ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কৃষি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ছে ১৬ শতাংশ

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ  সদ্য শেষ হওয়া অর্থবছরে কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৭ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা। বছর শেষে দেখা গেছে বিতরণ হয়েছে ২০ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকা। চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এ খাতে ঋণের লক্ষ্যমাত্রা আগের অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ১৬ শতাংশ বাড়ানো হচ্ছে। অর্থাত্ ব্যাংকগুলোর জন্য লক্ষমাত্রা ধরা হচ্ছে ২০ হাজার ৩৬০ কোটি টাকা।
আজ বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় কৃষি ও পল্লীঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস.এম মনিরুজ্জামান এ নীতিমালা ঘোষণা করেন। এতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও সংশ্লিস্ট বিভাগের মহাব্যবস্থাপক ছাড়াও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীরা উপস্থিত থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, বেসরকারি ও বিদেশি ব্যাংকের ক্ষেত্রে স্ব স্ব ব্যাংকের নিট ঋণ ও অগ্রিমের ন্যূনতম দুই শতাংশ কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণের যে বিধান রয়েছে তা বহাল থাকছে। তবে এবার এ ক্ষেত্রে আরো কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। কোন ব্যাংক যাতে লক্ষ্যমাত্রা কমাতে না পারে সে বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে তদারকি করা হয়েছে। এদিকে সব তফসীলি ব্যাংককে লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হলেও আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের দৈন্যদশার কারণে কৃষি ও পল্লী ঋণ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, আগের বছরের মতই শস্য ও ফসল চাষের ক্ষেত্রে সিআইবি রিপোর্ট ছাড়াই একজন কৃষক সর্বোচ্চ আড়াই লাখ টাকা ঋণ নিতে পারবেন। এছাড়া সরকারি ও বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে নিজস্ব নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে বাধ্যতামূলকভাবে নির্ধারিত কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণ লক্ষ্যমাত্রার ন্যূনতম ৩০ শতাংশ বিতরণ করার যে বিধান ছিল তাই থাকছে। আর নেটওয়ার্ক অপতুলতার কারণে বিদেশী ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে এ নিয়ম কার্যকর না হওয়ার যে বিধান ছিল তা বহাল থাকবে। এর বাইরে অন্যান্য মূল নীতিমালায় খুব বেশি পরিবর্তন আসছে না। সেগুলো আগের মতই থাকছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষি ঋণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, দেশে প্রচলিত ফসলের পাশাপাশি বিদেশি ফল ও ফসল চাষে কৃষকদের উত্সাহিত করার জন্য নতুন কৃষি ঋণ নীতিমালায় নির্দেশনা থাকবে। ওইসব বিদেশি সব্জি, ফল ও ফসলে মধ্যে কোন কোনটায় ঋণ দেওয়া যাবে, সে বিষয়ে বলা থাকবে। যেমন, স্কোয়াশ ও কাসাভা চাষের ক্ষেত্রে কৃষকদের উত্সাহিত করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগের কথা বলা থাকবে এবারের কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালায়।
গেল অর্থবছরে কৃষি খাতে ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে রাষ্ট্রীয় ৮টি ব্যাংকের জন্য নির্ধারিত ছিল নয় হাজার ২৯০ কোটি টাকা। বছর শেষে রাষ্ট্রীয় মালিকানার এসব ব্যাংক নয় হাজার ৬৯৮ কোটি টাকা বিতরণ কয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার ১০৪ দশমিক ৪০ শতাংশ। আর বেসরকারি ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর জন্য আট হাজার ২৬০ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রা ছিল।
Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

কৃষি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ছে ১৬ শতাংশ

আপডেট টাইম : ০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই ২০১৭
বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ  সদ্য শেষ হওয়া অর্থবছরে কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৭ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা। বছর শেষে দেখা গেছে বিতরণ হয়েছে ২০ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকা। চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এ খাতে ঋণের লক্ষ্যমাত্রা আগের অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ১৬ শতাংশ বাড়ানো হচ্ছে। অর্থাত্ ব্যাংকগুলোর জন্য লক্ষমাত্রা ধরা হচ্ছে ২০ হাজার ৩৬০ কোটি টাকা।
আজ বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় কৃষি ও পল্লীঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস.এম মনিরুজ্জামান এ নীতিমালা ঘোষণা করেন। এতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও সংশ্লিস্ট বিভাগের মহাব্যবস্থাপক ছাড়াও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীরা উপস্থিত থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, বেসরকারি ও বিদেশি ব্যাংকের ক্ষেত্রে স্ব স্ব ব্যাংকের নিট ঋণ ও অগ্রিমের ন্যূনতম দুই শতাংশ কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণের যে বিধান রয়েছে তা বহাল থাকছে। তবে এবার এ ক্ষেত্রে আরো কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। কোন ব্যাংক যাতে লক্ষ্যমাত্রা কমাতে না পারে সে বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে তদারকি করা হয়েছে। এদিকে সব তফসীলি ব্যাংককে লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হলেও আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের দৈন্যদশার কারণে কৃষি ও পল্লী ঋণ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, আগের বছরের মতই শস্য ও ফসল চাষের ক্ষেত্রে সিআইবি রিপোর্ট ছাড়াই একজন কৃষক সর্বোচ্চ আড়াই লাখ টাকা ঋণ নিতে পারবেন। এছাড়া সরকারি ও বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে নিজস্ব নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে বাধ্যতামূলকভাবে নির্ধারিত কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণ লক্ষ্যমাত্রার ন্যূনতম ৩০ শতাংশ বিতরণ করার যে বিধান ছিল তাই থাকছে। আর নেটওয়ার্ক অপতুলতার কারণে বিদেশী ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে এ নিয়ম কার্যকর না হওয়ার যে বিধান ছিল তা বহাল থাকবে। এর বাইরে অন্যান্য মূল নীতিমালায় খুব বেশি পরিবর্তন আসছে না। সেগুলো আগের মতই থাকছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষি ঋণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, দেশে প্রচলিত ফসলের পাশাপাশি বিদেশি ফল ও ফসল চাষে কৃষকদের উত্সাহিত করার জন্য নতুন কৃষি ঋণ নীতিমালায় নির্দেশনা থাকবে। ওইসব বিদেশি সব্জি, ফল ও ফসলে মধ্যে কোন কোনটায় ঋণ দেওয়া যাবে, সে বিষয়ে বলা থাকবে। যেমন, স্কোয়াশ ও কাসাভা চাষের ক্ষেত্রে কৃষকদের উত্সাহিত করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগের কথা বলা থাকবে এবারের কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালায়।
গেল অর্থবছরে কৃষি খাতে ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে রাষ্ট্রীয় ৮টি ব্যাংকের জন্য নির্ধারিত ছিল নয় হাজার ২৯০ কোটি টাকা। বছর শেষে রাষ্ট্রীয় মালিকানার এসব ব্যাংক নয় হাজার ৬৯৮ কোটি টাকা বিতরণ কয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার ১০৪ দশমিক ৪০ শতাংশ। আর বেসরকারি ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর জন্য আট হাজার ২৬০ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রা ছিল।