বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে রাজধানীর পৃথক দুই থানায় দায়ের করা ১০ মামলায় জামিনের আবেদন করা হয়েছে। এর মধ্যে পল্টন থানার সাত মামলা এবং রমনা মডেল থানার তিন মামলা রয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী ও মো. শফিউদ্দিনের আদালতে এই আবেদন করা হয়।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ এ আবেদন করেন।
তবে এজাহারনামীয় আসামি হলেও ওই ১০ মামলায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি। আদালতে আবেদনগুলো শুনানির জন্য উপস্থাপন হলে আদালত বলেছেন, তদন্ত কর্মকর্তা গ্রেপ্তার না দেখানো পর্যন্ত জামিনের আবেদন শুনানির এখতিয়ার আদালতের নেই। এ সময় আদালত এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেন।
আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ জানান, ‘জামিন আবেদন করা ১০ মামলায় মির্জা ফখরুল এজাহারনামীয় আসমি হলেও তাকে এ সব মামলায় গ্রেপ্তার দেখায়নি রাষ্ট্রপক্ষ। মামলাগুলোর মধ্যে পল্টন থানার সাত মামলা ও রমনা মডেল থানার তিন মামলা রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুরের অভিযোগের মামলায় গত ২৯ অক্টোবর মির্জা ফখরুলকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়। সে মামলায় সিএমএম কোর্ট এবং দায়রা আদালত জামিন নামঞ্জুর করেছেন। এরপর আমরা হাইকোর্টে আবেদন করেছি। আমরা আশঙ্কা করছি, হাইকোর্টে সে মামলায় জামিন নামঞ্জুরের জন্য রাষ্ট্রপক্ষ গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করতে পারেন। যাতে আরও দীর্ঘদিন কারাগারে রাখা যায়। তাই আমরাই জামিনের আবেদন করেছিলাম। আদালত বলেছেন, ‘‘এ পর্যায়ে শুনানি গ্রহণ ও আদেশ দেওয়ার এখতিয়ার আমাদের নেই।” এখন আমরা হাইকোর্টে যাব।’
গত ২৮ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গুলশানের বাসা থেকে মির্জা ফখরুলকে আটক করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। এরপর হত্যা ও গাড়ি পোড়ানোর ঘটনায় পল্টন থানার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ২৯ অক্টোবর ঢাকার মেট্রোপলিটন মাজিস্ট্রেট আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর থেকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কারাগারে রয়েছেন।