বাঙালী কন্ঠ ডেস্কঃ দুর্গাপূজাটা আসলে সবসময়ই আনন্দের ছিল, তবে ছোটবেলাটায় অনেক বেশি আনন্দ করতাম। কারণ তখন শুধুমাত্র আনন্দের জায়গাটাই খেয়াল থাকত। কোনো ধরনের রেসপন্সিবিলিটিস বা অন্য কোনো ধরনের প্রেসার ছিল না। মানে কোনো কাজ করতে হবে এরকম কোনো প্রেসার ছিল না। এখনও এক ধরনের আনন্দ, সেটা হচ্ছে যে নিজের পরিবার আছে।
তাদের নিয়ে পূজাতে বের হওয়া এটা একটা অন্যরকমের আনন্দ। ছোটবেলায় আনন্দ বলতে একই মণ্ডপে আসলে এতবার যাওয়া-আসা হতো। সো এটা অন্যরকম একটা বাঁধভাঙা আনন্দ ছিল, ছোটবেলায় স্কুলের ফ্রেন্ডরা এবং পাড়ার যত বন্ধু-বান্ধব আছে আমরা গ্রুপ করে এ মণ্ডপে ও মণ্ডপে স্বাধীনভাবে চলার একটা অন্যরকম মজা ছিল। এখন তো আসলে পূজা ও যে কোনো অকেশনেই দেখা যায়, নিজের ওপর কোনো না কোনো একটা ব্যস্ততা বা দায়িত্ব, প্রোগ্রাম, পারফরমেন্স, এগুলো নিয়ে একটা এক্সট্রা প্রেশার থাকে।
আনন্দের পাশাপাশি ওই প্রেশারটাও মাথায় নিয়ে চলতে হয়। পূজার আগে ও মাঝখানে বিভিন্ন কাজ থাকে, সো এ জায়গাটা মাঝেমধ্যে ছোটবেলার তুলনায় একটু খারাপই লাগে। ছোটবেলায় আসলে এত দায়িত্ব ছিল না, এত খারাপও লাগত না। এখন অনেক ধরনের দায়িত্ব, যেমন এখন দেশের বাইরে আছি কানাডাতে। পূজা উপলক্ষে আমি একা আসছি, আমার ফ্যামিলি ঢাকায়, আমার সন্তান ঢাকায়। সো, একদিকে আনন্দ আছে যে দেশের বাইরের মানুষ যারা আছে আমাদের কমিউনিটি ও পূজার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের সঙ্গে টাইম স্পেন্ড করা এটা একদিক থেকে আনন্দের। আবার নিজের ফ্যামিলিকে মিস করা ওই জায়গাটা দুঃখের। কিন্তু তারপরও আমার ফ্যামিলির সবাই আসলে আমার কাজটাকে খুব রেসপেক্ট দেয়। তারা বুঝতে পারে আমার কাজটাই আসলে আমার সবকিছু। এটাই আমার আইডেন্টিটি। এ জায়গা থেকে তারা আমাকে যথেষ্ট সম্মান দেন।
এজন্য আমার ওয়াইফ ও বেবিকে অনেক থ্যাংকস, কারণ তারা আমার এ জায়গাটা বুঝতে পেরেছেন। সো, নিজের জায়গা থেকে খারাপ লাগলেও সবকিছু মানিয়ে নিতে হয়। সবমিলিয়ে যে বিষয়টা এখন আবার অন্যরকমভাবে বোধ করি। আসলে আমি সর্বজনীন, পূজাও সর্বজনীন। আমি এবং আমার কাজটাও সর্বজনীন। এখানে আসলে কোনো কিছু পার্সোনালাইজ বা নিজের জন্য কিছু না।
আমি অন্যদের আনন্দ দিতে পারছি, অন্যদের সঙ্গে পূজার একটা টাইম কাটাতে পারছি। এটা অন্য রকম একটা আনন্দ। আমি সবাইকে পূজার শুভেচ্ছা জানাই। সকলের মঙ্গল হোক এবং সবাই ভীষণ ভালো থাকুক। সবাইকে অনেক ভালোবাসা।