ঢাকা , শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
যত দ্রুত নির্বাচন, ততই দেশের মঙ্গল: মির্জা ফখরুল ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে দেখা যাবে দ্বিতীয় চাঁদ এক পদে দুইবারের বেশি কেউ নয়: আসিফ কলকাতায় চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে বাংলাদেশি ইলিশ ভারী বৃষ্টির কারণে উত্তরাঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা, দ্রুত বাড়ছে নদ-নদীর পানি সাম্প্রদায়িক-জাতিগত সংঘাতের সুযোগ বাংলাদেশে নেই: খেলাফত মজলিস হিজবুল্লাহ প্রধানকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন ও সহযোগিতা বাড়াতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি ড. ইউনূসের আহ্বান যে সরকার কোরআনকে জঙ্গি কিতাব বলে, সে সরকার মুসলমানদের নয়: মুজিবুর জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ ড. ইউনূস ‘তরুণরা যে প্রজ্ঞা, সাহস ও প্রত্যয় দেখিয়েছে তা আমাদের অভিভূত করেছে’

ধানের উৎপাদন বাড়াবে নতুন তিনটি জাত

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ আমন ও বোরো মৌসুমে চাষের উপযোগী তিনটি উচ্চ ফলনশীল ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি)। ধানগুলো হলো-রোপা আমনের প্রিমিয়াম কোয়ালিটি জাত ব্রি ধান ৯০ ও বোনা আমনের জাত ব্রি ধান ৯১ এবং বোরো মৌসুমের পানি সাশ্রয়ী জাত ব্রি ধান ৯২। ব্রি ধান ৯০ এর গড় ফলন হেক্টর প্রতি ৫.০ টন। এ ফলন আমন মৌসুমের জনপ্রিয় জাত ব্রি ধান ৩৪ এর চেয়ে হেক্টরে ১.০-১.৪ টন বেশি। ব্রি ধান ৯১ এর হেক্টর প্রতি গড় ফলন ২.৩৭ টন, যা স্থানীয় জাত ফুলকলির চেয়ে ১.৫ টন বেশি। আর বোরো জাত ব্রি ধান ৯২ এর গড় ফলন হেক্টর প্রতি ৮.৩ টন। তবে উপযুক্ত পরিচর্যায় এ জাত হেক্টর প্রতি ৯.৩ টন ফলন দিতে সক্ষম।

স¤প্রতি কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় বীজ বোর্ডের সভায় নতুন এ জাতগুলো চাষাবাদের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়। ব্রি’র মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীরসহ কৃষি মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় বীজ বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন। ব্রি জনসংযোগ বিভাগের প্রধান মো.আবুল কাসেম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। নতুন জাতের ধানের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আবুল কাসেম জানান, ব্রি ধান৯০ এ আধুনিক উচ্চ ফলনশীল ধানের সব বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। উচ্চমাত্রার প্রোটিন সমৃদ্ধ এ জাতের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো- এর দানার আকৃতি ব্রি ধান৩৪ এর মতো হালকা সুগন্ধযুক্ত। ব্রি ধান ৯১ এর শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য হলো-এর পাতা গাঢ় সবুজ রঙের ও ডিগপাতা খাড়া।

গাছের চারা বেশ লম্বা ও দ্রুত বর্ধনশীল। এ জাতের ধান গাছের গড় উচ্চতা ১৮০ সেন্টিমিটার এবং সহজে হেলে পড়ে না। এটি মধ্যম মাত্রার স্টেম ইলঙ্গেশন গুণ সম্পন্ন। অর্থাৎ পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এটি বাড়তে পারে এবং এটি জলমগ্নতা সহিষ্ণু। এ জাতের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো- বন্যার পানি সরে যাওয়ার পরে হেলে পড়লেও গাছের কাণ্ড পরে শক্তভাবে দাঁড়াতে পারে। এটি মুড়ি ফসল হিসেবে চাষ উপযোগী। এর গড় জীবনকাল ১৫৬ দিন, যা স্থানীয় জলি আমন ধানের চেয়ে ১০-১৫ দিন আগাম। এর ১০০০টি পুষ্ট ধানের ওজন প্রায় ২৬.০ গ্রাম। এর ভাত ঝরঝরে ও সাদা। এ জাতে রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ প্রচলিত জাতের চেয়ে কম হয়।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

যত দ্রুত নির্বাচন, ততই দেশের মঙ্গল: মির্জা ফখরুল

ধানের উৎপাদন বাড়াবে নতুন তিনটি জাত

আপডেট টাইম : ১০:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুন ২০১৯

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ আমন ও বোরো মৌসুমে চাষের উপযোগী তিনটি উচ্চ ফলনশীল ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি)। ধানগুলো হলো-রোপা আমনের প্রিমিয়াম কোয়ালিটি জাত ব্রি ধান ৯০ ও বোনা আমনের জাত ব্রি ধান ৯১ এবং বোরো মৌসুমের পানি সাশ্রয়ী জাত ব্রি ধান ৯২। ব্রি ধান ৯০ এর গড় ফলন হেক্টর প্রতি ৫.০ টন। এ ফলন আমন মৌসুমের জনপ্রিয় জাত ব্রি ধান ৩৪ এর চেয়ে হেক্টরে ১.০-১.৪ টন বেশি। ব্রি ধান ৯১ এর হেক্টর প্রতি গড় ফলন ২.৩৭ টন, যা স্থানীয় জাত ফুলকলির চেয়ে ১.৫ টন বেশি। আর বোরো জাত ব্রি ধান ৯২ এর গড় ফলন হেক্টর প্রতি ৮.৩ টন। তবে উপযুক্ত পরিচর্যায় এ জাত হেক্টর প্রতি ৯.৩ টন ফলন দিতে সক্ষম।

স¤প্রতি কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় বীজ বোর্ডের সভায় নতুন এ জাতগুলো চাষাবাদের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়। ব্রি’র মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীরসহ কৃষি মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় বীজ বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন। ব্রি জনসংযোগ বিভাগের প্রধান মো.আবুল কাসেম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। নতুন জাতের ধানের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আবুল কাসেম জানান, ব্রি ধান৯০ এ আধুনিক উচ্চ ফলনশীল ধানের সব বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। উচ্চমাত্রার প্রোটিন সমৃদ্ধ এ জাতের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো- এর দানার আকৃতি ব্রি ধান৩৪ এর মতো হালকা সুগন্ধযুক্ত। ব্রি ধান ৯১ এর শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য হলো-এর পাতা গাঢ় সবুজ রঙের ও ডিগপাতা খাড়া।

গাছের চারা বেশ লম্বা ও দ্রুত বর্ধনশীল। এ জাতের ধান গাছের গড় উচ্চতা ১৮০ সেন্টিমিটার এবং সহজে হেলে পড়ে না। এটি মধ্যম মাত্রার স্টেম ইলঙ্গেশন গুণ সম্পন্ন। অর্থাৎ পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এটি বাড়তে পারে এবং এটি জলমগ্নতা সহিষ্ণু। এ জাতের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো- বন্যার পানি সরে যাওয়ার পরে হেলে পড়লেও গাছের কাণ্ড পরে শক্তভাবে দাঁড়াতে পারে। এটি মুড়ি ফসল হিসেবে চাষ উপযোগী। এর গড় জীবনকাল ১৫৬ দিন, যা স্থানীয় জলি আমন ধানের চেয়ে ১০-১৫ দিন আগাম। এর ১০০০টি পুষ্ট ধানের ওজন প্রায় ২৬.০ গ্রাম। এর ভাত ঝরঝরে ও সাদা। এ জাতে রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ প্রচলিত জাতের চেয়ে কম হয়।