বাঙালী কন্ঠ ডেস্কঃ ছোটবেলার পূজায় শুধু পাওয়া হতো, বড়বেলার পূজাতে যেমন পাই তেমন দিতে হয়। এটা একেবারে ঈদের সঙ্গে পূজার কোনো তফাৎ নেই, ঈদের সঙ্গে পূজা মানে কি ওই গিফট দেওয়া-নেওয়া এ ব্যাপারটা। ছোটবেলায়ও পূজাতে প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে মণ্ডপে মণ্ডপে পূজা দেখতাম। বড়বেলায়ও মণ্ডপে মণ্ডপে পূজা দেখি। ছোটবেলার পূজাটা গ্রামে হতো, এখন বড়বেলার পূজা ঢাকায় হয়।
ছোটবেলার পূজায় আমাকে নিয়ে যাওয়া হতো, আর এখন আমি নিয়ে যাই। আর আমি মনে করি পূজা বা যে কোনো ধর্মীয় অকেশন হোক, আমি যে ধর্মে বিলং করি না কেন, যে কোনো ধর্মের উৎসবকে আসলে সম্মান করা উচিত। এখন কিছু কিছু জায়গায় যেমন পূজা শুরু হওয়ার আগেই মূর্তি ভাঙা হয়। দিন দিন এটা বাড়ছে। আমার কথা হচ্ছে, যে কোনো ধর্মের উৎসবই হোক না কেন, মানুষ হিসেবে সব ধর্মের উৎসবকেই আসলে সম্মান দেখানো উচিত।
এটা পূজা বলুন, বড় দিন বলুন, ঈদ বলুন- বিষয়টা তো সেলিব্রেশনের ব্যাপার আছে। তখন তো সবার সঙ্গে এক ধরনের দেখা হয়, একটা ফূর্তি থাকে মনের মধ্যে। ওই বিষয়টা আমি ফিল করি, পূজার সময় ফিল করি যেমন ঈদের সময়ও আমার বাড়িতে সবসময় পোলাও রান্না করা হয়। পোলাও রান্না হবেই, এটা ছোটবেলায় আমার মা উদযাপনটা শুরু করেছিলেন এবং এখন পর্যন্ত আমার বাড়িতে এটা হয়। সেভাবেই আসলে মানুষকে সম্মান করাটা ভীষণ প্রয়োজন।
একজন মানুষ তো কোনো না কোনো ধর্মে বিলং করে, সেইসঙ্গে তাকে অন্য ধর্ম ফলো করতে বলছি না। বলছি যে, সব ধর্মকে মনের মধ্যে একটা সম্মানের জায়গায় রাখতে হবে। মানুষের ধর্মের প্রতি সম্মানটা আমাদের ছড়িয়ে দিতে হবে। ভালোবাসাটা ছড়িয়ে দিতে হবে।