ঢাকা , শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৪২ বছর পর হতে যাচ্ছে শিশু একাডেমি আইন আজ মন্ত্রিসভায় উঠছে

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ স্বাধীনতার ৪২ বছর পর শিশু একাডেমি আইন হতে যাচ্ছে। আজ সচিবালয়ে অনুষ্ঠেয় মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে আইনটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উঠবে। অনুমোদন মিললে আইনটি বিল আকারে উত্থাপনের জন্য জাতীয় সংসদে পাঠানো হবে। এর আগে গত ৯ই জুলাই শিশু একাডেমি আইনের খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। এতদিন ধরে ১৯৭৬ সালের অধ্যাদেশের মাধ্যমে শিশু একাডেমি পরিচালিত হচ্ছিল। তবে সুপ্রিম কোর্ট ও মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত নেয় সামরিক শাসনামলে জারি করা আইনগুলো বাংলায় রূপান্তরের। ওই বাধ্যবাধকতা থেকে আইনটি প্রথমে নীতিগত অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় নিয়ে আসা হয়।

নতুন আইনে পরিচালনা ও প্রশাসন সম্পর্কিত একটি নতুন ধারা যুক্ত করা হয়েছে। শিশু একাডেমি আইনের সেই ধারা অনুযায়ী সাধারণ পরিচালনা ও প্রশাসনের দায়িত্ব বোর্ডের ওপর ন্যস্ত থাকবে এবং একাডেমি যে সব ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করতে পারবে-বোর্ডও সেসব ক্ষমতার প্রয়োগ ও কার্যসম্পাদন করতে পারবে। নতুন আইন অনুযায়ী এটি পরিচালনার জন্য ১৭ সদস্যের একটি বোর্ড গঠন করা হবে।

এ বোর্ডে শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব পর্যায়ের একজন প্রতিনিধি, অর্থ এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের একজন করে প্রতিনিধি, তথ্য এবং সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের একজন করে প্রতিনিধি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য বিভাগ এবং শিশুকল্যাণ বিভাগের একজন করে প্রতিনিধি, শিশুদের কল্যাণে অবদান রাখেন এমন ব্যক্তিদের মধ্য থেকে সরকার মনোনীত চারজন ব্যক্তি-যাদের দু’জন হবেন মহিলা এবং একাডেমির মহাপরিচালক থাকবেন।

এর সঙ্গে আইসিটি বিভাগের একজন প্রতিনিধি যুক্ত করার জন্যও নতুনভাবে বলা হয়েছে। চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় আসা আইন অনুযায়ী, একাডেমিক কার্যাবলী আগের মতো প্রায় একই থাকবে। শুধুমাত্র সামান্য কিছু পরিমার্জন করা হয়েছে। শিশুর বিকাশ ও কল্যাণে ভূমিকার জন্য শিশু একাডেমি থেকে সাম্মানিক ফেলোশিপ দেয়া হবে। শিশু একাডেমি আইন সংসদে পাস হলে একটি বিধি তৈরি হবে। ওই বিধি অনুযায়ী শিশু একাডেমি চেয়ারম্যানের নিয়োগ হবে।

ভাষা, সাহিত্য বিজ্ঞান, শিল্পকলা, সামাজিক বিষয়ের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে এমন ব্যক্তিকে সরকার চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবেন। তিনি সরকারি কর্মচারীও হতে পারেন। নতুন আইনের ১০ ধারায় মহাপরিচালক নিয়োগের বিধান রেখে বলা হয়েছে, মহাপরিচালক একজন সার্বক্ষণিক কর্মকর্তা হবেন এবং তার চাকরির শর্তাবলী অনুযায়ী পরিচালিত এবং বিধিদ্বারা নির্ধারিত হবে।

এ আইন অনুযায়ী, প্রতি ছয় মাসে কমপক্ষে একবার বোর্ডের সভা হতে হবে এবং এই সভা কোথায়, কখন কীভাবে হবে তা চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্ধারিত হবে। এ সভাটির কোরামের জন্য এক-তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতি থাকতে হবে। চেয়ারম্যান সার্বক্ষণিক হবেন না, বোর্ডসভা যখন থাকে তখন তিনি দায়িত্ব পালন করবেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

৪২ বছর পর হতে যাচ্ছে শিশু একাডেমি আইন আজ মন্ত্রিসভায় উঠছে

আপডেট টাইম : ০৬:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ স্বাধীনতার ৪২ বছর পর শিশু একাডেমি আইন হতে যাচ্ছে। আজ সচিবালয়ে অনুষ্ঠেয় মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে আইনটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উঠবে। অনুমোদন মিললে আইনটি বিল আকারে উত্থাপনের জন্য জাতীয় সংসদে পাঠানো হবে। এর আগে গত ৯ই জুলাই শিশু একাডেমি আইনের খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। এতদিন ধরে ১৯৭৬ সালের অধ্যাদেশের মাধ্যমে শিশু একাডেমি পরিচালিত হচ্ছিল। তবে সুপ্রিম কোর্ট ও মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত নেয় সামরিক শাসনামলে জারি করা আইনগুলো বাংলায় রূপান্তরের। ওই বাধ্যবাধকতা থেকে আইনটি প্রথমে নীতিগত অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় নিয়ে আসা হয়।

নতুন আইনে পরিচালনা ও প্রশাসন সম্পর্কিত একটি নতুন ধারা যুক্ত করা হয়েছে। শিশু একাডেমি আইনের সেই ধারা অনুযায়ী সাধারণ পরিচালনা ও প্রশাসনের দায়িত্ব বোর্ডের ওপর ন্যস্ত থাকবে এবং একাডেমি যে সব ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করতে পারবে-বোর্ডও সেসব ক্ষমতার প্রয়োগ ও কার্যসম্পাদন করতে পারবে। নতুন আইন অনুযায়ী এটি পরিচালনার জন্য ১৭ সদস্যের একটি বোর্ড গঠন করা হবে।

এ বোর্ডে শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব পর্যায়ের একজন প্রতিনিধি, অর্থ এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের একজন করে প্রতিনিধি, তথ্য এবং সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের একজন করে প্রতিনিধি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য বিভাগ এবং শিশুকল্যাণ বিভাগের একজন করে প্রতিনিধি, শিশুদের কল্যাণে অবদান রাখেন এমন ব্যক্তিদের মধ্য থেকে সরকার মনোনীত চারজন ব্যক্তি-যাদের দু’জন হবেন মহিলা এবং একাডেমির মহাপরিচালক থাকবেন।

এর সঙ্গে আইসিটি বিভাগের একজন প্রতিনিধি যুক্ত করার জন্যও নতুনভাবে বলা হয়েছে। চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় আসা আইন অনুযায়ী, একাডেমিক কার্যাবলী আগের মতো প্রায় একই থাকবে। শুধুমাত্র সামান্য কিছু পরিমার্জন করা হয়েছে। শিশুর বিকাশ ও কল্যাণে ভূমিকার জন্য শিশু একাডেমি থেকে সাম্মানিক ফেলোশিপ দেয়া হবে। শিশু একাডেমি আইন সংসদে পাস হলে একটি বিধি তৈরি হবে। ওই বিধি অনুযায়ী শিশু একাডেমি চেয়ারম্যানের নিয়োগ হবে।

ভাষা, সাহিত্য বিজ্ঞান, শিল্পকলা, সামাজিক বিষয়ের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে এমন ব্যক্তিকে সরকার চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবেন। তিনি সরকারি কর্মচারীও হতে পারেন। নতুন আইনের ১০ ধারায় মহাপরিচালক নিয়োগের বিধান রেখে বলা হয়েছে, মহাপরিচালক একজন সার্বক্ষণিক কর্মকর্তা হবেন এবং তার চাকরির শর্তাবলী অনুযায়ী পরিচালিত এবং বিধিদ্বারা নির্ধারিত হবে।

এ আইন অনুযায়ী, প্রতি ছয় মাসে কমপক্ষে একবার বোর্ডের সভা হতে হবে এবং এই সভা কোথায়, কখন কীভাবে হবে তা চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্ধারিত হবে। এ সভাটির কোরামের জন্য এক-তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতি থাকতে হবে। চেয়ারম্যান সার্বক্ষণিক হবেন না, বোর্ডসভা যখন থাকে তখন তিনি দায়িত্ব পালন করবেন।