বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের হুগলীপাড়া গ্রামের এক ব্যক্তির পাখি শিকার করা যেনো নিত্যদিনের ঘটনা। পাখিরা ডানা মেলে নীল আকাশে উড়তে ভালোবাসে। আর পাখিপ্রেমীরা সে দৃশ্য উপভোগের মাধ্যমে মনের আনন্দ খুঁজে ফিরে। অন্যদিকে পাখির মাংস দিয়ে আহার করে তৃপ্তি খুঁজে পান ওই ব্যক্তি।
পাখি শিকার রোধে দেশে আইন থাকলেও ওই ব্যক্তি আইনকানুনের তোয়াক্কা না করে দিব্যি পাখি শিকার করেন তিনি। তাই তিনি তার এলাকায় পাখি শিকারি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। পাখি শিকার যেনো তার কাছে এক ধরনের গৌরবগাথা বিজয়।
পাখি ও প্রকৃতি সংরক্ষণে কাজ করা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সেতুবন্ধন ও এলাকার সচেতন মহল ‘বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন- ২০১২’ অনুযায়ী পাখি শিকারির সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছেন।
সেতুবন্ধনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আলমগীর হোসেন জানান, পাখি শিকার, হত্যা, আটক ও ক্রয়-বিক্রয় করলে সর্বোচ্চ শাস্তি দুই বছর কারাদণ্ড এবং দুই লাখ টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। পাখি প্রকৃতির বন্ধু। প্রকৃতিতে পাখির অবদান অনস্বীকার্য। কিন্তু কিছু মানুষ বুঝে না বুঝে নির্দ্বিধায় পাখি শিকার করছে। যার বিরূপ প্রভাব পড়ছে প্রকৃতিতে। তাই পাখি শিকার রোধে সর্বমহলে সচেতনতার পাশাপাশি আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগ করা উচিত বলে তিনি মনে করেন।
সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বজলুর রশিদ জানান, এই পাখি শিকারি সম্পর্কে জেনেছি। খুব শীঘ্রই তাকে আইনের আওতায় এনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।