ঢাকা , শনিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সোনা-বাইম মাছ যাচ্ছে চীনে

বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র (বিএফডিসি) থেকে প্রতিদিন গড়ে ১০ লাখ টাকার সোনা-বাইম মাছ বিক্রি হচ্ছে। শীত মৌসুমে সাগরে উপকূলীয় জেলেদের জালে প্রচুর পরিমাণে ধরা পড়ছে সোনা-বাইম মাছ। পাথরঘাটার ঘাটে আসা প্রতিটি ট্রলারেই দেখা মিলছে এ মাছের। বাংলাদেশের বাজারে এ মাছের চাহিদা কম থাকলেও সেগুলো রপ্তানি হচ্ছে বিদেশে।

বিশেষ করে চীন ও মালয়েশিয়া রপ্তানি হয় সোনা-বাইম মাছ।বরগুনার পাথারঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, মাছ শিকার শেষে সাগর থেকে ঘাটে ফিরে আসা প্রতিটি ট্রলারে ২০ থেকে ২৫ মণ সোনা-বাইম মাছ নিয়ে আসেন জেলেরা। জাত ও আকার ভেদে প্রতি মণ সোনা-বাইম বিক্রি হয় ২০ থেকে ৪০ হাজার টাকায়। প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ লাখ টাকার সোনা-বাইম মাছ বিক্রি হয় এ মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ঘাটে।

স্থানীয় মৎস্য আড়তদাররা জানান, বর্তমানে সাগরে সোনা-বাইম একটু বেশি পাওয়া যাচ্ছে। এ মাছটি ধরা পড়ায় জেলেরা বেশ খুশি। শীত মৌসুমে জেলেরা গভীর সমুদ্রে বড় ফাঁসের জাল দিয়ে সোনা-বাইম মাছ শিকার করেন। এ মাছ দুই ধরনের হয়।

সাদা-বাইম প্রতি মণ ২০ থেকে ২৫ হাজার ও সোনালী রংয়ের বাইন প্রতি মণ ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়।বিএফডিসি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের সহকারী বিপণন কর্মকর্তা ও মৎস্য গবেষক বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, ‘সোনা-বাইম মাছের পেটের মধ্যে ‘বালিশ’ সদৃশ্য যে অঙ্গটি থাকে তা খুবই দামি হওয়ায় বেশি দামে এ মাছগুলো বিক্রি হয়। চীন ও মালয়েশিয়াতে এ মাছের ‘বালিশগুলো’কে বিশেষ প্রক্রিয়াজাত করে দামী খাদ্য তৈরি করা হয়। শীতকালে প্রজননের জন্য মাছগুলো এ অঞ্চলে আসে, তাই এ সময়ে একটু বেশি পাওয়া যাচ্ছে।’

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

সোনা-বাইম মাছ যাচ্ছে চীনে

আপডেট টাইম : ০৬:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৪
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র (বিএফডিসি) থেকে প্রতিদিন গড়ে ১০ লাখ টাকার সোনা-বাইম মাছ বিক্রি হচ্ছে। শীত মৌসুমে সাগরে উপকূলীয় জেলেদের জালে প্রচুর পরিমাণে ধরা পড়ছে সোনা-বাইম মাছ। পাথরঘাটার ঘাটে আসা প্রতিটি ট্রলারেই দেখা মিলছে এ মাছের। বাংলাদেশের বাজারে এ মাছের চাহিদা কম থাকলেও সেগুলো রপ্তানি হচ্ছে বিদেশে।

বিশেষ করে চীন ও মালয়েশিয়া রপ্তানি হয় সোনা-বাইম মাছ।বরগুনার পাথারঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, মাছ শিকার শেষে সাগর থেকে ঘাটে ফিরে আসা প্রতিটি ট্রলারে ২০ থেকে ২৫ মণ সোনা-বাইম মাছ নিয়ে আসেন জেলেরা। জাত ও আকার ভেদে প্রতি মণ সোনা-বাইম বিক্রি হয় ২০ থেকে ৪০ হাজার টাকায়। প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ লাখ টাকার সোনা-বাইম মাছ বিক্রি হয় এ মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ঘাটে।

স্থানীয় মৎস্য আড়তদাররা জানান, বর্তমানে সাগরে সোনা-বাইম একটু বেশি পাওয়া যাচ্ছে। এ মাছটি ধরা পড়ায় জেলেরা বেশ খুশি। শীত মৌসুমে জেলেরা গভীর সমুদ্রে বড় ফাঁসের জাল দিয়ে সোনা-বাইম মাছ শিকার করেন। এ মাছ দুই ধরনের হয়।

সাদা-বাইম প্রতি মণ ২০ থেকে ২৫ হাজার ও সোনালী রংয়ের বাইন প্রতি মণ ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়।বিএফডিসি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের সহকারী বিপণন কর্মকর্তা ও মৎস্য গবেষক বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, ‘সোনা-বাইম মাছের পেটের মধ্যে ‘বালিশ’ সদৃশ্য যে অঙ্গটি থাকে তা খুবই দামি হওয়ায় বেশি দামে এ মাছগুলো বিক্রি হয়। চীন ও মালয়েশিয়াতে এ মাছের ‘বালিশগুলো’কে বিশেষ প্রক্রিয়াজাত করে দামী খাদ্য তৈরি করা হয়। শীতকালে প্রজননের জন্য মাছগুলো এ অঞ্চলে আসে, তাই এ সময়ে একটু বেশি পাওয়া যাচ্ছে।’