ঢাকা , বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অবাক হবেন কাঁচা মরিচের উপকারিতা জানলে

কাঁচা মরিচ প্রায় সবাই পছন্দ করেন। মূলত এর পুষ্টিগুণের কারণেই কাঁচা মরিচ সবার পছন্দের। এটিকে অঞ্চলভেদে কেউ গ্রিন চিলি, কেউ আবার সবুজ মরিচও বলে থাকেন।
মশলার উপাদান হিসেবে বিভিন্ন ধরনের মুখরোচক খাবারে ব্যবহার করা হয় কাঁচা মরিচ। এটি যে শুধু খাবারের স্বাদ বৃদ্ধি করে, বিষয়টি তা নয়। একক খাদ্য উপাদান হিসেবেও বিশেষ ভূমিকা রাখে কাঁচা মরিচ। কাঁচা মরিচের চাটনি বা আঁচারও অনেক সুস্বাদু। শরীরের বিভিন্ন পুষ্টির ঘাটতি পূরণে সক্ষম এই উপাদান।
কাঁচা মরিচে আয়রন, পটাসিয়াম, ভিটামিন সি, এ-সহ প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ উপাদান রয়েছে। যা শরীরকে সুস্থ রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এবার কাঁচা মরিচের অন্যান্য উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।
ওজন নিয়ন্ত্রণে: কাঁচা মরিচের প্রধান উপাদান হচ্ছে ক্যাপসাইসিন। যা বিপাককে ত্বরান্বিত করে থাকে। ক্যাপসাইসিন উপাদান খাওয়ার পর শরীরে তাপ উৎপাদন করে বিপাক বৃদ্ধি করে। আর দ্রুত বিপাকের জন্য সঞ্চিত চর্বি ভেঙে যায়। এতে ওজনও কমে। এছাড়া কাঁচা মরিচে বিদ্যমান ভিটামিন বি৫ এর উপস্থিতি ফ্যাটি অ্যাসিড ভাঙনে সহায়তা করে। এমনকি এতে কোনো ক্যালোরি নেই।
দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ভিটামিন এ-এর অভাবে রাতকানা রোগ হতে পারে। গুরুতর পরিস্থিতিতে স্থাীয় অন্ধত্বও হতে পারে। এ ক্ষেত্রে কাঁচা মরিচ হচ্ছে ভিটামিন এ সমৃদ্ধ। যা নিয়মিত খাওয়ার ফলে দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে দারুণ উপকার মিলতে পারে। এছাড়া এতে থাকা অন্যান্য উপাদান চোখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
ত্বককে উজ্জ্বল করে: কাঁচা মরিচে থাকা শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন সি শরীরের প্রয়োজনীয় কোলাজন তৈরিতে সহায়তা করে। যা আপনার ত্বককে টানটান ও স্বাস্থ্যকর করে তোলে। এটি ত্বকের ক্ষতি প্রতিরোধে বাধা হিসেবে কাজ করে। এছাড়া ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট উপাদান বলি রেখা, দাগ, ব্রণ, ফুসকুড়ি এবং ভিটামিন ই ত্বকের জন্য উপকারী প্রাকৃতিক তেল তৈরি করে।
রোগপ্রতিরোধে উপকারী: কাঁচা মরিচে থাকা ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট উপাদান হাঁপানি, সর্দি, কাশি ও ফুসফুসের রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। একইসঙ্গে শ্বাসতন্ত্রকে শান্ত করে এবং ফুসফুসের ক্যানসারের ঝুঁকি হ্রাস করে।
মেজাজ ভালো রাখে: খাদ্যতালিকায় কাঁচা মরিচ রাখলে উদ্বিগ্ন দূর হয়। এতে থাকা ক্যাপসাইসিন উপাদান অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট হিসেবে কাজ করে। ফলে মেজাজ প্রফুল্ল থাকে।
Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

অবাক হবেন কাঁচা মরিচের উপকারিতা জানলে

আপডেট টাইম : ০৫:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
কাঁচা মরিচ প্রায় সবাই পছন্দ করেন। মূলত এর পুষ্টিগুণের কারণেই কাঁচা মরিচ সবার পছন্দের। এটিকে অঞ্চলভেদে কেউ গ্রিন চিলি, কেউ আবার সবুজ মরিচও বলে থাকেন।
মশলার উপাদান হিসেবে বিভিন্ন ধরনের মুখরোচক খাবারে ব্যবহার করা হয় কাঁচা মরিচ। এটি যে শুধু খাবারের স্বাদ বৃদ্ধি করে, বিষয়টি তা নয়। একক খাদ্য উপাদান হিসেবেও বিশেষ ভূমিকা রাখে কাঁচা মরিচ। কাঁচা মরিচের চাটনি বা আঁচারও অনেক সুস্বাদু। শরীরের বিভিন্ন পুষ্টির ঘাটতি পূরণে সক্ষম এই উপাদান।
কাঁচা মরিচে আয়রন, পটাসিয়াম, ভিটামিন সি, এ-সহ প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ উপাদান রয়েছে। যা শরীরকে সুস্থ রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এবার কাঁচা মরিচের অন্যান্য উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।
ওজন নিয়ন্ত্রণে: কাঁচা মরিচের প্রধান উপাদান হচ্ছে ক্যাপসাইসিন। যা বিপাককে ত্বরান্বিত করে থাকে। ক্যাপসাইসিন উপাদান খাওয়ার পর শরীরে তাপ উৎপাদন করে বিপাক বৃদ্ধি করে। আর দ্রুত বিপাকের জন্য সঞ্চিত চর্বি ভেঙে যায়। এতে ওজনও কমে। এছাড়া কাঁচা মরিচে বিদ্যমান ভিটামিন বি৫ এর উপস্থিতি ফ্যাটি অ্যাসিড ভাঙনে সহায়তা করে। এমনকি এতে কোনো ক্যালোরি নেই।
দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ভিটামিন এ-এর অভাবে রাতকানা রোগ হতে পারে। গুরুতর পরিস্থিতিতে স্থাীয় অন্ধত্বও হতে পারে। এ ক্ষেত্রে কাঁচা মরিচ হচ্ছে ভিটামিন এ সমৃদ্ধ। যা নিয়মিত খাওয়ার ফলে দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে দারুণ উপকার মিলতে পারে। এছাড়া এতে থাকা অন্যান্য উপাদান চোখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
ত্বককে উজ্জ্বল করে: কাঁচা মরিচে থাকা শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন সি শরীরের প্রয়োজনীয় কোলাজন তৈরিতে সহায়তা করে। যা আপনার ত্বককে টানটান ও স্বাস্থ্যকর করে তোলে। এটি ত্বকের ক্ষতি প্রতিরোধে বাধা হিসেবে কাজ করে। এছাড়া ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট উপাদান বলি রেখা, দাগ, ব্রণ, ফুসকুড়ি এবং ভিটামিন ই ত্বকের জন্য উপকারী প্রাকৃতিক তেল তৈরি করে।
রোগপ্রতিরোধে উপকারী: কাঁচা মরিচে থাকা ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট উপাদান হাঁপানি, সর্দি, কাশি ও ফুসফুসের রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। একইসঙ্গে শ্বাসতন্ত্রকে শান্ত করে এবং ফুসফুসের ক্যানসারের ঝুঁকি হ্রাস করে।
মেজাজ ভালো রাখে: খাদ্যতালিকায় কাঁচা মরিচ রাখলে উদ্বিগ্ন দূর হয়। এতে থাকা ক্যাপসাইসিন উপাদান অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট হিসেবে কাজ করে। ফলে মেজাজ প্রফুল্ল থাকে।