ঢাকা , মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বাম রাজনীতি থেকে ‘অগ্নিকন্যা’, নৌকায় উঠে ক্ষমতায়, আ. লীগের দুঃসময়ে প্রস্থান ১০০ রানের লিড হলেই চলবে দক্ষিণ আফ্রিকার লেবানন থেকে দেশে ফিরেছেন ৫৪ বাংলাদেশি মৃত্যুর পর মরদেহ কী হবে, বলে গেছেন মনি কিশোর দুর্নীতি দমাতে ডিজিটাইজেশনে গুরুত্ব প্রধান উপদেষ্টার হাসিনার পদত্যাগ ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাংবিধানিক বৈধতা ‘মীমাংসিত’ ইস্যু, নয়া বিতর্ক সৃষ্টি আর নয় : প্রেসিডেন্ট বঙ্গভবনের বিলাসিতা ছেড়ে নিজের পথ দেখুন : রাষ্ট্রপতিকে হাসনাত জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সম্পাদক সারজিস, প্রধান নির্বাহী স্নিগ্ধ শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র ইস্যুতে মতিউর রহমান চৌধুরীকে যা বলেছেন রাষ্ট্রপতি জামায়াত নিষিদ্ধের বিপক্ষে ছিল জাতীয় পার্টি, দাবি জিএম কাদেরের

সিলেটে ত্রাণ পায়নি বলায় কান ধরে টানাহেঁচড়া

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ সিলেটে ত্রাণ না পাওয়ায় এক বন্যার্তকে কান ধরে টানাহেঁচড়ার ঘটনায় তোলপাড় চলছে। এমন ঘটনায় হতভম্ব হয়েছেন এলাকার মানুষও। তবে প্রশাসন বলছে- বন্যায় আক্রান্ত হওয়া লুৎফুর রহমান লকুস গত তিন মাস ধরে ভিজিএফ’র চাল ও নগদ টাকা পাচ্ছেন। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বলছেন- মিথ্যা বলার কারণে লকুসের মুরব্বি বাবুল মিয়া তাকে শাসন করেছেন। এর বেশি কিছু নয় বলে জানান তিনি। সিলেটের দক্ষিণ সুরমার দাউদপুর ইউনিয়নের ইনাত আলীপুর গ্রামের সোনা মিয়ার ছেলে লুৎফুর রহমান লকুসসহ কয়েকজন সম্প্রতি মিডিয়ার কাছে অভিযোগ করেছেন তারা বন্যায় আক্রান্ত হলেও ত্রাণ পাচ্ছে না। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে সুধী সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এই সুধী সমাবেশে ডেকে আনা হয় যারা ত্রাণ পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছে সেই সব অভিযুক্তদের। এর মধ্যে উপস্থিত হন লকুস মিয়া। তাকে ডেনে নিয়ে যাওয়া হয় মাইকে। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে লকুস মিয়া স্বীকার করেন তিনি ভিজিএফর চাল প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে পাচ্ছেন। একই সঙ্গে তাকে ৫০০ টাকা করেও মাসে দেয়া হয়েছে। তার এ কথায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন অনেকেই। এ সময় লকুসেরই এক আত্মীয় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা বাবুল মিয়া বন্যার্ত লকুসের কান টেনে ধরেন। এবং মিথ্যা বলার জন্য তাকে শাসান। এ বিষয়টি চাউর হওয়া মাত্র এলাকায় তোলপাড় চলছে। গতকাল দক্ষিণ সুরমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহেদ মোস্তাফা জানিয়েছেন- ঘটনাটি তিনি পত্রিকারান্তে শুনেছেন। এরপর খবর নিয়ে জেনেছেন যে, লকুস মিয়া গত তিন মাস ধরে ভিজিএফ’র চাল ও টাকা পেয়েছেন। সুতরাং তিনি সরকারি সহায়তার বাইরে ছিলেন না বলে জানান। স্থানীয় দাউদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এএইচএম খলিল মানবজমিনকে জানিয়েছেন- সরকারি সিদ্ধান্ত রয়েছে যারা ভিজিএফ’র চাল পাবেন তাদের খয়রাতি ত্রাণ দেয়া হবে না। যারা ভিজিএফ’র বাইরে রয়েছে তাদের ত্রাণ দেয়া হবে। লকুস তো সহায়তা পাচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে লকুস মিথ্যা বলার জন্য সবার কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন। আর লকুসকে ওই দিন শাসন করেছেন তার গ্রামের মুরব্বি বাবুল মিয়া। এর বেশি কিছু নয় বলে জানান তিনি।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

বাম রাজনীতি থেকে ‘অগ্নিকন্যা’, নৌকায় উঠে ক্ষমতায়, আ. লীগের দুঃসময়ে প্রস্থান

সিলেটে ত্রাণ পায়নি বলায় কান ধরে টানাহেঁচড়া

আপডেট টাইম : ০৫:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুলাই ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ সিলেটে ত্রাণ না পাওয়ায় এক বন্যার্তকে কান ধরে টানাহেঁচড়ার ঘটনায় তোলপাড় চলছে। এমন ঘটনায় হতভম্ব হয়েছেন এলাকার মানুষও। তবে প্রশাসন বলছে- বন্যায় আক্রান্ত হওয়া লুৎফুর রহমান লকুস গত তিন মাস ধরে ভিজিএফ’র চাল ও নগদ টাকা পাচ্ছেন। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বলছেন- মিথ্যা বলার কারণে লকুসের মুরব্বি বাবুল মিয়া তাকে শাসন করেছেন। এর বেশি কিছু নয় বলে জানান তিনি। সিলেটের দক্ষিণ সুরমার দাউদপুর ইউনিয়নের ইনাত আলীপুর গ্রামের সোনা মিয়ার ছেলে লুৎফুর রহমান লকুসসহ কয়েকজন সম্প্রতি মিডিয়ার কাছে অভিযোগ করেছেন তারা বন্যায় আক্রান্ত হলেও ত্রাণ পাচ্ছে না। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে সুধী সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এই সুধী সমাবেশে ডেকে আনা হয় যারা ত্রাণ পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছে সেই সব অভিযুক্তদের। এর মধ্যে উপস্থিত হন লকুস মিয়া। তাকে ডেনে নিয়ে যাওয়া হয় মাইকে। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে লকুস মিয়া স্বীকার করেন তিনি ভিজিএফর চাল প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে পাচ্ছেন। একই সঙ্গে তাকে ৫০০ টাকা করেও মাসে দেয়া হয়েছে। তার এ কথায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন অনেকেই। এ সময় লকুসেরই এক আত্মীয় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা বাবুল মিয়া বন্যার্ত লকুসের কান টেনে ধরেন। এবং মিথ্যা বলার জন্য তাকে শাসান। এ বিষয়টি চাউর হওয়া মাত্র এলাকায় তোলপাড় চলছে। গতকাল দক্ষিণ সুরমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহেদ মোস্তাফা জানিয়েছেন- ঘটনাটি তিনি পত্রিকারান্তে শুনেছেন। এরপর খবর নিয়ে জেনেছেন যে, লকুস মিয়া গত তিন মাস ধরে ভিজিএফ’র চাল ও টাকা পেয়েছেন। সুতরাং তিনি সরকারি সহায়তার বাইরে ছিলেন না বলে জানান। স্থানীয় দাউদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এএইচএম খলিল মানবজমিনকে জানিয়েছেন- সরকারি সিদ্ধান্ত রয়েছে যারা ভিজিএফ’র চাল পাবেন তাদের খয়রাতি ত্রাণ দেয়া হবে না। যারা ভিজিএফ’র বাইরে রয়েছে তাদের ত্রাণ দেয়া হবে। লকুস তো সহায়তা পাচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে লকুস মিথ্যা বলার জন্য সবার কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন। আর লকুসকে ওই দিন শাসন করেছেন তার গ্রামের মুরব্বি বাবুল মিয়া। এর বেশি কিছু নয় বলে জানান তিনি।