ঢাকা , সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে টিকিট ব্যবস্থা চালু কাজে ফিরলেন মেট্রোরেল কর্মীরা

মেট্রোরেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের আশ্বাসে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেছেন আন্দোলনরত কর্মীরা। সেই সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর বিভিন্ন স্টেশনে টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে।
আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে কাজে ফেরেন আন্দোলনরত কর্মীরা।

এর আগে এমআরটি পুলিশের হাতে মেট্রোরেলের ৪ কর্মী লাঞ্ছিতের প্রতিবাদে সকাল থেকেই কর্মবিরতি শুরু করেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তবে জনসাধারণের ভোগান্তি বিবেচনায় মেট্রোরেল চলাচল স্বাভাবিক রাখা হয়।

অন্যদিকে কর্মবিরতির ফলে মেট্রোরেল স্টেশনে নতুন টিকিট বা এমআরটি পাস দেয়া হচ্ছিল না। এতে যাদের টিকিট নেই, তারা টিকিট ছাড়াই ফ্রিতে গন্তব্যে যাতায়াত করতে পারছিলেন। সবশেষ মেট্রোরেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের আশ্বাসে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করলে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর আবারও মেট্রোরেলের টিকিট ব্যবস্থা চালু হয়।

জানা গেছে, গতকাল রবিবার বিকেলে দুজন মহিলা কোনোপ্রকার পরিচয়পত্র প্রদর্শন না করেই সিভিল ড্রেসে বিনা টিকিটে ট্রেনে ভ্রমণ করে এসে ইএফও অফিসের পাশে থাকা সুইং গেইট ব্যবহার করে পেইড জোন থেকে বের হতে চান। ইউনিফর্ম পরিহিত না থাকায় তাদের পরিচয় নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি, তাই দায়িত্বপ্রাপ্ত সিআরএ নিয়ম অনুযায়ী তাদের সেখান থেকে পিজি গেইট ব্যতীত সুইং গেইট দিয়ে বের হওয়ার কারণ জানতে চান। তবে সংশ্লিষ্ট পুলিশের কর্মকর্তারা এতে উত্তেজিত হয়ে তর্কে জড়িয়ে পড়েন এবং একপর্যায়ে এমআরটি পুলিশের কন্ট্রোল রুমে চলে যান।

পরবর্তীতে একইভাবে আরও দুইজন এপিবিএন সদস্য সুইং গেইট ব্যবহার করে সুইং গেইট না লাগিয়ে চলে যান। পরে কারণ জানতে চাইলে তারা আগের ঘটনার জের ধরে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। এর কিছুক্ষণ পর পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকে আরও কয়েকজন পুলিশ এসে দায়িত্বে থাকা সিআরএ- এর সঙ্গে ইএফওতে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে তারা ইএফও থেকে বের হওয়ার সময় কর্মরত সিআরএ-এর কাঁধে বন্ধুক দিয়ে আঘাত করে এবং কর্মরত আরেকজন টিএমও এর শার্টের কলার ধরে জোরপূর্বক এমআরটি পুলিশ বক্সে নিয়ে গিয়ে মারধর করে এবং গুলি করার জন্য বন্দুক তাক করে।

ওই ঘটনার জেরে ৪ কর্মীর ওপর হামলার প্রতিবাদে সোমবার সকাল থেকেই কর্মবিরতির ঘোষণা দেন ডিএমটিসিএলের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। সেই সঙ্গে দাবি আদায়ে প্রয়োজনে কঠোর কর্মসূচি পালনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন তারা।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে টিকিট ব্যবস্থা চালু কাজে ফিরলেন মেট্রোরেল কর্মীরা

আপডেট টাইম : ১২ ঘন্টা আগে

মেট্রোরেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের আশ্বাসে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেছেন আন্দোলনরত কর্মীরা। সেই সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর বিভিন্ন স্টেশনে টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে।
আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে কাজে ফেরেন আন্দোলনরত কর্মীরা।

এর আগে এমআরটি পুলিশের হাতে মেট্রোরেলের ৪ কর্মী লাঞ্ছিতের প্রতিবাদে সকাল থেকেই কর্মবিরতি শুরু করেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তবে জনসাধারণের ভোগান্তি বিবেচনায় মেট্রোরেল চলাচল স্বাভাবিক রাখা হয়।

অন্যদিকে কর্মবিরতির ফলে মেট্রোরেল স্টেশনে নতুন টিকিট বা এমআরটি পাস দেয়া হচ্ছিল না। এতে যাদের টিকিট নেই, তারা টিকিট ছাড়াই ফ্রিতে গন্তব্যে যাতায়াত করতে পারছিলেন। সবশেষ মেট্রোরেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের আশ্বাসে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করলে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর আবারও মেট্রোরেলের টিকিট ব্যবস্থা চালু হয়।

জানা গেছে, গতকাল রবিবার বিকেলে দুজন মহিলা কোনোপ্রকার পরিচয়পত্র প্রদর্শন না করেই সিভিল ড্রেসে বিনা টিকিটে ট্রেনে ভ্রমণ করে এসে ইএফও অফিসের পাশে থাকা সুইং গেইট ব্যবহার করে পেইড জোন থেকে বের হতে চান। ইউনিফর্ম পরিহিত না থাকায় তাদের পরিচয় নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি, তাই দায়িত্বপ্রাপ্ত সিআরএ নিয়ম অনুযায়ী তাদের সেখান থেকে পিজি গেইট ব্যতীত সুইং গেইট দিয়ে বের হওয়ার কারণ জানতে চান। তবে সংশ্লিষ্ট পুলিশের কর্মকর্তারা এতে উত্তেজিত হয়ে তর্কে জড়িয়ে পড়েন এবং একপর্যায়ে এমআরটি পুলিশের কন্ট্রোল রুমে চলে যান।

পরবর্তীতে একইভাবে আরও দুইজন এপিবিএন সদস্য সুইং গেইট ব্যবহার করে সুইং গেইট না লাগিয়ে চলে যান। পরে কারণ জানতে চাইলে তারা আগের ঘটনার জের ধরে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। এর কিছুক্ষণ পর পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকে আরও কয়েকজন পুলিশ এসে দায়িত্বে থাকা সিআরএ- এর সঙ্গে ইএফওতে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে তারা ইএফও থেকে বের হওয়ার সময় কর্মরত সিআরএ-এর কাঁধে বন্ধুক দিয়ে আঘাত করে এবং কর্মরত আরেকজন টিএমও এর শার্টের কলার ধরে জোরপূর্বক এমআরটি পুলিশ বক্সে নিয়ে গিয়ে মারধর করে এবং গুলি করার জন্য বন্দুক তাক করে।

ওই ঘটনার জেরে ৪ কর্মীর ওপর হামলার প্রতিবাদে সোমবার সকাল থেকেই কর্মবিরতির ঘোষণা দেন ডিএমটিসিএলের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। সেই সঙ্গে দাবি আদায়ে প্রয়োজনে কঠোর কর্মসূচি পালনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন তারা।