ঢাকা , শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

শীতের আগমনী দীঘি এলাকায় অথিতি পাখির স্বর্গরাজ্য

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ শীতের আগমনী বার্তা নিয়ে ঠাকুরগাঁও রানিশংকৈল উপজেলার রামরাই সামরাই দীঘিতে ঝাঁকে ঝাঁকে এসেছে দেশি-বিদেশি নানা প্রজাতির পাখি। হাজার হাজার পাখির আগমনে পুরো দীঘি এলাকা পাখির কলরবে মুখরিত। দেখে মনে হতে হয় পাখির স্বর্গরাজ্য।

সারাদিন দীঘির জলে সাঁতার কাটা আর সন্ধ্যা নামার সাথে সাথেই দীঘির পাড়ের গাছে গাছে আশ্রয় নেয় তারা। ভোরে সূর্যের আলো দেখা দেওয়ার আগেই পুনরায় খাবারের সন্ধানে নেমে পড়ে এ দীঘির জলে। দেশীয় পাখিসহ এসব অতিথি পাখির মিলনমেলা দেখতে প্রতিদিন দূর-দুরান্ত থেকে এ দীঘিতে ছুটে আসছেন প্রকৃতি ও পাখিপ্রেমীরা।

পাখি দেখতে আসা ইসরাত জাহান ইমু নামে একজন বলেন, শুনেছিলাম যে এই দীঘিতে নাকি অনেক পাখি আসে। কিন্তু কখনো দেখিনাই। এবারে প্রথম দেখলাম। আসলেই পাখিগুলো দেখতে অনেক ভালো লাগছে। আরও ভালো লাগলো এতো বড় দীঘি দেখে।

রামরাই দীঘি এলাকার বাসিন্দা রাজু আহমেদ জানান, সারাদিন অনেক মানুষ আসে এসব অতিথি পাখি দেখার জন্য। এদের কলকাকলিতে মুখর হয়ে আছে দীঘি এলাকা। আমরা এলাকাবাসী সজাগ আছি কেউ যেন এদের শিকার করতে না পারে। এর পরেও অনেকে আসে এদের স্বীকার করতে। কিন্তু আমরা করতে দেইনা।

ঠাকুরগাঁওয়ের পাখিপ্রেমী রেজাউল হাফিজ রাহী জানান, আমাদের এখানে যে পাখি এসেছে তাদের মধ্যে ছোট সরালিই সবচেয়ে বেশি। এছাড়াও আরও নানা প্রজাতির ছোট বড় অনেক পাখিই রয়েছে। পাখিরা যাতে আমাদের এখানে নির্ভয়ে থাকতে পারে সেজন্য প্রশাসনকে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অতিথি পাখির আগমনে এ এলাকার যেমন সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায় তেমনি এরা প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায়ও সহযোগিতা করে।

ঠাকুরগাঁও রানীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খন্দকার মো. নাহিদ হাসান জানান, দিনাজপুরের রাম সাগরের মতো এখানকার রামরাই সামরাই দীঘিটি বেশ বড়। যেটি আমাদের এই রানীশংকৈলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। এই ছোট সরালি জাতের পাখিসহ অতিথি পাখিরা আমাদের এই দীঘিতে প্রতি শীত মৌসুমেই আসে। এদেরকে শিকারীর হাত থেকে রক্ষা করার জন্য জনসচেতনতা সহ নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

শীতের আগমনী দীঘি এলাকায় অথিতি পাখির স্বর্গরাজ্য

আপডেট টাইম : ০৫:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ জানুয়ারী ২০১৮

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ শীতের আগমনী বার্তা নিয়ে ঠাকুরগাঁও রানিশংকৈল উপজেলার রামরাই সামরাই দীঘিতে ঝাঁকে ঝাঁকে এসেছে দেশি-বিদেশি নানা প্রজাতির পাখি। হাজার হাজার পাখির আগমনে পুরো দীঘি এলাকা পাখির কলরবে মুখরিত। দেখে মনে হতে হয় পাখির স্বর্গরাজ্য।

সারাদিন দীঘির জলে সাঁতার কাটা আর সন্ধ্যা নামার সাথে সাথেই দীঘির পাড়ের গাছে গাছে আশ্রয় নেয় তারা। ভোরে সূর্যের আলো দেখা দেওয়ার আগেই পুনরায় খাবারের সন্ধানে নেমে পড়ে এ দীঘির জলে। দেশীয় পাখিসহ এসব অতিথি পাখির মিলনমেলা দেখতে প্রতিদিন দূর-দুরান্ত থেকে এ দীঘিতে ছুটে আসছেন প্রকৃতি ও পাখিপ্রেমীরা।

পাখি দেখতে আসা ইসরাত জাহান ইমু নামে একজন বলেন, শুনেছিলাম যে এই দীঘিতে নাকি অনেক পাখি আসে। কিন্তু কখনো দেখিনাই। এবারে প্রথম দেখলাম। আসলেই পাখিগুলো দেখতে অনেক ভালো লাগছে। আরও ভালো লাগলো এতো বড় দীঘি দেখে।

রামরাই দীঘি এলাকার বাসিন্দা রাজু আহমেদ জানান, সারাদিন অনেক মানুষ আসে এসব অতিথি পাখি দেখার জন্য। এদের কলকাকলিতে মুখর হয়ে আছে দীঘি এলাকা। আমরা এলাকাবাসী সজাগ আছি কেউ যেন এদের শিকার করতে না পারে। এর পরেও অনেকে আসে এদের স্বীকার করতে। কিন্তু আমরা করতে দেইনা।

ঠাকুরগাঁওয়ের পাখিপ্রেমী রেজাউল হাফিজ রাহী জানান, আমাদের এখানে যে পাখি এসেছে তাদের মধ্যে ছোট সরালিই সবচেয়ে বেশি। এছাড়াও আরও নানা প্রজাতির ছোট বড় অনেক পাখিই রয়েছে। পাখিরা যাতে আমাদের এখানে নির্ভয়ে থাকতে পারে সেজন্য প্রশাসনকে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অতিথি পাখির আগমনে এ এলাকার যেমন সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায় তেমনি এরা প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায়ও সহযোগিতা করে।

ঠাকুরগাঁও রানীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খন্দকার মো. নাহিদ হাসান জানান, দিনাজপুরের রাম সাগরের মতো এখানকার রামরাই সামরাই দীঘিটি বেশ বড়। যেটি আমাদের এই রানীশংকৈলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। এই ছোট সরালি জাতের পাখিসহ অতিথি পাখিরা আমাদের এই দীঘিতে প্রতি শীত মৌসুমেই আসে। এদেরকে শিকারীর হাত থেকে রক্ষা করার জন্য জনসচেতনতা সহ নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।