেশ করে।

সচিব বলেন, গত বছর কোরবানিরযোগ্য পশু ছিল ১ কোটি ২১ লাখ। কিন্তু গত বছর ঈদুল আজহায় ৯৯ লাখ ৫০ হাজার পশু কোরবানি হয়েছিল। সেই হিসাবে এবার কোরবানি বাড়লেও পশুর সংকট হবে না।

খামারিদের দাবির প্রেক্ষিতে ঈদের আগে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কুরবানির পশুবিক্রেতা বা খামারি পর্যায়ে কেউ যেন অযথা হয়রানি বা চাঁদাবাজির শিকার না হন সেজন্য জাতীয় জরুরি সেবার হটলাইন নম্বর-৯৯৯ যুক্ত করার বিষয়ে আশ্বাস দেন সচিব। এর বাইরে অন্য কোনো হটলাইন নম্বর যুক্ত করার প্রয়োজন থাকলে সেটিও আগামী ১৪ জুন আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় চূড়ান্ত করা হবে বলে জানান তিনি।

খামার থেকে কেনা পশুর জন্য হাসিলমুক্ত রাখার বিষয়টি মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারির অনুরোধ জানান বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ ইমরান হোসেন।

তিনি বলেন, পশু ঢাকায় বা বিভিন্ন জেলা শহরে নিতে গেলে চাঁদা দিতে হয়। চাঁদার গিয়ে গরুর দাম বেশি হচ্ছে। এ ছাড়া খামারে বিক্রি হওয়া গরু কোনো হাটের কাছ দিয়ে গেলে ক্রেতাকে নাজেহাল হতে হয়। এদিকে সিটি করপোরেশন ঢাকায় থাকা খামারগুলো বাইরে নেয়ার তাগাদা দিচ্ছে। ফলে আমরা কয়েক হাজার খামারি বিপদে আছি।

এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেয়া আশ্বাস দেন সচিব। আগামী ১৪ জুন আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা ও আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভায় বিষয়টি আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়া হবে বলে জানান তিনি। পাশাপাশি খামারিদের উন্নয়নে ডেইরি উন্নয়ন বোর্ড গঠনের প্রস্তাব সংসদে পাস হওয়ার অপেক্ষায় আছে বলেও জানান সচিব।