ঢাকা , মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বাম রাজনীতি থেকে ‘অগ্নিকন্যা’, নৌকায় উঠে ক্ষমতায়, আ. লীগের দুঃসময়ে প্রস্থান ১০০ রানের লিড হলেই চলবে দক্ষিণ আফ্রিকার লেবানন থেকে দেশে ফিরেছেন ৫৪ বাংলাদেশি মৃত্যুর পর মরদেহ কী হবে, বলে গেছেন মনি কিশোর দুর্নীতি দমাতে ডিজিটাইজেশনে গুরুত্ব প্রধান উপদেষ্টার হাসিনার পদত্যাগ ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাংবিধানিক বৈধতা ‘মীমাংসিত’ ইস্যু, নয়া বিতর্ক সৃষ্টি আর নয় : প্রেসিডেন্ট বঙ্গভবনের বিলাসিতা ছেড়ে নিজের পথ দেখুন : রাষ্ট্রপতিকে হাসনাত জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সম্পাদক সারজিস, প্রধান নির্বাহী স্নিগ্ধ শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র ইস্যুতে মতিউর রহমান চৌধুরীকে যা বলেছেন রাষ্ট্রপতি জামায়াত নিষিদ্ধের বিপক্ষে ছিল জাতীয় পার্টি, দাবি জিএম কাদেরের

নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছেন তারকারা

বাঙালী কন্ঠ ডেস্কঃ নতুন নেতৃত্বের অপেক্ষায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। আগামী ২৫ অক্টোবর এফডিসিতে অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন। এরই মধ্যে জমে উঠেছে চিত্রপুরী। চিত্রপাড়ায় এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু নির্বাচন। তারকাদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে চলচ্চিত্রাঙ্গন। মনোনয়ন কিনেছেন একঝাঁক চলচ্চিত্রশিল্পী। তবে নানা ঘটনা-রটনাও সৃষ্টি হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রকাশ করা হয়েছে খসড়া তালিকা। নির্বাচন নিয়ে চলচ্চিত্রশিল্পীরা কে কী ভাবছেন তা তুলে ধরা হলো।

আশা করি সুষ্ঠুভাবেই আগামী ২৫ অক্টোবর চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে নির্বাচনী সকল কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে। প্রার্থীরা কাজ করছেন। তবে একটি বিষয় হচ্ছে- নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচন হয় কিন্তু কাজ হয় না। চলচ্চিত্রের উন্নয়ন হয় না। চলচ্চিত্রের উন্নয়ন না হলে এই শিল্প টিকবে কী করে। ছবি সংকটে অভিনয়শিল্পীরা বেকার হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে যারা নতুন তারা দুই/একটি ছবির পর বসে আছে। সিনিয়র শিল্পীরা কিছু কাজ করলেও নতুনেরা ক্যারিয়ার নিয়ে হতাশায় ভোগেন। নতুনরা এগিয়ে আসার সুযোগ না পেলে ভবিষ্যৎ ভালো হওয়া সম্ভব নয়। কারণ ভবিষ্যৎ তাদের হাতে। নির্বাচনে যারাই জয়ী হোক তাদের চলচ্চিত্র উন্নয়নে এগিয়ে আসতে হবে। সমিতির উন্নয়নে নয়, চলচ্চিত্রের উন্নয়নে কাজ করতে হবে। শিল্পীদের সম্মানজনক অবস্থা নিয়ে নির্বাচিতদের ভাবতে হবে। শিল্পীরা যে শুধু অভিনয়ই করে তা কিন্তু নয়। তারা সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় কাজেও অবদান রাখেন। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় অযথাই শিল্পীদের নিয়ে নানা অভিযোগ তৈরি হয়। নানা অপরাধমূলক ঘটনায় তাদের জড়ানোর চেষ্টা করা হয়। এতে করে অনেক শিল্পীকে সমস্যায় পড়তে হয়। আমাদের প্রতিনিধিরা এসব বিষয়ে গুরুত্ব দিবেন। আসলে যাদের সাহস আছে তারাইতো প্রতিনিধিত্ব করে, তারাই নির্বাচনে আসেন। যারা শিল্পীদের স্বার্থ নিয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন, অসহায়শিল্পীদের পাশে দাঁড়াবেন, চলচ্চিত্রের নতুন গতি তৈরি করবেন তারাই যেন নির্বাচিত হন।
আলীরাজ
নির্বাচন নিয়ে ইতোমধ্যে চারিদিকে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে। নির্দিষ্ট সময়েই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমি শুটিংয়ের কাজে কিছুদিন ঢাকার বাইরে আছি। প্রকাশিত খবরের মাধ্যমে যতটুকু জানতে পেরেছি তাতে মনে হয় এবারের নির্বাচনটা একটু ভিন্ন রকমের। এমন ব্যক্তিদের নির্বাচিত হওয়া দরকার যারা দৌড়ঝাঁপ করতে পারবে, শিল্পীদের অধিকার আদায়ে সচেষ্ট থাকবেন। নিজের স্বার্থ বাদ দিয়ে শিল্পীদের স্বার্থ নিয়ে ভাববেন। চলচ্চিত্রের উন্নয়নে এগিয়ে আসবেন।অঞ্জনা সুলতানা
নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচন হতেই হবে এবং তা আগামী ২৫ অক্টোবর হবে। সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে প্রার্থী নির্বাচন করবেন। তবে নির্বাচনে মৌসুমীর বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। যারা নির্বাচনে তাকে উদ্বুদ্ধ করেছেন এক সময় তারাই হুট করে সরে গেলেন। তাদের জন্যই তো তিনি প্যানেল করার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। এটা বড় অন্যায়। তারপরও মৌসুমী একা লড়ছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। এজন্য মৌসুমীকে আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই তার সাহসিকতার জন্য। যারা অসহায় শিল্পীদের পাশে থাকবেন, চলচ্চিত্রের উন্নয়নে তৎপর থাকবেন তাদেরই নির্বাচনে জয়ী হওয়া উচিত। আমি নিজেও এবার কার্য নির্বাহী সদস্যপদে নির্বাচন করছি। নির্বাচনে জয়-পরাজয় থাকবেই। কিন্তু কাজ করতে হবে সবাইকে। আমি বরাবরই শিল্পীদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। দুস্থ শিল্পীদের জন্য সমিতিতে এক লক্ষ টাকাও দিয়েছি। নির্বাচনে পরাজিত হলেও শিল্পীদের পাশে থাকব।নিরব
আমি বরাবরই প্রত্যাশা করি নির্বাচন সুষ্ঠু হোক। ভোটের দিন অবশ্যই পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেব। যারা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন তাদের কাছে ভালো কিছুই প্রত্যাশা করছি। এমন প্রার্থীর বিজয়ী চাই যিনি চলচ্চিত্রের উন্নয়নে কাজ করবেন। শিল্পীর মর্যাদা, অধিকার নিয়ে কথা বলবেন।
আইরিন সুলতানা
প্রথম বারের মতো এবার চলচ্চিত্রশিল্পী সমিতির নির্বাচনে ভোট দেব। আমার অভিনীত দশটি ছবি মুক্তি পেলেও এবারই সমিতির তালিকাভুক্ত সদস্য হয়েছি। এজন্য ভালো লাগাটা অনেক বেশি। পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিব। আশা করছি সুন্দর পরিবেশে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এমন প্রতিনিধিদের বিজয়ীর আশা করছি যারা প্রকৃতই যোগ্য ব্যক্তি। এক কথায় চলচ্চিত্রের উন্নয়নের জন্য কাজ করবেন।
বিপাশা কবির
শিল্পী সমিতির নির্বাচনে যারাই নেতৃত্বে আসবেন তাদের কাছে একটিই চাওয়া, চলচ্চিত্রাঙ্গনকে বর্তমান অবস্থা থেকে বের করতে হবে। সমিতির উন্নয়ন নয়, সিনেমার উন্নয়ন করতে হবে। তাহলেই এই শিল্প তার হারানো ঐতিহ্য ফিরে পাবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে তাকেই ভোট দেব। যে শিল্পীদের বিপদে আপদে পাশে থাকবে। অসহায় শিল্পীদের পাশে দাঁড়াবে। চিন্তা-ভাবনা করেই ভোট দেয়াটা হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

বাম রাজনীতি থেকে ‘অগ্নিকন্যা’, নৌকায় উঠে ক্ষমতায়, আ. লীগের দুঃসময়ে প্রস্থান

নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছেন তারকারা

আপডেট টাইম : ০২:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ অক্টোবর ২০১৯

বাঙালী কন্ঠ ডেস্কঃ নতুন নেতৃত্বের অপেক্ষায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। আগামী ২৫ অক্টোবর এফডিসিতে অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন। এরই মধ্যে জমে উঠেছে চিত্রপুরী। চিত্রপাড়ায় এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু নির্বাচন। তারকাদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে চলচ্চিত্রাঙ্গন। মনোনয়ন কিনেছেন একঝাঁক চলচ্চিত্রশিল্পী। তবে নানা ঘটনা-রটনাও সৃষ্টি হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রকাশ করা হয়েছে খসড়া তালিকা। নির্বাচন নিয়ে চলচ্চিত্রশিল্পীরা কে কী ভাবছেন তা তুলে ধরা হলো।

আশা করি সুষ্ঠুভাবেই আগামী ২৫ অক্টোবর চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে নির্বাচনী সকল কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে। প্রার্থীরা কাজ করছেন। তবে একটি বিষয় হচ্ছে- নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচন হয় কিন্তু কাজ হয় না। চলচ্চিত্রের উন্নয়ন হয় না। চলচ্চিত্রের উন্নয়ন না হলে এই শিল্প টিকবে কী করে। ছবি সংকটে অভিনয়শিল্পীরা বেকার হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে যারা নতুন তারা দুই/একটি ছবির পর বসে আছে। সিনিয়র শিল্পীরা কিছু কাজ করলেও নতুনেরা ক্যারিয়ার নিয়ে হতাশায় ভোগেন। নতুনরা এগিয়ে আসার সুযোগ না পেলে ভবিষ্যৎ ভালো হওয়া সম্ভব নয়। কারণ ভবিষ্যৎ তাদের হাতে। নির্বাচনে যারাই জয়ী হোক তাদের চলচ্চিত্র উন্নয়নে এগিয়ে আসতে হবে। সমিতির উন্নয়নে নয়, চলচ্চিত্রের উন্নয়নে কাজ করতে হবে। শিল্পীদের সম্মানজনক অবস্থা নিয়ে নির্বাচিতদের ভাবতে হবে। শিল্পীরা যে শুধু অভিনয়ই করে তা কিন্তু নয়। তারা সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় কাজেও অবদান রাখেন। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় অযথাই শিল্পীদের নিয়ে নানা অভিযোগ তৈরি হয়। নানা অপরাধমূলক ঘটনায় তাদের জড়ানোর চেষ্টা করা হয়। এতে করে অনেক শিল্পীকে সমস্যায় পড়তে হয়। আমাদের প্রতিনিধিরা এসব বিষয়ে গুরুত্ব দিবেন। আসলে যাদের সাহস আছে তারাইতো প্রতিনিধিত্ব করে, তারাই নির্বাচনে আসেন। যারা শিল্পীদের স্বার্থ নিয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন, অসহায়শিল্পীদের পাশে দাঁড়াবেন, চলচ্চিত্রের নতুন গতি তৈরি করবেন তারাই যেন নির্বাচিত হন।
আলীরাজ
নির্বাচন নিয়ে ইতোমধ্যে চারিদিকে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে। নির্দিষ্ট সময়েই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমি শুটিংয়ের কাজে কিছুদিন ঢাকার বাইরে আছি। প্রকাশিত খবরের মাধ্যমে যতটুকু জানতে পেরেছি তাতে মনে হয় এবারের নির্বাচনটা একটু ভিন্ন রকমের। এমন ব্যক্তিদের নির্বাচিত হওয়া দরকার যারা দৌড়ঝাঁপ করতে পারবে, শিল্পীদের অধিকার আদায়ে সচেষ্ট থাকবেন। নিজের স্বার্থ বাদ দিয়ে শিল্পীদের স্বার্থ নিয়ে ভাববেন। চলচ্চিত্রের উন্নয়নে এগিয়ে আসবেন।অঞ্জনা সুলতানা
নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচন হতেই হবে এবং তা আগামী ২৫ অক্টোবর হবে। সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে প্রার্থী নির্বাচন করবেন। তবে নির্বাচনে মৌসুমীর বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। যারা নির্বাচনে তাকে উদ্বুদ্ধ করেছেন এক সময় তারাই হুট করে সরে গেলেন। তাদের জন্যই তো তিনি প্যানেল করার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। এটা বড় অন্যায়। তারপরও মৌসুমী একা লড়ছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। এজন্য মৌসুমীকে আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই তার সাহসিকতার জন্য। যারা অসহায় শিল্পীদের পাশে থাকবেন, চলচ্চিত্রের উন্নয়নে তৎপর থাকবেন তাদেরই নির্বাচনে জয়ী হওয়া উচিত। আমি নিজেও এবার কার্য নির্বাহী সদস্যপদে নির্বাচন করছি। নির্বাচনে জয়-পরাজয় থাকবেই। কিন্তু কাজ করতে হবে সবাইকে। আমি বরাবরই শিল্পীদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। দুস্থ শিল্পীদের জন্য সমিতিতে এক লক্ষ টাকাও দিয়েছি। নির্বাচনে পরাজিত হলেও শিল্পীদের পাশে থাকব।নিরব
আমি বরাবরই প্রত্যাশা করি নির্বাচন সুষ্ঠু হোক। ভোটের দিন অবশ্যই পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেব। যারা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন তাদের কাছে ভালো কিছুই প্রত্যাশা করছি। এমন প্রার্থীর বিজয়ী চাই যিনি চলচ্চিত্রের উন্নয়নে কাজ করবেন। শিল্পীর মর্যাদা, অধিকার নিয়ে কথা বলবেন।
আইরিন সুলতানা
প্রথম বারের মতো এবার চলচ্চিত্রশিল্পী সমিতির নির্বাচনে ভোট দেব। আমার অভিনীত দশটি ছবি মুক্তি পেলেও এবারই সমিতির তালিকাভুক্ত সদস্য হয়েছি। এজন্য ভালো লাগাটা অনেক বেশি। পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিব। আশা করছি সুন্দর পরিবেশে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এমন প্রতিনিধিদের বিজয়ীর আশা করছি যারা প্রকৃতই যোগ্য ব্যক্তি। এক কথায় চলচ্চিত্রের উন্নয়নের জন্য কাজ করবেন।
বিপাশা কবির
শিল্পী সমিতির নির্বাচনে যারাই নেতৃত্বে আসবেন তাদের কাছে একটিই চাওয়া, চলচ্চিত্রাঙ্গনকে বর্তমান অবস্থা থেকে বের করতে হবে। সমিতির উন্নয়ন নয়, সিনেমার উন্নয়ন করতে হবে। তাহলেই এই শিল্প তার হারানো ঐতিহ্য ফিরে পাবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে তাকেই ভোট দেব। যে শিল্পীদের বিপদে আপদে পাশে থাকবে। অসহায় শিল্পীদের পাশে দাঁড়াবে। চিন্তা-ভাবনা করেই ভোট দেয়াটা হবে বুদ্ধিমানের কাজ।