ঢাকা , রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা পরিস্থিতি মোকাবেলা করা হবে

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ কারো সঙ্গে বৈরীতা নয়, ধৈর্য ধরে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি মোকাবেলা করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমরা কারো সঙ্গে সংঘাতে জড়াবো না। ধৈর্য ধরে পরিস্থিতি মোকাবেলা করব।’

সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে অন্যান্য অনেক বিষয়ের পাশাপাশি উঠে আসে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ইস্যু। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের এই বাসিন্দাদের ছয় লাখেরও বেশি সে দেশের সেনাবাহিনীর সাম্প্রতিক অভিযানের মুখে পালিয়ে বাংলাদেশে চলে এসেছে। তাদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে কক্সবাজারে। সেখানে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে তাদের ত্রাণ, চিকিৎসা এবং অন্যান্য কার্যক্রম চলছে।

এরই মধ্যে ইস্যুটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোচনা তৈরি করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘেও বিষয়টি তুলে ধরেছেন। আর মিয়ানমার সরকারের প্রতিনিধি বাংলাদেশ সফর করে রোহিঙ্গা প্রত্যাবসন নিয়ে আলোচনা করেছেন। তবে এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে মতদ্বৈততা কাটেনি। বাংলাদেশ চাইছে ১৯৮০ দশকের শুরু থেকে নানা সময় যত রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে, সবাইকে ফিরিয়ে নিক দেশটি। কিন্তু দেশটির পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে, সাম্প্রতিক যারা বাংলাদেশে এসেছে, তাদেরকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার। কিন্তু বাংলাদেশ এই প্রস্তাব মেনে নেয়নি।

এরই মধ্যে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। জাতিসংঘের কমিশনের প্রধান ও সংস্থাটির সাবেক মহাপরিচালক কফি আনান স্পষ্ট করেই বলেছেন, রোহিঙ্গাদেরকে মিয়ানমারের ফিরিয়ে নিয়ে তাদের নাগরিকত্ব দিতে হবে।

মন্ত্রিসভার বৈঠকে থাকা একাধিক মন্ত্রী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাঙালী কণ্ঠকে জানান, রোহিঙ্গাদের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা তোলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। তিনি বলেন, ‘বার্মিজরা রাবিশ। তাদের সঙ্গে কেনো ধরনের ব্যবসা বাণিজ্য হতে পারে না। তাদের মধ্যে মানবতা নেই।’

রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন চললেও দেশটির সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক চালু রেখেছে ঢাকা। এমনকি বড় পরিমাণে চাল কেনার চুক্তিও হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান সরকার কীভাবে করে, সে নিয়ে আলোচনা আছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

অর্থমন্ত্রী রোহিঙ্গা সমস্যার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরুর পর প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কূটনৈতিকভাবেই সব সমস্যা মোকাবেলা করব। কারো সঙ্গে বৈরীতায় জড়াব না।’

‘আমরা ধৈর্য ধরে সকল পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছি, এখনও করব। এ কারণেই আমরা জাতিসংঘসহ সকল আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সুদৃষ্টি পেয়েছি। এভাবেই আমরা পরিস্থিতি মোকাবেলা করব।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা পরিস্থিতি মোকাবেলা করা হবে

আপডেট টাইম : ০৯:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ অক্টোবর ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ কারো সঙ্গে বৈরীতা নয়, ধৈর্য ধরে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি মোকাবেলা করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমরা কারো সঙ্গে সংঘাতে জড়াবো না। ধৈর্য ধরে পরিস্থিতি মোকাবেলা করব।’

সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে অন্যান্য অনেক বিষয়ের পাশাপাশি উঠে আসে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ইস্যু। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের এই বাসিন্দাদের ছয় লাখেরও বেশি সে দেশের সেনাবাহিনীর সাম্প্রতিক অভিযানের মুখে পালিয়ে বাংলাদেশে চলে এসেছে। তাদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে কক্সবাজারে। সেখানে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে তাদের ত্রাণ, চিকিৎসা এবং অন্যান্য কার্যক্রম চলছে।

এরই মধ্যে ইস্যুটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোচনা তৈরি করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘেও বিষয়টি তুলে ধরেছেন। আর মিয়ানমার সরকারের প্রতিনিধি বাংলাদেশ সফর করে রোহিঙ্গা প্রত্যাবসন নিয়ে আলোচনা করেছেন। তবে এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে মতদ্বৈততা কাটেনি। বাংলাদেশ চাইছে ১৯৮০ দশকের শুরু থেকে নানা সময় যত রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে, সবাইকে ফিরিয়ে নিক দেশটি। কিন্তু দেশটির পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে, সাম্প্রতিক যারা বাংলাদেশে এসেছে, তাদেরকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার। কিন্তু বাংলাদেশ এই প্রস্তাব মেনে নেয়নি।

এরই মধ্যে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। জাতিসংঘের কমিশনের প্রধান ও সংস্থাটির সাবেক মহাপরিচালক কফি আনান স্পষ্ট করেই বলেছেন, রোহিঙ্গাদেরকে মিয়ানমারের ফিরিয়ে নিয়ে তাদের নাগরিকত্ব দিতে হবে।

মন্ত্রিসভার বৈঠকে থাকা একাধিক মন্ত্রী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাঙালী কণ্ঠকে জানান, রোহিঙ্গাদের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা তোলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। তিনি বলেন, ‘বার্মিজরা রাবিশ। তাদের সঙ্গে কেনো ধরনের ব্যবসা বাণিজ্য হতে পারে না। তাদের মধ্যে মানবতা নেই।’

রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন চললেও দেশটির সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক চালু রেখেছে ঢাকা। এমনকি বড় পরিমাণে চাল কেনার চুক্তিও হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান সরকার কীভাবে করে, সে নিয়ে আলোচনা আছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

অর্থমন্ত্রী রোহিঙ্গা সমস্যার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরুর পর প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কূটনৈতিকভাবেই সব সমস্যা মোকাবেলা করব। কারো সঙ্গে বৈরীতায় জড়াব না।’

‘আমরা ধৈর্য ধরে সকল পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছি, এখনও করব। এ কারণেই আমরা জাতিসংঘসহ সকল আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সুদৃষ্টি পেয়েছি। এভাবেই আমরা পরিস্থিতি মোকাবেলা করব।