ঢাকা , মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বাম রাজনীতি থেকে ‘অগ্নিকন্যা’, নৌকায় উঠে ক্ষমতায়, আ. লীগের দুঃসময়ে প্রস্থান ১০০ রানের লিড হলেই চলবে দক্ষিণ আফ্রিকার লেবানন থেকে দেশে ফিরেছেন ৫৪ বাংলাদেশি মৃত্যুর পর মরদেহ কী হবে, বলে গেছেন মনি কিশোর দুর্নীতি দমাতে ডিজিটাইজেশনে গুরুত্ব প্রধান উপদেষ্টার হাসিনার পদত্যাগ ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাংবিধানিক বৈধতা ‘মীমাংসিত’ ইস্যু, নয়া বিতর্ক সৃষ্টি আর নয় : প্রেসিডেন্ট বঙ্গভবনের বিলাসিতা ছেড়ে নিজের পথ দেখুন : রাষ্ট্রপতিকে হাসনাত জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সম্পাদক সারজিস, প্রধান নির্বাহী স্নিগ্ধ শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র ইস্যুতে মতিউর রহমান চৌধুরীকে যা বলেছেন রাষ্ট্রপতি জামায়াত নিষিদ্ধের বিপক্ষে ছিল জাতীয় পার্টি, দাবি জিএম কাদেরের

জলজটে পোয়াবার রিকশাচালকদের

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ  -এই রিকশা যাবেন?

-কোথায় যাবেন মামা?

-খিলগাঁও রেলগেইট।

-না, মামা তিলপাড়া পাড়ায় কোমর পর্যন্ত পানি জইম্যা আছে। যাওয়া যাবে না।’

-তাহলে কোথায় যাবেন? বাসাবো বিশ্বরোড?

-জ্বি, মামা যামু।

-ভাড়া কত?

-৪০ টাকা মামা।

-এত ভাড়া কেন? এখান থেকে তো প্রতিদিন ২০ টাকায় যাই।

-মামা আজকে সারাদিন মানুষ ঘর থেকে বাইর অয়নাই। পানির মধ্যে গাড়ি টানা খুব কষ্টকর। ৩০ টাকায় যাইবেন মামা?

বুধবার সকাল থেকেই তুমুল বৃষ্টি ঢাকায়। থেমেছে বেলা দেড়টার সময়। বৃষ্টির কারণে অধিকাংশ মানুষই সকাল থেকে ঘর থেকে বের হতে পারেনি। খুব প্রয়োজন ছাড়া কেউই ঘর থেকে বের হননি।

সকাল থেকেই বৃষ্টির কারণে খিলগাঁও-বাসাবো এলাকায় বুক সমান পানি জমেছিল। এ কারণে ওই এলাকায় রিকশা,ভ্যান, ইজিবাইক এবং সিএনজিসহ কোন যানবাহন পাওয়া যায়নি।

দুপুর দুইটার সময়ে বাসাবো ট্যাম্পু স্ট্যান্ডে এক টুকরো রোদের দেখা মিলেছিল। সেখানে কিছুটা যানজটও ছিল। তবে সকাল থেকে ওইসব এলাকায় তেমন কোন লোকজন দেখা যায়নি। ছিল কোমড় পর্যন্ত পানি। তবে পানি নামতে শুরু করায় মানুষ বাইরে এসেছে। বের করেছে কিছু কিছু করে যানবাহন।

পশ্চিম মাদারটেক থাকেন সাইদুজ্জামান সোহেল। তার খালাতো বোনের বিয়ে উপলক্ষে যাওয়ার কথা ছিল নরসিংদীতে। কিন্তু বৃষ্টির কারণে দুপুর পর্যন্ত বের হতে পারেননি। পরে তার খালু ওয়ালিউর রহমান একটি প্রাইভেটকার আনলে তিনি তার বৃদ্ধ বাবা-মাকে ওই গাড়িতে তুলে দেন। কিন্তু কোন রিকশা বা সিএনজি পাননি দুপুর পর্যন্ত রামপুরায় আরেক খালার বাসায় যাওয়ার জন্য।

মনসুর আলী নামের এক যুবক চাকরি করেন তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় একটি বিজ্ঞাপন সংস্থায়। তিনি থাকেন মাদারটেক উত্তর পাড়ায়। বৃষ্টির কারণে ওই এলাকায় কোন যানবাহন না পেয়ে তিনিও তার কর্মস্থলে যেতে পারেননি আজ। অবশ্য মনসুরের মত আরিফ, মেজবাহ, শিহাব নামের অনেকেই কর্মস্থলে যেতে পারেননি বৃষ্টির কারণে।

স্থানীয়রা জানান, নন্দীপাড়া থেকে বাসাবো বিশ্বরোডের এই রাস্তাটি দীর্ঘ সময় ধরে ভাঙা, খানাখন্দকে ভরপুর।

এই এলাকায় মধ্যবিত্ত ও নিম্মআয়ের অনেক মানুষ বাস করে। এসব এলাকার ওয়াসার ম্যানহোল বিভিন্ন কারণে বন্ধ থাকে। যার কারণে পানি চলাচল করতে না পারায় এই জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। একদিকে রাস্তার সমস্যা অন্যদিকে বৃষ্টি হলেই এসব এলাকায় পানি জমে যায়।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

বাম রাজনীতি থেকে ‘অগ্নিকন্যা’, নৌকায় উঠে ক্ষমতায়, আ. লীগের দুঃসময়ে প্রস্থান

জলজটে পোয়াবার রিকশাচালকদের

আপডেট টাইম : ০২:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুলাই ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ  -এই রিকশা যাবেন?

-কোথায় যাবেন মামা?

-খিলগাঁও রেলগেইট।

-না, মামা তিলপাড়া পাড়ায় কোমর পর্যন্ত পানি জইম্যা আছে। যাওয়া যাবে না।’

-তাহলে কোথায় যাবেন? বাসাবো বিশ্বরোড?

-জ্বি, মামা যামু।

-ভাড়া কত?

-৪০ টাকা মামা।

-এত ভাড়া কেন? এখান থেকে তো প্রতিদিন ২০ টাকায় যাই।

-মামা আজকে সারাদিন মানুষ ঘর থেকে বাইর অয়নাই। পানির মধ্যে গাড়ি টানা খুব কষ্টকর। ৩০ টাকায় যাইবেন মামা?

বুধবার সকাল থেকেই তুমুল বৃষ্টি ঢাকায়। থেমেছে বেলা দেড়টার সময়। বৃষ্টির কারণে অধিকাংশ মানুষই সকাল থেকে ঘর থেকে বের হতে পারেনি। খুব প্রয়োজন ছাড়া কেউই ঘর থেকে বের হননি।

সকাল থেকেই বৃষ্টির কারণে খিলগাঁও-বাসাবো এলাকায় বুক সমান পানি জমেছিল। এ কারণে ওই এলাকায় রিকশা,ভ্যান, ইজিবাইক এবং সিএনজিসহ কোন যানবাহন পাওয়া যায়নি।

দুপুর দুইটার সময়ে বাসাবো ট্যাম্পু স্ট্যান্ডে এক টুকরো রোদের দেখা মিলেছিল। সেখানে কিছুটা যানজটও ছিল। তবে সকাল থেকে ওইসব এলাকায় তেমন কোন লোকজন দেখা যায়নি। ছিল কোমড় পর্যন্ত পানি। তবে পানি নামতে শুরু করায় মানুষ বাইরে এসেছে। বের করেছে কিছু কিছু করে যানবাহন।

পশ্চিম মাদারটেক থাকেন সাইদুজ্জামান সোহেল। তার খালাতো বোনের বিয়ে উপলক্ষে যাওয়ার কথা ছিল নরসিংদীতে। কিন্তু বৃষ্টির কারণে দুপুর পর্যন্ত বের হতে পারেননি। পরে তার খালু ওয়ালিউর রহমান একটি প্রাইভেটকার আনলে তিনি তার বৃদ্ধ বাবা-মাকে ওই গাড়িতে তুলে দেন। কিন্তু কোন রিকশা বা সিএনজি পাননি দুপুর পর্যন্ত রামপুরায় আরেক খালার বাসায় যাওয়ার জন্য।

মনসুর আলী নামের এক যুবক চাকরি করেন তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় একটি বিজ্ঞাপন সংস্থায়। তিনি থাকেন মাদারটেক উত্তর পাড়ায়। বৃষ্টির কারণে ওই এলাকায় কোন যানবাহন না পেয়ে তিনিও তার কর্মস্থলে যেতে পারেননি আজ। অবশ্য মনসুরের মত আরিফ, মেজবাহ, শিহাব নামের অনেকেই কর্মস্থলে যেতে পারেননি বৃষ্টির কারণে।

স্থানীয়রা জানান, নন্দীপাড়া থেকে বাসাবো বিশ্বরোডের এই রাস্তাটি দীর্ঘ সময় ধরে ভাঙা, খানাখন্দকে ভরপুর।

এই এলাকায় মধ্যবিত্ত ও নিম্মআয়ের অনেক মানুষ বাস করে। এসব এলাকার ওয়াসার ম্যানহোল বিভিন্ন কারণে বন্ধ থাকে। যার কারণে পানি চলাচল করতে না পারায় এই জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। একদিকে রাস্তার সমস্যা অন্যদিকে বৃষ্টি হলেই এসব এলাকায় পানি জমে যায়।