ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার’ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়: উজরা জেয়া

যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে সমর্থন দেওয়া। তিনি বলেন, আমি যে বার্তার ওপর জোর দিতে চাই, তা হলো- সহিংসতা প্রত্যাখ্যান করে সত্যিকারের অন্তর্ভুক্তিমূলক, শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও ন্যায্য গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সমর্থন করার জন্য সব পক্ষকে আহ্বান জানানো। আসুন, আমরা জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে দেই।

বাংলাদেশ সফরকালে ইউএনবিকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

সম্ভাব্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা বর্জনের বিষয়ে উজরা জেয়া বলেন, এটা বাংলাদেশের জনগণের ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’। এ বিষয়ে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ভূমিকা দেখছি না। আমি শুধু বলতে চাই যে, আমরা কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষ নিই না।

ভিসানীতি প্রসঙ্গে জেয়া বলেন- অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর (শেখ হাসিনা) ঘোষিত অঙ্গীকারকে সমর্থন করতেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমাদের আলোচনায় এটি খুব ইতিবাচকভাবে এসেছে। নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানোর বিষয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানাতে বাংলাদেশ সরকারের উদারতা সম্পর্কে আমরা সচেতন। সুতরাং আমরা মূল্যায়ন করছি এবং আমরা সরকারের সঙ্গে আলোচনা করব। এটি যুক্তরাষ্ট্র সারা বিশ্বে করে থাকে।

যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে- এমন ধারণা সম্পর্কে জানতে চাইলে জেয়া বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশকে গুরুত্ব দিয়েই এই সফর। আমাদের চাওয়া হলো- মার্কিন সরকার এই অংশীদারত্বকে আরও গভীর করুক। তিনি বলেন, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে আরও মুক্ত ও উন্মুক্ত করতে বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। আমাদের অংশীদারত্ব অভিন্ন গণতান্ত্রিক নীতি ও মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধার ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। জেয়া বলেন, অনেকেই হয়তো জানেন না যে, সমগ্র এশিয়ায় বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের অগ্রণী উন্নয়ন অংশীদার।

এই মার্কিন কূটনীতিক আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সত্যিকার অর্থে ইন্দো-প্যাসিফিককে এগিয়ে নিতে আগ্রহী যা মুক্ত এবং আরও সংযুক্ত, স্থিতিস্থাপক, সমৃদ্ধ ও সুরক্ষিত। তিনি বলেন, আমি মনে করি এটি শুধু একটি উদাহরণ যেখানে আমরা কংক্রিট উপায়ে আরও মুক্ত এবং উন্মুক্ত ইন্দো প্যাসিফিক গড়ে তুলতে একসঙ্গে কাজ করতে পারি। সুতরাং আগামী দিনগুলোতে সহযোগিতার জন্য একটি বিশাল সম্ভাবনার জায়গা রয়েছে।

সেন্টমার্টিন দ্বীপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কোনো পরিকল্পনা বা প্রস্তাবের বিষয়ে জানতে চাইলে যুক্তরাষ্ট্রের জ্যেষ্ঠ এ কূটনীতিক বলেন, এ বিষয়ে আমি খুবই স্পষ্ট করে বলতে চাই। এ বিষয়ে কোনো পরিকল্পনা নেই। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করে এবং সেন্টমার্টিন দ্বীপের সম্ভাব্য ইজারা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার’ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়: উজরা জেয়া

আপডেট টাইম : ০৭:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জুলাই ২০২৩

যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে সমর্থন দেওয়া। তিনি বলেন, আমি যে বার্তার ওপর জোর দিতে চাই, তা হলো- সহিংসতা প্রত্যাখ্যান করে সত্যিকারের অন্তর্ভুক্তিমূলক, শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও ন্যায্য গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সমর্থন করার জন্য সব পক্ষকে আহ্বান জানানো। আসুন, আমরা জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে দেই।

বাংলাদেশ সফরকালে ইউএনবিকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

সম্ভাব্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা বর্জনের বিষয়ে উজরা জেয়া বলেন, এটা বাংলাদেশের জনগণের ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’। এ বিষয়ে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ভূমিকা দেখছি না। আমি শুধু বলতে চাই যে, আমরা কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষ নিই না।

ভিসানীতি প্রসঙ্গে জেয়া বলেন- অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর (শেখ হাসিনা) ঘোষিত অঙ্গীকারকে সমর্থন করতেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমাদের আলোচনায় এটি খুব ইতিবাচকভাবে এসেছে। নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানোর বিষয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানাতে বাংলাদেশ সরকারের উদারতা সম্পর্কে আমরা সচেতন। সুতরাং আমরা মূল্যায়ন করছি এবং আমরা সরকারের সঙ্গে আলোচনা করব। এটি যুক্তরাষ্ট্র সারা বিশ্বে করে থাকে।

যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে- এমন ধারণা সম্পর্কে জানতে চাইলে জেয়া বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশকে গুরুত্ব দিয়েই এই সফর। আমাদের চাওয়া হলো- মার্কিন সরকার এই অংশীদারত্বকে আরও গভীর করুক। তিনি বলেন, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে আরও মুক্ত ও উন্মুক্ত করতে বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। আমাদের অংশীদারত্ব অভিন্ন গণতান্ত্রিক নীতি ও মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধার ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। জেয়া বলেন, অনেকেই হয়তো জানেন না যে, সমগ্র এশিয়ায় বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের অগ্রণী উন্নয়ন অংশীদার।

এই মার্কিন কূটনীতিক আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সত্যিকার অর্থে ইন্দো-প্যাসিফিককে এগিয়ে নিতে আগ্রহী যা মুক্ত এবং আরও সংযুক্ত, স্থিতিস্থাপক, সমৃদ্ধ ও সুরক্ষিত। তিনি বলেন, আমি মনে করি এটি শুধু একটি উদাহরণ যেখানে আমরা কংক্রিট উপায়ে আরও মুক্ত এবং উন্মুক্ত ইন্দো প্যাসিফিক গড়ে তুলতে একসঙ্গে কাজ করতে পারি। সুতরাং আগামী দিনগুলোতে সহযোগিতার জন্য একটি বিশাল সম্ভাবনার জায়গা রয়েছে।

সেন্টমার্টিন দ্বীপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কোনো পরিকল্পনা বা প্রস্তাবের বিষয়ে জানতে চাইলে যুক্তরাষ্ট্রের জ্যেষ্ঠ এ কূটনীতিক বলেন, এ বিষয়ে আমি খুবই স্পষ্ট করে বলতে চাই। এ বিষয়ে কোনো পরিকল্পনা নেই। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করে এবং সেন্টমার্টিন দ্বীপের সম্ভাব্য ইজারা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।