ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জলবায়ু অর্থায়ন নিয়ে তীব্র বিতর্ক: ১২তম দিনে গড়ালো কপ২৯ সম্মেলন ঢাকাবাসীকে যেকোনো উপায়ে নিরাপদ রাখতে হবে : ডিএমপি কমিশনার বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন ব্রিটিশ রাজা চার্লস ৫ আগস্টের পর ভুয়া মামলা তদন্তসাপেক্ষে প্রত্যাহার হবে, জানালেন নতুন আইজিপি আলেম সমাজের সাথে ঐতিহাসিক সুসম্পর্ক রয়েছে বিএনপির: ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক নাছির জুয়ার অ্যাপের প্রচারে নাম লেখালেন বুবলীও জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন, যা বললেন তোফায়েল আহমেদ সামনে অসম্ভব শক্তির অদৃশ্য দেয়াল অপেক্ষা করছে: তারেক রহমান বহু শাসক দেখেছি, পরিবর্তন দেখিনি : ফয়জুল করীম গ্যাসের জন্য আ.লীগ আমলে ২০ কোটি টাকা ঘুস দিয়েছি

রমজানকেন্দ্রিক পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী, সরকারের হুমকির প্রভাব নেই বাজারে

রাজধানীসহ সারা দেশে ভোগ্যপণ্যের বাজারে রমজান সামনে রেখে বেড়েছে সব পণ্যের দাম। সরকারের নানা উদ্যোগের পরও কোনো পণ্যের দাম কমার লক্ষণ নেই। উলটো কিছু পণ্যের দাম বেড়েই চলছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই রোজার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন লোকজন।

শনিবার (৮ মার্চ) রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায় বাড়তি দামে বিক্রয় হচ্ছে সব পণ্য।

নিত্যপণ্যের দাম কমবে এমন আশায় সরকার শুল্ক ছাড় দিয়েছে। এর পরও দাম বাড়লে ব্যবস্থা নেওয়ার হুশিয়ারি দিয়েছিলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী। কিন্তু ভোগ্যপণ্যের দামে এর প্রভাব নেই। আগের মতোই অতিরিক্ত দামে বিক্রি হচ্ছে ভোগ্যপণ্য।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু জানান, রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, বাজারে নিরবচ্ছিন্নভাবে পণ্য সরবরাহ, বাজার মনিটরিংসহ সরকার নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আশা করা যায়, সরকারের এই পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়নের ফলে আসছে রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

তিনি বলেন, বাজারে নিরবচ্ছিন্ন পণ্য সরবরাহ করা গেলে কেউ আর কারসাজি ও মজুতদারি করে দ্রব্যমূল্য বাড়াতে পারবে না। তখন পণ্যমূল্য একটা যৌক্তিক পর্যায়ে থাকবে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার এ ব্যবস্থাটি নিশ্চিত করতে চাচ্ছে। এ ছাড়া আসন্ন রমজান উপলক্ষ্যে সরকার টিসিবির মাধ্যমে এক কোটি প্রান্তিক পরিবারকে চাল, ডাল, তেল, খেজুরসহ ৫ ধরনের পণ্য সরবরাহ করবে। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরে আসবে।

বাজারে গিয়ে দেখা যায়, রোজাদারদের ইফতারের জরুরি খাদ্য ছোলার দাম লাগাম ছাড়া। গত মাসেও ৮০ টাকায় বিক্রি হতো ভালো মানের ছোলা, এখন তা ১১০ টাকা। এ ছাড়া ১৪০ টাকার চিনি এখন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা।

রোজাদারদের জন্য তাৎক্ষণিক পুষ্টির জোগান দেওয়া সুস্বাদু খেজুর এবার ভোক্তাদের কাছে তেতোর শামিল। দাম হয়েছে দ্বিগুণ। গতবারের ২০০ টাকার খেজুর এবার ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

দাম বাড়ার বিষয়ে কারওয়ানবাজারের এক ক্রেতা বলেন, এখন খেজুর নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের জন্য নয়। শুধু উচ্চবিত্তরাই এখন খেজুর খাবেন।

এবার সেহরিতে মাংসের স্বাদ নিতে পারবে না অনেক মধ্য ও নিম্নবিত্ত। গেল কয়েক দিনে বয়লার ও সোনালি মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে ৩০ থেকে ৫০ টাকা। বয়লার মুরগির দাম প্রতি কেজির জন্য ২২০-২৪০ টাকা চাইছেন বিক্রেতারা। এ ছাড়া সোনালি মুরগি ৩২০ টাকা, দেশি মুরগি ৫৮০-৬০০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৬০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩৩০ টাকায়। আর জাতভেদে প্রতি কেজি হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০-৯০০ টাকায়।

কারওয়ানবাজারের মুরগির দোকানি বলেন, ১৫ দিন আগেও সোনালি মুররির কেজি ছিল ২৭০ টাকা, এখন তা ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চড়া গরুর মাংসের দামও। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকায়। আর খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৫০ টাকা থেকে এক হাজার ১০০ টাকায়।

দাম বাড়ার বিষয়ে এক গরুর মাংস বিক্রেতা বলেন, আমাদের ৭১৫ টাকা কেজি দরে কেনা পড়েছে। তা হলে কত দরে বিক্রি করব আপনারই বলুন?

মাছের বাজারও ঊর্ধ্বমুখী। প্রতি কেজি ইলিশে গুনতে হবে দুই হাজার টাকা। আর প্রতি কেজি তেলাপিয়া ২০০-২২০ টাকা, চাষের পাঙাশ ২০০-২২০ টাকা, চাষের শিং ৫২০ টাকা, চাষের মাগুর ৫৫০ টাকা ও চাষের কৈ ২৫০-৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর আকারভেদে প্রতি কেজি রুই ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাতলা ৪০০ থেকে ৪৮০, কোরাল ৭০০ থেকে ৭৫০, টেংরা ৫৫০ থেকে ৭০০, বোয়াল ৪৫০ থেকে ৫০০, আইড় ৮৫০ থেকে ৯০০ এবং বাইম এক হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি কেজি দেশি কৈ ১ হাজার ৩০০ থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা, শিং ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ এবং শোল ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাছ বিক্রেতা বলেন, গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি করেছি ১৮০০ টাকায়। বর্তমানে তা ২০০০ টাকা কেজি বিক্রি করতে হচ্ছে। বোয়াল মাছ গত সপ্তাহে ছিল ৪০০ টাকা কেজি এখন তা ৪৫০-৫০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

তবে কেজিতে ৫ টাকা কমায় কিছুটা স্বস্তি আছে সয়াবিন তেলে। কমানোর বিষয়ে বোতলের গায়ের রেটের সঙ্গে মিল না থাকায় ঝামেলা পোহানোর অভিযোগ করেছেন বিক্রেতারা।

সবজির বাজার খানিকটা স্থিতিশীল হলেও বেড়েছে লেবু ও শসার দাম। প্রতি কেজি বেগুন ৭০-৯০ টাকা, শিম ৪০-৫০, আলু ৩৫, বরবটি ৮০, মুলা ৩০, শালগম ২৫-৩০, শসা ৬০ টাকা এবং লতি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি কেজি পেঁপে ৪০ টাকা, খিরাই ৫০-৬০, গাজর ২০-৩০, টমেটো ৫০-৬০, চিচিঙ্গা ৬০, ঝিঙ্গা ৮০ এবং পেঁয়াজের কলি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। আর প্রতি পিস লাউ ৪০-৬০ টাকা, আকারভেদে প্রতি পিস ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৩০-৪০ এবং ব্রকলি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

 

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জলবায়ু অর্থায়ন নিয়ে তীব্র বিতর্ক: ১২তম দিনে গড়ালো কপ২৯ সম্মেলন

রমজানকেন্দ্রিক পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী, সরকারের হুমকির প্রভাব নেই বাজারে

আপডেট টাইম : ০৬:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ মার্চ ২০২৪

রাজধানীসহ সারা দেশে ভোগ্যপণ্যের বাজারে রমজান সামনে রেখে বেড়েছে সব পণ্যের দাম। সরকারের নানা উদ্যোগের পরও কোনো পণ্যের দাম কমার লক্ষণ নেই। উলটো কিছু পণ্যের দাম বেড়েই চলছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই রোজার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন লোকজন।

শনিবার (৮ মার্চ) রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায় বাড়তি দামে বিক্রয় হচ্ছে সব পণ্য।

নিত্যপণ্যের দাম কমবে এমন আশায় সরকার শুল্ক ছাড় দিয়েছে। এর পরও দাম বাড়লে ব্যবস্থা নেওয়ার হুশিয়ারি দিয়েছিলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী। কিন্তু ভোগ্যপণ্যের দামে এর প্রভাব নেই। আগের মতোই অতিরিক্ত দামে বিক্রি হচ্ছে ভোগ্যপণ্য।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু জানান, রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, বাজারে নিরবচ্ছিন্নভাবে পণ্য সরবরাহ, বাজার মনিটরিংসহ সরকার নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আশা করা যায়, সরকারের এই পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়নের ফলে আসছে রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

তিনি বলেন, বাজারে নিরবচ্ছিন্ন পণ্য সরবরাহ করা গেলে কেউ আর কারসাজি ও মজুতদারি করে দ্রব্যমূল্য বাড়াতে পারবে না। তখন পণ্যমূল্য একটা যৌক্তিক পর্যায়ে থাকবে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার এ ব্যবস্থাটি নিশ্চিত করতে চাচ্ছে। এ ছাড়া আসন্ন রমজান উপলক্ষ্যে সরকার টিসিবির মাধ্যমে এক কোটি প্রান্তিক পরিবারকে চাল, ডাল, তেল, খেজুরসহ ৫ ধরনের পণ্য সরবরাহ করবে। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরে আসবে।

বাজারে গিয়ে দেখা যায়, রোজাদারদের ইফতারের জরুরি খাদ্য ছোলার দাম লাগাম ছাড়া। গত মাসেও ৮০ টাকায় বিক্রি হতো ভালো মানের ছোলা, এখন তা ১১০ টাকা। এ ছাড়া ১৪০ টাকার চিনি এখন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা।

রোজাদারদের জন্য তাৎক্ষণিক পুষ্টির জোগান দেওয়া সুস্বাদু খেজুর এবার ভোক্তাদের কাছে তেতোর শামিল। দাম হয়েছে দ্বিগুণ। গতবারের ২০০ টাকার খেজুর এবার ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

দাম বাড়ার বিষয়ে কারওয়ানবাজারের এক ক্রেতা বলেন, এখন খেজুর নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের জন্য নয়। শুধু উচ্চবিত্তরাই এখন খেজুর খাবেন।

এবার সেহরিতে মাংসের স্বাদ নিতে পারবে না অনেক মধ্য ও নিম্নবিত্ত। গেল কয়েক দিনে বয়লার ও সোনালি মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে ৩০ থেকে ৫০ টাকা। বয়লার মুরগির দাম প্রতি কেজির জন্য ২২০-২৪০ টাকা চাইছেন বিক্রেতারা। এ ছাড়া সোনালি মুরগি ৩২০ টাকা, দেশি মুরগি ৫৮০-৬০০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৬০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩৩০ টাকায়। আর জাতভেদে প্রতি কেজি হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০-৯০০ টাকায়।

কারওয়ানবাজারের মুরগির দোকানি বলেন, ১৫ দিন আগেও সোনালি মুররির কেজি ছিল ২৭০ টাকা, এখন তা ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চড়া গরুর মাংসের দামও। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকায়। আর খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৫০ টাকা থেকে এক হাজার ১০০ টাকায়।

দাম বাড়ার বিষয়ে এক গরুর মাংস বিক্রেতা বলেন, আমাদের ৭১৫ টাকা কেজি দরে কেনা পড়েছে। তা হলে কত দরে বিক্রি করব আপনারই বলুন?

মাছের বাজারও ঊর্ধ্বমুখী। প্রতি কেজি ইলিশে গুনতে হবে দুই হাজার টাকা। আর প্রতি কেজি তেলাপিয়া ২০০-২২০ টাকা, চাষের পাঙাশ ২০০-২২০ টাকা, চাষের শিং ৫২০ টাকা, চাষের মাগুর ৫৫০ টাকা ও চাষের কৈ ২৫০-৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর আকারভেদে প্রতি কেজি রুই ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাতলা ৪০০ থেকে ৪৮০, কোরাল ৭০০ থেকে ৭৫০, টেংরা ৫৫০ থেকে ৭০০, বোয়াল ৪৫০ থেকে ৫০০, আইড় ৮৫০ থেকে ৯০০ এবং বাইম এক হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি কেজি দেশি কৈ ১ হাজার ৩০০ থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা, শিং ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ এবং শোল ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাছ বিক্রেতা বলেন, গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি করেছি ১৮০০ টাকায়। বর্তমানে তা ২০০০ টাকা কেজি বিক্রি করতে হচ্ছে। বোয়াল মাছ গত সপ্তাহে ছিল ৪০০ টাকা কেজি এখন তা ৪৫০-৫০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

তবে কেজিতে ৫ টাকা কমায় কিছুটা স্বস্তি আছে সয়াবিন তেলে। কমানোর বিষয়ে বোতলের গায়ের রেটের সঙ্গে মিল না থাকায় ঝামেলা পোহানোর অভিযোগ করেছেন বিক্রেতারা।

সবজির বাজার খানিকটা স্থিতিশীল হলেও বেড়েছে লেবু ও শসার দাম। প্রতি কেজি বেগুন ৭০-৯০ টাকা, শিম ৪০-৫০, আলু ৩৫, বরবটি ৮০, মুলা ৩০, শালগম ২৫-৩০, শসা ৬০ টাকা এবং লতি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি কেজি পেঁপে ৪০ টাকা, খিরাই ৫০-৬০, গাজর ২০-৩০, টমেটো ৫০-৬০, চিচিঙ্গা ৬০, ঝিঙ্গা ৮০ এবং পেঁয়াজের কলি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। আর প্রতি পিস লাউ ৪০-৬০ টাকা, আকারভেদে প্রতি পিস ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৩০-৪০ এবং ব্রকলি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।