ঢাকা , মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বাম রাজনীতি থেকে ‘অগ্নিকন্যা’, নৌকায় উঠে ক্ষমতায়, আ. লীগের দুঃসময়ে প্রস্থান ১০০ রানের লিড হলেই চলবে দক্ষিণ আফ্রিকার লেবানন থেকে দেশে ফিরেছেন ৫৪ বাংলাদেশি মৃত্যুর পর মরদেহ কী হবে, বলে গেছেন মনি কিশোর দুর্নীতি দমাতে ডিজিটাইজেশনে গুরুত্ব প্রধান উপদেষ্টার হাসিনার পদত্যাগ ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাংবিধানিক বৈধতা ‘মীমাংসিত’ ইস্যু, নয়া বিতর্ক সৃষ্টি আর নয় : প্রেসিডেন্ট বঙ্গভবনের বিলাসিতা ছেড়ে নিজের পথ দেখুন : রাষ্ট্রপতিকে হাসনাত জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সম্পাদক সারজিস, প্রধান নির্বাহী স্নিগ্ধ শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র ইস্যুতে মতিউর রহমান চৌধুরীকে যা বলেছেন রাষ্ট্রপতি জামায়াত নিষিদ্ধের বিপক্ষে ছিল জাতীয় পার্টি, দাবি জিএম কাদেরের

শুধু রোডম্যাপ দিয়ে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান বলেছেন, শুধু রোডম্যাপ দিয়ে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব নয়। রোডম্যাপ হচ্ছে আইনগত বিষয়। সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের স্বার্থে নির্বাচন কমিশনকে আইনগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নৈতিক দায়িত্ব পালন করতে হবে। গতকাল এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ‘নির্বাচন কমিশনের রোডম্যাপ’ শীর্ষক ছায়া সংসদ বিতর্ক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ড. আকবর আলি খান বলেন, আসলে রোডম্যাপ হচ্ছে প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড যেগুলো নির্বাচন কমিশন পরিচালনা করবে সেটাকে একত্রিত করা হয়েছে। রোডম্যাপের উদ্দেশ্য কি তার ওপর নির্ভর করবে এর ফলাফল কি হবে।
তিনি আরো বলেন, রোডম্যাপ দুটি কারণে প্রস্তুত হতে পারে। একটি কারণ হলো নির্বাচন কমিশনের যে আইনগত দায়িত্ব সেটা পালন করার জন্য প্রস্তুত করা। আর আইনগত দায়িত্বের বাইরেও নির্বাচন কমিশনের একটি নৈতিক দায়িত্ব রয়েছে। এবং সেই নৈতিক দায়িত্ব যদি নির্বাচন কমিশন গ্রহণ করে তাহলে দেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথ সুগম হবে। যদি নির্বাচন কমিশন তার ভূমিকা আইনগত দায়িত্বের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখে তাহলে দেখা যাবে যে এটার ফলাফল সুষ্ঠু হবে না।
সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের স্বার্থে নির্বাচন কমিশনের নৈতিক দায়িত্বের প্রতি গুরুত্বারোপ করে ড. আকবর আলি খান বলেন, এই রোডম্যাপ কী শুধু আইনগত দায়িত্ব পালনের জন্য ব্যবহৃত হবে? না এখানে নৈতিক দায়িত্ব পালনের জন্য নির্বাচন কমিশন  তৈরি। এজন্য নৈতিক দায়িত্ব বাংলাদেশে প্রয়োজন যে একটি সংঘাতময় পরিবেশের মধ্যে আমরা আছি এবং এই সংঘাতময় পরিবেশের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের যে দায়িত্ব সেটা শুধু আইনগত দায়িত্বের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না। সেখানে নৈতিক দায়িত্ব পালন করতে হবে অর্থাৎ তাদেরকে সকল দলের আস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং এমন নির্বাচন করতে হবে যেটা সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়।
রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থা অর্জন সহজ নয় উল্লেখ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক এই উপদেষ্টা বলেন, এই আস্থা অর্জনের কাজটি  সোজা না। এই নৈতিক দায়িত্ব পালনের জন্য শুধু রোডম্যাপ করা যথেষ্ট না। আরো দুটি কাজ নির্বাচন কমিশনের করতে হবে। প্রথম কাজটি হলো নির্বাচন কমিশন যে সমস্ত দায়িত্ব পালন করবে এবং যে সমস্ত কথা বলবে সেগুলোর মাধ্যমে আপামর সকলের সমর্থন আদায় করতে হবে। সে ধরনের সমর্থন আদায় না করে যদি নির্বাচন কমিশন কোনো বিতর্কিত বক্তব্য, কোনো বিতর্কিত ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাহলে সেটা নির্বাচন কমিশনের পক্ষে করা সম্ভব না। নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন রাখেন সাবেক এই আমলা। তিনি বলেন, রোডম্যাপের ব্যাপারেও নির্বাচন কমিশনের শিথিল মনোভাব গ্রহণ করতে হবে। যেটা সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য সেটা নিয়েই তাদের কাজ করতে হবে। যেটা সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য না সেটা নিয়ে করা সম্ভব না। সেই ধরনের নৈতিক দায়িত্ব পালনের জন্য নির্বাচন কমিশনের ইচ্ছে আছে কিনা, ক্ষমতা আছে কিনা, সামর্থ্য আছে কিনা সে সমস্ত প্রশ্ন অবশ্যই থেকে যায়।
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা প্রসঙ্গে ড. আকবর আলি খান বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে শুধু নির্বাচন কমিশনের পক্ষে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব না। এখানে রাজনৈতিক দলগুলোরও ভূমিকা রয়েছে। বাংলাদেশে এমন রাজনৈতিক দল রয়েছে যারা মনে করে আইনগতভাবে নির্বাচন হলে যদি ভোট নাও দেয়া হয় তাহলেও সরকার বৈধ। এধরনের ফলাফল বিগত নির্বাচনে দেখা গেছে- পঞ্চাশ শতাংশের বেশি আসনে কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। আইনগতভাবে হয়তো সিদ্ধ, সন্দেহ নেই। কিন্তু নৈতিক প্রশ্ন থেকে যায় যে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে এই শতকরা পঞ্চাশ শতাংশের বেশি আসনে অনির্বাচিত প্রতিনিধি দিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। কাজেই এধরনের মনোভাবের পরিবর্তন করতে হবে।
সুষ্ঠু নির্বাচনে বিরোধী দলের ভূমিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এর মধ্যে আরেকটি দল নির্বাচন বয়কট করে। নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে গণতন্ত্রকে কখনও সুসংহত করা যায় না। এই অংশগ্রহণ করার দায়িত্ব দলের রয়েছে এবং পৃথিবীর সব দেশেই নির্বাচনে সমস্যা থাকে। একেবারে সম্পূর্ণভাবে সার্থক নির্বাচন পৃথিবীর কোথাও হয় না। সুতরাং এই ক্ষেত্রে যারা কথায় কথায় নির্বাচন বয়কট করে তাদেরকে নিজেদের অবস্থান পুনর্বিবেচনা করতে হবে। তাদের দায়িত্ব হবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার মনোভাব সৃষ্টি করা। কাজেই শুধু রোডম্যাপ করে নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে না। এখানে দলগুলোরও মনোভাবের পরিবর্তন করতে হবে।
নির্বাচন কমিশন  ও সকল রাজনৈতিক দল এবং আপামর জনসাধারণ একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য এগিয়ে আসবে এমন আশা প্রকাশ করে ড. আকবর আলি খান বলেন, দলগুলো যদি মনোভাব পরিবর্তন না করে তাহলে আমাদের আশা ছেড়ে দিলে চলবে না। সেক্ষেত্রে সাধারণ মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। গণতন্ত্রের সুফল ভোগ করি আমরা সাধারণ মানুষ। দলগুলোকে বলতে হবে তোমরা অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচন করতে পারবে না এবং তোমাদেরকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে। নির্বাচন কমিশনকে বলতে হবে তুমি তোমার নৈতিক দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করো। এভাবে এগিয়ে গেলে সংকটময় পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের উপায় পেতে পারি। যদি এই সংকটময় পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ না করতে পারি তাহলে আমাদের অনেক সমস্যা হবে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণের সঞ্চালনায় প্রতিযোগিতায় শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অংশগ্রহণ করে। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়। বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন ড. এস এম মোর্শেদ, অধ্যাপক আবু রইস এবং সাংবাদিক সোমা ইসলাম।  ম-জমিন

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

বাম রাজনীতি থেকে ‘অগ্নিকন্যা’, নৌকায় উঠে ক্ষমতায়, আ. লীগের দুঃসময়ে প্রস্থান

শুধু রোডম্যাপ দিয়ে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না

আপডেট টাইম : ০৬:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ জুলাই ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান বলেছেন, শুধু রোডম্যাপ দিয়ে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব নয়। রোডম্যাপ হচ্ছে আইনগত বিষয়। সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের স্বার্থে নির্বাচন কমিশনকে আইনগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নৈতিক দায়িত্ব পালন করতে হবে। গতকাল এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ‘নির্বাচন কমিশনের রোডম্যাপ’ শীর্ষক ছায়া সংসদ বিতর্ক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ড. আকবর আলি খান বলেন, আসলে রোডম্যাপ হচ্ছে প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড যেগুলো নির্বাচন কমিশন পরিচালনা করবে সেটাকে একত্রিত করা হয়েছে। রোডম্যাপের উদ্দেশ্য কি তার ওপর নির্ভর করবে এর ফলাফল কি হবে।
তিনি আরো বলেন, রোডম্যাপ দুটি কারণে প্রস্তুত হতে পারে। একটি কারণ হলো নির্বাচন কমিশনের যে আইনগত দায়িত্ব সেটা পালন করার জন্য প্রস্তুত করা। আর আইনগত দায়িত্বের বাইরেও নির্বাচন কমিশনের একটি নৈতিক দায়িত্ব রয়েছে। এবং সেই নৈতিক দায়িত্ব যদি নির্বাচন কমিশন গ্রহণ করে তাহলে দেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথ সুগম হবে। যদি নির্বাচন কমিশন তার ভূমিকা আইনগত দায়িত্বের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখে তাহলে দেখা যাবে যে এটার ফলাফল সুষ্ঠু হবে না।
সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের স্বার্থে নির্বাচন কমিশনের নৈতিক দায়িত্বের প্রতি গুরুত্বারোপ করে ড. আকবর আলি খান বলেন, এই রোডম্যাপ কী শুধু আইনগত দায়িত্ব পালনের জন্য ব্যবহৃত হবে? না এখানে নৈতিক দায়িত্ব পালনের জন্য নির্বাচন কমিশন  তৈরি। এজন্য নৈতিক দায়িত্ব বাংলাদেশে প্রয়োজন যে একটি সংঘাতময় পরিবেশের মধ্যে আমরা আছি এবং এই সংঘাতময় পরিবেশের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের যে দায়িত্ব সেটা শুধু আইনগত দায়িত্বের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না। সেখানে নৈতিক দায়িত্ব পালন করতে হবে অর্থাৎ তাদেরকে সকল দলের আস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং এমন নির্বাচন করতে হবে যেটা সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়।
রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থা অর্জন সহজ নয় উল্লেখ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক এই উপদেষ্টা বলেন, এই আস্থা অর্জনের কাজটি  সোজা না। এই নৈতিক দায়িত্ব পালনের জন্য শুধু রোডম্যাপ করা যথেষ্ট না। আরো দুটি কাজ নির্বাচন কমিশনের করতে হবে। প্রথম কাজটি হলো নির্বাচন কমিশন যে সমস্ত দায়িত্ব পালন করবে এবং যে সমস্ত কথা বলবে সেগুলোর মাধ্যমে আপামর সকলের সমর্থন আদায় করতে হবে। সে ধরনের সমর্থন আদায় না করে যদি নির্বাচন কমিশন কোনো বিতর্কিত বক্তব্য, কোনো বিতর্কিত ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাহলে সেটা নির্বাচন কমিশনের পক্ষে করা সম্ভব না। নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন রাখেন সাবেক এই আমলা। তিনি বলেন, রোডম্যাপের ব্যাপারেও নির্বাচন কমিশনের শিথিল মনোভাব গ্রহণ করতে হবে। যেটা সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য সেটা নিয়েই তাদের কাজ করতে হবে। যেটা সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য না সেটা নিয়ে করা সম্ভব না। সেই ধরনের নৈতিক দায়িত্ব পালনের জন্য নির্বাচন কমিশনের ইচ্ছে আছে কিনা, ক্ষমতা আছে কিনা, সামর্থ্য আছে কিনা সে সমস্ত প্রশ্ন অবশ্যই থেকে যায়।
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা প্রসঙ্গে ড. আকবর আলি খান বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে শুধু নির্বাচন কমিশনের পক্ষে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব না। এখানে রাজনৈতিক দলগুলোরও ভূমিকা রয়েছে। বাংলাদেশে এমন রাজনৈতিক দল রয়েছে যারা মনে করে আইনগতভাবে নির্বাচন হলে যদি ভোট নাও দেয়া হয় তাহলেও সরকার বৈধ। এধরনের ফলাফল বিগত নির্বাচনে দেখা গেছে- পঞ্চাশ শতাংশের বেশি আসনে কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। আইনগতভাবে হয়তো সিদ্ধ, সন্দেহ নেই। কিন্তু নৈতিক প্রশ্ন থেকে যায় যে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে এই শতকরা পঞ্চাশ শতাংশের বেশি আসনে অনির্বাচিত প্রতিনিধি দিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। কাজেই এধরনের মনোভাবের পরিবর্তন করতে হবে।
সুষ্ঠু নির্বাচনে বিরোধী দলের ভূমিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এর মধ্যে আরেকটি দল নির্বাচন বয়কট করে। নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে গণতন্ত্রকে কখনও সুসংহত করা যায় না। এই অংশগ্রহণ করার দায়িত্ব দলের রয়েছে এবং পৃথিবীর সব দেশেই নির্বাচনে সমস্যা থাকে। একেবারে সম্পূর্ণভাবে সার্থক নির্বাচন পৃথিবীর কোথাও হয় না। সুতরাং এই ক্ষেত্রে যারা কথায় কথায় নির্বাচন বয়কট করে তাদেরকে নিজেদের অবস্থান পুনর্বিবেচনা করতে হবে। তাদের দায়িত্ব হবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার মনোভাব সৃষ্টি করা। কাজেই শুধু রোডম্যাপ করে নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে না। এখানে দলগুলোরও মনোভাবের পরিবর্তন করতে হবে।
নির্বাচন কমিশন  ও সকল রাজনৈতিক দল এবং আপামর জনসাধারণ একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য এগিয়ে আসবে এমন আশা প্রকাশ করে ড. আকবর আলি খান বলেন, দলগুলো যদি মনোভাব পরিবর্তন না করে তাহলে আমাদের আশা ছেড়ে দিলে চলবে না। সেক্ষেত্রে সাধারণ মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। গণতন্ত্রের সুফল ভোগ করি আমরা সাধারণ মানুষ। দলগুলোকে বলতে হবে তোমরা অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচন করতে পারবে না এবং তোমাদেরকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে। নির্বাচন কমিশনকে বলতে হবে তুমি তোমার নৈতিক দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করো। এভাবে এগিয়ে গেলে সংকটময় পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের উপায় পেতে পারি। যদি এই সংকটময় পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ না করতে পারি তাহলে আমাদের অনেক সমস্যা হবে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণের সঞ্চালনায় প্রতিযোগিতায় শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অংশগ্রহণ করে। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়। বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন ড. এস এম মোর্শেদ, অধ্যাপক আবু রইস এবং সাংবাদিক সোমা ইসলাম।  ম-জমিন