ঢাকা , মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বাম রাজনীতি থেকে ‘অগ্নিকন্যা’, নৌকায় উঠে ক্ষমতায়, আ. লীগের দুঃসময়ে প্রস্থান ১০০ রানের লিড হলেই চলবে দক্ষিণ আফ্রিকার লেবানন থেকে দেশে ফিরেছেন ৫৪ বাংলাদেশি মৃত্যুর পর মরদেহ কী হবে, বলে গেছেন মনি কিশোর দুর্নীতি দমাতে ডিজিটাইজেশনে গুরুত্ব প্রধান উপদেষ্টার হাসিনার পদত্যাগ ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাংবিধানিক বৈধতা ‘মীমাংসিত’ ইস্যু, নয়া বিতর্ক সৃষ্টি আর নয় : প্রেসিডেন্ট বঙ্গভবনের বিলাসিতা ছেড়ে নিজের পথ দেখুন : রাষ্ট্রপতিকে হাসনাত জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সম্পাদক সারজিস, প্রধান নির্বাহী স্নিগ্ধ শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র ইস্যুতে মতিউর রহমান চৌধুরীকে যা বলেছেন রাষ্ট্রপতি জামায়াত নিষিদ্ধের বিপক্ষে ছিল জাতীয় পার্টি, দাবি জিএম কাদেরের

চার শিশু হত্যা: মামলার রায় বুধবার

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ  হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার সুন্দ্রাটিকি গ্রামের আলোচিত চার শিশু হত্যা মামলার রায় আগামীকাল বুধবার ধার্য্য করা হয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল ১১ টার দিকে সিলেটে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মকবুল আহসান এ রায়ের দিন নির্ধারণ করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কিশোর কুমার কর এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় সুন্দ্রাটিকি গ্রামের আবদাল মিয়া তালুকদারের ছেলে মনির মিয়া (৭), ওয়াহিদ মিয়ার ছেলে জাকারিয়া আহমেদ শুভ (৮), আব্দুল আজিজের ছেলে তাজেল মিয়া (১০) ও আব্দুল কাদিরের ছেলে ইসমাইল হোসেন (১০)। মনির সুন্দ্রাটিকি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে, তার দুই চাচাত ভাই শুভ ও তাজেল একই স্কুলে দ্বিতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে পড়তো। আর তাদের প্রতিবেশী ইসমাইল ছিল সুন্দ্রাটিকি মাদরাসার ছাত্র।

নিখোঁজের পাঁচদিন পর ইছাবিল থেকে তাদের বালিচাপা লাশ উদ্ধার হলে দেশজুড়ে আলোচনা সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় বাহুবল থানায় নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন মনির মিয়ার বাবা আবদাল মিয়া।

২০১৬ সালের ২৯ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির তৎকালীন ওসি মোক্তাদির হোসেন নয়জনের বিরুদ্ধেই আদালতে অভিযোগপত্র দেন।

সুন্দ্রাটিকি গ্রামের দুই পঞ্চায়েত আবদাল মিয়া তালুকদার ও আব্দুল আলী বাগালের মধ্যে পারিবারিক বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয় বলে মামলার তদন্ত ও আসামিদের দেওয়া স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে পুলিশ জানিয়েছে।

এ মামলায় কারাগারে রয়েছেন পঞ্চায়েত প্রধান আব্দুল আলী বাগাল, তার দুই ছেলে রুবেল মিয়া ও জুয়েল মিয়া, তার সেকেন্ড ইন কমান্ড আরজু মিয়া ও শাহেদ মিয়া। বাচ্চু মিয়া নামের একজন র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মারা যান। আর এ মামলার পলাতক আসামি উস্তার মিয়া, বাবুল মিয়া ও বিল্লাল পলাতক রয়েছেন। গ্রেফতারকৃত আসামিদের মধ্যে চারজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এ বছরের ৭ সেপ্টেম্বর মামলার বিচারকার্য শুরু হয়। গত ১৫ মার্চ মামলাটি সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়েছিল। মামলার ৫৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ৫২ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার মামলার রায় ঘোষণা করা হচ্ছে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

বাম রাজনীতি থেকে ‘অগ্নিকন্যা’, নৌকায় উঠে ক্ষমতায়, আ. লীগের দুঃসময়ে প্রস্থান

চার শিশু হত্যা: মামলার রায় বুধবার

আপডেট টাইম : ০১:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুলাই ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ  হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার সুন্দ্রাটিকি গ্রামের আলোচিত চার শিশু হত্যা মামলার রায় আগামীকাল বুধবার ধার্য্য করা হয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল ১১ টার দিকে সিলেটে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মকবুল আহসান এ রায়ের দিন নির্ধারণ করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কিশোর কুমার কর এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় সুন্দ্রাটিকি গ্রামের আবদাল মিয়া তালুকদারের ছেলে মনির মিয়া (৭), ওয়াহিদ মিয়ার ছেলে জাকারিয়া আহমেদ শুভ (৮), আব্দুল আজিজের ছেলে তাজেল মিয়া (১০) ও আব্দুল কাদিরের ছেলে ইসমাইল হোসেন (১০)। মনির সুন্দ্রাটিকি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে, তার দুই চাচাত ভাই শুভ ও তাজেল একই স্কুলে দ্বিতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে পড়তো। আর তাদের প্রতিবেশী ইসমাইল ছিল সুন্দ্রাটিকি মাদরাসার ছাত্র।

নিখোঁজের পাঁচদিন পর ইছাবিল থেকে তাদের বালিচাপা লাশ উদ্ধার হলে দেশজুড়ে আলোচনা সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় বাহুবল থানায় নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন মনির মিয়ার বাবা আবদাল মিয়া।

২০১৬ সালের ২৯ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির তৎকালীন ওসি মোক্তাদির হোসেন নয়জনের বিরুদ্ধেই আদালতে অভিযোগপত্র দেন।

সুন্দ্রাটিকি গ্রামের দুই পঞ্চায়েত আবদাল মিয়া তালুকদার ও আব্দুল আলী বাগালের মধ্যে পারিবারিক বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয় বলে মামলার তদন্ত ও আসামিদের দেওয়া স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে পুলিশ জানিয়েছে।

এ মামলায় কারাগারে রয়েছেন পঞ্চায়েত প্রধান আব্দুল আলী বাগাল, তার দুই ছেলে রুবেল মিয়া ও জুয়েল মিয়া, তার সেকেন্ড ইন কমান্ড আরজু মিয়া ও শাহেদ মিয়া। বাচ্চু মিয়া নামের একজন র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মারা যান। আর এ মামলার পলাতক আসামি উস্তার মিয়া, বাবুল মিয়া ও বিল্লাল পলাতক রয়েছেন। গ্রেফতারকৃত আসামিদের মধ্যে চারজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এ বছরের ৭ সেপ্টেম্বর মামলার বিচারকার্য শুরু হয়। গত ১৫ মার্চ মামলাটি সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়েছিল। মামলার ৫৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ৫২ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার মামলার রায় ঘোষণা করা হচ্ছে।