ঢাকা , রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মানুষের মৃত্যু হয় যে ৫টি ফুলকে স্পর্শ করলে

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ ফুল যতই পবিত্র আর সুন্দরের প্রতিক হোক না কেনো, আপনি হয়তো জানেন না যে এমন অনেক নয়নভিরাম সুন্দর ফুল আছে যা হতে পারে আপনার মৃত্যুর কারণ। সম্প্রতি বিৃটেনের বিজ্ঞানীরা মানুষকে সচেতন করতে কিছু বিষাক্ত ফুলের সাথে সবাইকে পরিচয় করিয়ে দেন। বিজ্ঞানীদের পরিচয় করিয়ে দেয়া ফুলের মাঝে পাঁচ প্রকারের ফুলের বর্ণনা নিম্নে তুলে ধরা হলো। আপনিও চিনে নিন সেই পাঁচ ধরনের ফুল। তাহলে হয়তো কোথাও দেখা পেলে হুট করে ছুয়ে দেখা বা ঘ্রাণ নেয়ার আগে সতর্ক হতে পারবেন। আসুন তাহলে পরিচিত হই পাঁচটি বিষাক্ত ফুলের সাথে।

১. মাঙ্কস হুড: এটি অ্যাকোনাইট নামেও পরিচিত। বড় আকারের লম্বাটে সবুজ পাতা আর বেগুনি রংয়ের লম্বা ফুল। এর স্পর্শে হৃদক্রিয়া বন্ধ হতে থাকবে। ত্বকের ভেতরে নিমিষেই প্রবেশ করে এটি। ব্রিটেনের সবচেয়ে বিষাক্ত প্রাণঘাতী উদ্ভিত এটি। যে ফুলের স্পর্শে মানুষের মৃত্যু হয়

২. ইংলিশ ইয়েও: লাল গোলাকার ফলের মতো দেখতে। এর পাতাসহ সবকিছুই বিষাক্ত। খেয়ে ফেললে মাথা ঘোরানো, শুকনো মুখ এবং চোখের পিউপিলের প্রসারণ ঘটে। হৃৎস্পন্দন এলোমেলো হয়ে যায় এবং মৃত্যুও ঘটতে পারে।

৩. ফক্সগ্লাভ: বনে জন্মালেও মানুষের কাছে খুব প্রিয় এক আকর্ষণীয় চেহারার কারণে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে বেগুনি রংয়ের ফুলগুলোর মধ্যে লাল আর হলুদের প্রিন্ট দেখা যায়। এর সামান্য অংশ মুখে গেলে বমি, ডায়রিয়া এবং হৃদক্রিয়া বন্ধ হওয়ার মতো ঘটনা ঘটবে। ত্বকে স্পর্শ লাগলে চুলকানি হয়। যে ফুলের স্পর্শে মানুষের মৃত্যু হয়

৪. কুকু পিন্ট: লর্ডস অ্যান্ড লেডিস নামেও সুপরিচিত। বনে-বাদাড়ে জন্মে। ফুলগুলো গোলাকার। এর চারদিকে সবুজ পাতা হুডের মতো ঢেকে রাখে। খাওয়ামাত্র শ্বাস বন্ধ হতে থাকবে। অনেকে এর কারণে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়তে হয়েছে।

৫. হেমলক: এটা ব্রিটেনের নিজস্ব উদ্ভিদ নয়। তবে প্রায় সব জায়গায় দেখা মেলে। সাধারণত নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে দেখা যায়। এটি খাওয়ামাত্র ফুসফুস কার্যক্ষমতা হারাতে থাকে এবং এতে মৃত্যু নিশ্চিত। সক্রেটিসের জীবনাবসান ঘটায় এই হেমলক।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

মানুষের মৃত্যু হয় যে ৫টি ফুলকে স্পর্শ করলে

আপডেট টাইম : ১১:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ ফুল যতই পবিত্র আর সুন্দরের প্রতিক হোক না কেনো, আপনি হয়তো জানেন না যে এমন অনেক নয়নভিরাম সুন্দর ফুল আছে যা হতে পারে আপনার মৃত্যুর কারণ। সম্প্রতি বিৃটেনের বিজ্ঞানীরা মানুষকে সচেতন করতে কিছু বিষাক্ত ফুলের সাথে সবাইকে পরিচয় করিয়ে দেন। বিজ্ঞানীদের পরিচয় করিয়ে দেয়া ফুলের মাঝে পাঁচ প্রকারের ফুলের বর্ণনা নিম্নে তুলে ধরা হলো। আপনিও চিনে নিন সেই পাঁচ ধরনের ফুল। তাহলে হয়তো কোথাও দেখা পেলে হুট করে ছুয়ে দেখা বা ঘ্রাণ নেয়ার আগে সতর্ক হতে পারবেন। আসুন তাহলে পরিচিত হই পাঁচটি বিষাক্ত ফুলের সাথে।

১. মাঙ্কস হুড: এটি অ্যাকোনাইট নামেও পরিচিত। বড় আকারের লম্বাটে সবুজ পাতা আর বেগুনি রংয়ের লম্বা ফুল। এর স্পর্শে হৃদক্রিয়া বন্ধ হতে থাকবে। ত্বকের ভেতরে নিমিষেই প্রবেশ করে এটি। ব্রিটেনের সবচেয়ে বিষাক্ত প্রাণঘাতী উদ্ভিত এটি। যে ফুলের স্পর্শে মানুষের মৃত্যু হয়

২. ইংলিশ ইয়েও: লাল গোলাকার ফলের মতো দেখতে। এর পাতাসহ সবকিছুই বিষাক্ত। খেয়ে ফেললে মাথা ঘোরানো, শুকনো মুখ এবং চোখের পিউপিলের প্রসারণ ঘটে। হৃৎস্পন্দন এলোমেলো হয়ে যায় এবং মৃত্যুও ঘটতে পারে।

৩. ফক্সগ্লাভ: বনে জন্মালেও মানুষের কাছে খুব প্রিয় এক আকর্ষণীয় চেহারার কারণে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে বেগুনি রংয়ের ফুলগুলোর মধ্যে লাল আর হলুদের প্রিন্ট দেখা যায়। এর সামান্য অংশ মুখে গেলে বমি, ডায়রিয়া এবং হৃদক্রিয়া বন্ধ হওয়ার মতো ঘটনা ঘটবে। ত্বকে স্পর্শ লাগলে চুলকানি হয়। যে ফুলের স্পর্শে মানুষের মৃত্যু হয়

৪. কুকু পিন্ট: লর্ডস অ্যান্ড লেডিস নামেও সুপরিচিত। বনে-বাদাড়ে জন্মে। ফুলগুলো গোলাকার। এর চারদিকে সবুজ পাতা হুডের মতো ঢেকে রাখে। খাওয়ামাত্র শ্বাস বন্ধ হতে থাকবে। অনেকে এর কারণে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়তে হয়েছে।

৫. হেমলক: এটা ব্রিটেনের নিজস্ব উদ্ভিদ নয়। তবে প্রায় সব জায়গায় দেখা মেলে। সাধারণত নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে দেখা যায়। এটি খাওয়ামাত্র ফুসফুস কার্যক্ষমতা হারাতে থাকে এবং এতে মৃত্যু নিশ্চিত। সক্রেটিসের জীবনাবসান ঘটায় এই হেমলক।