চরমোনাই পীর ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, সরকারি দল ছাড়া সকল বিরোধী দল অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকতে কোনো নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হওয়া সম্ভব নয়।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট সড়কে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রেজাউল করীম বলেন, প্রশাসনে যারা দায়িত্ব পালন করছেন তারা আমাদের ভাই। আপনারা দায়িত্ব পালনে কিছুটা নিরপেক্ষতা হারিয়ে ফেলেছেন। হাতে হাতুড়ি নিয়ে যে আচরণ করেছেন তাতে কলঙ্কজনক অধ্যায় রচিত হয়েছে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির বলেন, দেশের আবহাওয়া বর্তমানে দূষিত হয়ে গেছে। এই দূষিত আবহাওয়া আমাদের পরিচ্ছন্ন করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী তার বাবা, মা, ভাই হারানোর বিষয়ে কান্না করেন, কিন্তু হাফেজ রেজাউল করীমের বিষয়ে তার পদক্ষেপ কী? দেশবাসী তা জানতে চায়।
শহীদ হাফেজ রেজাউল করীম হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের আহ্বানে আগামীকাল শুক্রবার জেলা, মহানগরে বিক্ষোভ মিছিল এবং ৫ আগস্ট ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে বায়তুল মোকাররম থেকে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচির ঘোষণা করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেন, শেখ হাসিনা যদি ২০২৪-এ ক্ষমতায় আসতে পারেন তবে দেশের অবস্থা কী হবে তা বলা মুশকিল। আমরা চাই দেশে শেখ হাসিনার অপশাসন বন্ধ হোক। দুর্নীতি দেশ থেকে উঠে যাক। ২০১৪-তে আমরা নির্বাচন করিনি। ২০১৮-তে দেশবাসীকে ধোঁকা দিয়ে বোকা বানানো হয়েছে। তাদের আর ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হবে না।
মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, ইসলামের জন্য যারা রাজনীতি করে, তাদের দেখে এক শ্রেণির মানুষ বিরক্ত হয়। যারা বিরক্ত হয় তারা ঘুষখোর, চোর, ডাকাত, দুর্নীতিবাজ, টেন্ডারবাজ। ৫২ বছরে দেশে চোর ডাকাত ও দুর্নীতিবাজদের অনেক উন্নয়ন হয়েছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব আমিনুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম আতিকুর রহমান, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ আবুল কাশেম, জাতীয় শিক্ষক ফোরাম সভাপতি অধ্যাপক নাছির উদ্দীন, মাওলানা নূরুল করীম আকরাম, ছাত্র নেতা নুরুল বশর আজিজী ও ইউসুফ মানসুর।