ঢাকা , রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুয়াশা ও ঠাণ্ডা বাতাসে জবুথবু ছিন্নমূল মানুষ

ঘন কুয়াশায় ঢেকে গেছে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে কনকনে ঠাণ্ডা বাতাসে জবুথবু এ উপজেলার মানুষ। দিনের তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। ভোর থেকেকুয়াশাচ্ছন্ন থাকে পুরো রাস্তাঘাট।

গত দুদিন আগে তীব্র রোদ ছিল আজ সকাল থেকে ঘন কুয়াশায় পড়তে শুরু করছে এ জনপদে। মহা সড়কের যানবাহন গুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। অপরদিকে হাসপাতালগুলোতে শিশু ও বৃদ্ধ রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।

আজ রবিবার ভোর থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত লালমনিরহাটে ঘন কুয়াশায় ঢাকা ছিল। ঘন কুয়াশা থাকায় লালমনিরহাট বুড়িমারী মহাসড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।

কালীগঞ্জ দুহুলী এলাকায় রিকশা চালক নির্মল চন্দ্র বলেন, ‘গত দুদিন থেকে প্রচুর পরিমাণে রোদ ছিল আর আজ ঘন কুয়াশা দেখা যাচ্ছে। কুয়াশার পাশাপাশি ঠান্ডাও বাড়ছে। ঘন কুয়াশার কারণে যাত্রীর সংখ্যাও কম।’

কাকিনা এলাকার বাসিন্দা জুয়েল মিয়া জানান, কনকনে ঠান্ডায় কাঁপছে চরাঞ্চলের মানুষ। অনেকেই শীত নিবারণ করছে খড়কুটো জ্বালাচ্ছে।

রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, ‘লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ডিসেম্বরের শেষে ঠান্ডা প্রকোপ বাড়বে।’

লালমনিরহাটে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বাড়তে শুরু করেছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা । নিউমোনিয়া, সর্দি, কাশি, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগ নিয়ে ভর্তি হচ্ছে রোগীরা।

কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মকর্তা আলী রাজিব মোহাম্মদ নাসের জানান, হাসপাতালে কয়েকদিন থেকে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যা বাড়ছে। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি রোগীদের সেবা দিতে।

কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত আনোয়ারা তুমপা বলেন, ‘প্রতি বছর এসব এলাকায় শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছিন্নমূল মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হবে।’

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

কুয়াশা ও ঠাণ্ডা বাতাসে জবুথবু ছিন্নমূল মানুষ

আপডেট টাইম : ১০ ঘন্টা আগে

ঘন কুয়াশায় ঢেকে গেছে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে কনকনে ঠাণ্ডা বাতাসে জবুথবু এ উপজেলার মানুষ। দিনের তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। ভোর থেকেকুয়াশাচ্ছন্ন থাকে পুরো রাস্তাঘাট।

গত দুদিন আগে তীব্র রোদ ছিল আজ সকাল থেকে ঘন কুয়াশায় পড়তে শুরু করছে এ জনপদে। মহা সড়কের যানবাহন গুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। অপরদিকে হাসপাতালগুলোতে শিশু ও বৃদ্ধ রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।

আজ রবিবার ভোর থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত লালমনিরহাটে ঘন কুয়াশায় ঢাকা ছিল। ঘন কুয়াশা থাকায় লালমনিরহাট বুড়িমারী মহাসড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।

কালীগঞ্জ দুহুলী এলাকায় রিকশা চালক নির্মল চন্দ্র বলেন, ‘গত দুদিন থেকে প্রচুর পরিমাণে রোদ ছিল আর আজ ঘন কুয়াশা দেখা যাচ্ছে। কুয়াশার পাশাপাশি ঠান্ডাও বাড়ছে। ঘন কুয়াশার কারণে যাত্রীর সংখ্যাও কম।’

কাকিনা এলাকার বাসিন্দা জুয়েল মিয়া জানান, কনকনে ঠান্ডায় কাঁপছে চরাঞ্চলের মানুষ। অনেকেই শীত নিবারণ করছে খড়কুটো জ্বালাচ্ছে।

রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, ‘লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ডিসেম্বরের শেষে ঠান্ডা প্রকোপ বাড়বে।’

লালমনিরহাটে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বাড়তে শুরু করেছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা । নিউমোনিয়া, সর্দি, কাশি, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগ নিয়ে ভর্তি হচ্ছে রোগীরা।

কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মকর্তা আলী রাজিব মোহাম্মদ নাসের জানান, হাসপাতালে কয়েকদিন থেকে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যা বাড়ছে। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি রোগীদের সেবা দিতে।

কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত আনোয়ারা তুমপা বলেন, ‘প্রতি বছর এসব এলাকায় শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছিন্নমূল মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হবে।’