ঢাকা , শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
যত দ্রুত নির্বাচন, ততই দেশের মঙ্গল: মির্জা ফখরুল ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে দেখা যাবে দ্বিতীয় চাঁদ এক পদে দুইবারের বেশি কেউ নয়: আসিফ কলকাতায় চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে বাংলাদেশি ইলিশ ভারী বৃষ্টির কারণে উত্তরাঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা, দ্রুত বাড়ছে নদ-নদীর পানি সাম্প্রদায়িক-জাতিগত সংঘাতের সুযোগ বাংলাদেশে নেই: খেলাফত মজলিস হিজবুল্লাহ প্রধানকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন ও সহযোগিতা বাড়াতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি ড. ইউনূসের আহ্বান যে সরকার কোরআনকে জঙ্গি কিতাব বলে, সে সরকার মুসলমানদের নয়: মুজিবুর জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ ড. ইউনূস ‘তরুণরা যে প্রজ্ঞা, সাহস ও প্রত্যয় দেখিয়েছে তা আমাদের অভিভূত করেছে’

রাসেলকে প্রতি মাসে ৫ লাখ টাকা দেওয়ার নির্দেশ

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ বাসচাপায় পা হারানো প্রাইভেটকারের চালক রাসেল সরকারকে ক্ষতিপূরণের বাকি ৪৫ লাখ টাকা প্রতি মাসে ৫ লাখ করে পরিশোধ করতে গ্রিন লাইন কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। প্রতি মাসের ৭ তারিখের মধ্যে টাকা পরিশোধ করে ১৫ তারিখে তা আদালতকে জানাতে বলা হয়েছে। ক্ষতিপূরণের টাকার পরিমাণ কমানোর আবেদন নামঞ্জুর করে মঙ্গলবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের বেঞ্চ কিস্তিতে পরিশোধের সুযোগ দিয়ে এ আদেশ দেন।

আদালতে গ্রিন লাইনের পক্ষে শুনানি করেন এ্যাডভোকেট মো. ওজিউল্লাহ। রিটের পক্ষে ছিলেন খন্দকার সামসুল হক রেজা। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আলম মাহমুদ বাশার।

এর আগে গত ২২ মে ক্ষতিপূরণের বাকি ৪৫ লাখ টাকা পরিশোধের জন্য আজকের দিন পর্যন্ত সময় দেন আদালত। কিন্তু গ্রিন লাইন কর্তৃপক্ষ টাকা পরিশোধ না করে আজ ক্ষতিপূরণের টাকা কমানোর জন্য হাইকোর্টে আবেদন করেন।

গত ১০ এপ্রিল রাসেল সরকারকে আদালতের মাধ্যমে ৫০ লাখ টাকার মধ্যে ৫ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করে গ্রিন লাইন কর্তৃপক্ষ। গত ৩১ মার্চ গ্রিন লাইন পরিবহনের বাসের চাপায় পা হারানো প্রাইভেটকারের চালক রাসেল সরকারকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।

হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে গ্রিন লাইন পরিবহনের করা আবেদন খারিজ করে রোববার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

গত ১২ মার্চ রাসেল সরকারকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। পরে এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেন গ্রিন লাইন কর্তৃপক্ষ।

আইনজীবী শামসুল হক রেজা বলেছিলেন, মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারে কথা কাটাকাটির জেরে গ্রিন লাইন পরিবহনের বাসচালক ক্ষিপ্ত হয়ে প্রাইভেটকার চালকের ওপর দিয়েই বাস চালিয়ে দেয়। এ ঘটনায় হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হলে গত বছরের ১৪ মে বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল জারি করেছিলেন।

এরপর হাইকোর্ট রুলের শুনানি নিয়ে ভিন্ন একটি বেঞ্চ রাসেলকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৫০ লাখ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে রাসেলের চিকিৎসা সংক্রান্ত যাবতীয় খরচ গ্রিন লাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষকে বহন করতে এবং তার কৃত্রিম পা লাগানোর ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।

গত বছর ২৮ এপ্রিল মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারে কথা কাটাকাটির জেরে গ্রিন লাইন পরিবহনের বাসচালক ক্ষিপ্ত হয়ে প্রাইভেটকার চালকের ওপর দিয়ে বাস চালিয়ে দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাইভেটকারের চালক রাসেল সরকারের (২৩) বাম পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

রাসেল সরকারের বাবার নাম শফিকুল ইসলাম। গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধার পলাশবাড়িতে। ঢাকার আদাবর এলাকার সুনিবিড় হাউজিং এলাকায় তিনি থাকেন।

এ ঘটনায় সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য উম্মে কুলসুম স্মৃতি হাইকোর্টে এ রিট আবেদন করেন। পরে আদালত রিটের শুনানি নিয়ে রুল জারি করেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

যত দ্রুত নির্বাচন, ততই দেশের মঙ্গল: মির্জা ফখরুল

রাসেলকে প্রতি মাসে ৫ লাখ টাকা দেওয়ার নির্দেশ

আপডেট টাইম : ১২:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুন ২০১৯

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ বাসচাপায় পা হারানো প্রাইভেটকারের চালক রাসেল সরকারকে ক্ষতিপূরণের বাকি ৪৫ লাখ টাকা প্রতি মাসে ৫ লাখ করে পরিশোধ করতে গ্রিন লাইন কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। প্রতি মাসের ৭ তারিখের মধ্যে টাকা পরিশোধ করে ১৫ তারিখে তা আদালতকে জানাতে বলা হয়েছে। ক্ষতিপূরণের টাকার পরিমাণ কমানোর আবেদন নামঞ্জুর করে মঙ্গলবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের বেঞ্চ কিস্তিতে পরিশোধের সুযোগ দিয়ে এ আদেশ দেন।

আদালতে গ্রিন লাইনের পক্ষে শুনানি করেন এ্যাডভোকেট মো. ওজিউল্লাহ। রিটের পক্ষে ছিলেন খন্দকার সামসুল হক রেজা। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আলম মাহমুদ বাশার।

এর আগে গত ২২ মে ক্ষতিপূরণের বাকি ৪৫ লাখ টাকা পরিশোধের জন্য আজকের দিন পর্যন্ত সময় দেন আদালত। কিন্তু গ্রিন লাইন কর্তৃপক্ষ টাকা পরিশোধ না করে আজ ক্ষতিপূরণের টাকা কমানোর জন্য হাইকোর্টে আবেদন করেন।

গত ১০ এপ্রিল রাসেল সরকারকে আদালতের মাধ্যমে ৫০ লাখ টাকার মধ্যে ৫ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করে গ্রিন লাইন কর্তৃপক্ষ। গত ৩১ মার্চ গ্রিন লাইন পরিবহনের বাসের চাপায় পা হারানো প্রাইভেটকারের চালক রাসেল সরকারকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।

হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে গ্রিন লাইন পরিবহনের করা আবেদন খারিজ করে রোববার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

গত ১২ মার্চ রাসেল সরকারকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। পরে এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেন গ্রিন লাইন কর্তৃপক্ষ।

আইনজীবী শামসুল হক রেজা বলেছিলেন, মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারে কথা কাটাকাটির জেরে গ্রিন লাইন পরিবহনের বাসচালক ক্ষিপ্ত হয়ে প্রাইভেটকার চালকের ওপর দিয়েই বাস চালিয়ে দেয়। এ ঘটনায় হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হলে গত বছরের ১৪ মে বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল জারি করেছিলেন।

এরপর হাইকোর্ট রুলের শুনানি নিয়ে ভিন্ন একটি বেঞ্চ রাসেলকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৫০ লাখ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে রাসেলের চিকিৎসা সংক্রান্ত যাবতীয় খরচ গ্রিন লাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষকে বহন করতে এবং তার কৃত্রিম পা লাগানোর ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।

গত বছর ২৮ এপ্রিল মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারে কথা কাটাকাটির জেরে গ্রিন লাইন পরিবহনের বাসচালক ক্ষিপ্ত হয়ে প্রাইভেটকার চালকের ওপর দিয়ে বাস চালিয়ে দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাইভেটকারের চালক রাসেল সরকারের (২৩) বাম পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

রাসেল সরকারের বাবার নাম শফিকুল ইসলাম। গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধার পলাশবাড়িতে। ঢাকার আদাবর এলাকার সুনিবিড় হাউজিং এলাকায় তিনি থাকেন।

এ ঘটনায় সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য উম্মে কুলসুম স্মৃতি হাইকোর্টে এ রিট আবেদন করেন। পরে আদালত রিটের শুনানি নিয়ে রুল জারি করেন।