ঢাকা , মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বাম রাজনীতি থেকে ‘অগ্নিকন্যা’, নৌকায় উঠে ক্ষমতায়, আ. লীগের দুঃসময়ে প্রস্থান ১০০ রানের লিড হলেই চলবে দক্ষিণ আফ্রিকার লেবানন থেকে দেশে ফিরেছেন ৫৪ বাংলাদেশি মৃত্যুর পর মরদেহ কী হবে, বলে গেছেন মনি কিশোর দুর্নীতি দমাতে ডিজিটাইজেশনে গুরুত্ব প্রধান উপদেষ্টার হাসিনার পদত্যাগ ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাংবিধানিক বৈধতা ‘মীমাংসিত’ ইস্যু, নয়া বিতর্ক সৃষ্টি আর নয় : প্রেসিডেন্ট বঙ্গভবনের বিলাসিতা ছেড়ে নিজের পথ দেখুন : রাষ্ট্রপতিকে হাসনাত জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সম্পাদক সারজিস, প্রধান নির্বাহী স্নিগ্ধ শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র ইস্যুতে মতিউর রহমান চৌধুরীকে যা বলেছেন রাষ্ট্রপতি জামায়াত নিষিদ্ধের বিপক্ষে ছিল জাতীয় পার্টি, দাবি জিএম কাদেরের

খাবার ও কাপড় কেনার টাকা ছিল না রাজকুমারের

বাঙ্গালী কণ্ঠ ডেস্কঃ অভিনয় ক্যারিয়ারের প্রায় এক দশক পূরণ করতে চলেছেন বলিউড তারকা রাজকুমার রাও। শুরুটা ‘লাভ সেক্স অউর ধোঁকা’ সিনেমা দিয়ে। তবে তার ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দেয় ‘কাই পো চে’। সিনেমাটির সাফল্য এই অভিনেতার ইন্ডাস্ট্রিতে শক্ত অবস্থার তৈরিতে সাহায্য করে। বর্তমানে বলিউডের প্রথম সারির একজন তারকা তিনি।

কিন্তু রাজকুমারের ক্যারিয়ার খুব সহজেই দাঁড়ায়নি। আজকের অবস্থানে আসতেও তাকে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। পাড়ি দিতে হয়েছে কঠিন পথ।

দীপাবলি উপলক্ষে শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) মুক্তি পেতে যাচ্ছে রাজকুমারের নতুন সিনেমা ‘মেড ইন চায়না’। সিনেমাটির প্রচারণা উপলক্ষে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজের ক্যারিয়ারের কঠিন কিছু বাস্তবতার কথা তুলে ধরেছেন তিনি। সেখানে জানিয়েছেন, এক সময় খাবার ও কাপড় কেনার টাকা ছিল না তার, ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ছিল মাত্র ১৮ রুপি।

রাজ কুমার বলেন, ‘আমি প্রথম মুম্বাই এসে ছোট্ট একটা বাসায় আরেকজনের সঙ্গে ভাগাভাগি করে থাকতাম। আমাকে ৭ হাজার রুপি ভাড়া দিতে হতো। যদিও এই অর্থটাও তখন আমার কাছে অনেক বেশি ছিল। প্রতিমাসে আমার ১৫ থেকে ২০ হাজার রুপি প্রয়োজন ছিল, কিন্তু তখন আমি জানতে পারি আমার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ছিল মাত্র ১৮ রুপি!’

‘ওটা আসলে আমার জন্য খুব কঠিন সময় ছিল। আমি খুব সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারে বড় হয়েছি। এক সময় এমন হয়েছিল স্কুলে পড়াশোনার খরচ দেওয়ার সামর্থ্য ছিল না। তখন শিক্ষকরা দুই বছর ধরে আমার খরচ চালিয়েছেন,’ যোগ করেন ‘নিউটন’খ্যাত এই তারকা।

রাজকুমার দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। এছাড়া ভারতের পুণের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট (এফটিআইআই) থেকেও ডিগ্রি নিয়েছেন তিনি।

৩৫ বছরের এই অভিনেতা বলেন, ‘এফটিআইআই’তে পড়ার সময়ে আমরা বন্ধুরা একে অপরের কাছ থেকে ঋণ করে চলতাম। কখনো খুদা লাগলে বন্ধুর বাসায় গিয়ে খাবার খেতাম। তাছাড়া কাপড় ও খাবার কেনার পর্যাপ্ত টাকাও আমার কাছে ছিল না।’

তিনি জানান, তার বন্ধু বিনোদ ও তিনি মিলে বাইকে করে বেরিয়ে পড়তেন অডিশন দিতে। এক প্রযোজক থেকে অন্য প্রযোজকের দরজায় দরজায় ঘুরে বেড়াতেন, শুধু একটা সুযোগের জন্য। শুধু তাই নয়, তাদের মাথায় ফ্যাশনের ধারণাও একেবারে ছিল না বললেই চলে।

২০১২ সালে ‘শহীদ’ সিনেমার জন্য ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান রাজকুমার রাও। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমার তালিকায় রয়েছে-‘সিটিলাইটস’, ‘তালাশ’, ‘কুইন’, ‘রাবতা’, ‘বারেলি কি বারফি’, ‘স্ত্রী’সহ বেশকিছু সিনেমা। সর্বশেষ  ‘জাজমেন্টাল হ্যায় ক্যায়া’ সিনেমার মধ্য দিয়ে শেষবার তাকে পর্দায় দেখা যায়।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

বাম রাজনীতি থেকে ‘অগ্নিকন্যা’, নৌকায় উঠে ক্ষমতায়, আ. লীগের দুঃসময়ে প্রস্থান

খাবার ও কাপড় কেনার টাকা ছিল না রাজকুমারের

আপডেট টাইম : ০৫:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০১৯

বাঙ্গালী কণ্ঠ ডেস্কঃ অভিনয় ক্যারিয়ারের প্রায় এক দশক পূরণ করতে চলেছেন বলিউড তারকা রাজকুমার রাও। শুরুটা ‘লাভ সেক্স অউর ধোঁকা’ সিনেমা দিয়ে। তবে তার ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দেয় ‘কাই পো চে’। সিনেমাটির সাফল্য এই অভিনেতার ইন্ডাস্ট্রিতে শক্ত অবস্থার তৈরিতে সাহায্য করে। বর্তমানে বলিউডের প্রথম সারির একজন তারকা তিনি।

কিন্তু রাজকুমারের ক্যারিয়ার খুব সহজেই দাঁড়ায়নি। আজকের অবস্থানে আসতেও তাকে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। পাড়ি দিতে হয়েছে কঠিন পথ।

দীপাবলি উপলক্ষে শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) মুক্তি পেতে যাচ্ছে রাজকুমারের নতুন সিনেমা ‘মেড ইন চায়না’। সিনেমাটির প্রচারণা উপলক্ষে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজের ক্যারিয়ারের কঠিন কিছু বাস্তবতার কথা তুলে ধরেছেন তিনি। সেখানে জানিয়েছেন, এক সময় খাবার ও কাপড় কেনার টাকা ছিল না তার, ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ছিল মাত্র ১৮ রুপি।

রাজ কুমার বলেন, ‘আমি প্রথম মুম্বাই এসে ছোট্ট একটা বাসায় আরেকজনের সঙ্গে ভাগাভাগি করে থাকতাম। আমাকে ৭ হাজার রুপি ভাড়া দিতে হতো। যদিও এই অর্থটাও তখন আমার কাছে অনেক বেশি ছিল। প্রতিমাসে আমার ১৫ থেকে ২০ হাজার রুপি প্রয়োজন ছিল, কিন্তু তখন আমি জানতে পারি আমার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ছিল মাত্র ১৮ রুপি!’

‘ওটা আসলে আমার জন্য খুব কঠিন সময় ছিল। আমি খুব সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারে বড় হয়েছি। এক সময় এমন হয়েছিল স্কুলে পড়াশোনার খরচ দেওয়ার সামর্থ্য ছিল না। তখন শিক্ষকরা দুই বছর ধরে আমার খরচ চালিয়েছেন,’ যোগ করেন ‘নিউটন’খ্যাত এই তারকা।

রাজকুমার দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। এছাড়া ভারতের পুণের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট (এফটিআইআই) থেকেও ডিগ্রি নিয়েছেন তিনি।

৩৫ বছরের এই অভিনেতা বলেন, ‘এফটিআইআই’তে পড়ার সময়ে আমরা বন্ধুরা একে অপরের কাছ থেকে ঋণ করে চলতাম। কখনো খুদা লাগলে বন্ধুর বাসায় গিয়ে খাবার খেতাম। তাছাড়া কাপড় ও খাবার কেনার পর্যাপ্ত টাকাও আমার কাছে ছিল না।’

তিনি জানান, তার বন্ধু বিনোদ ও তিনি মিলে বাইকে করে বেরিয়ে পড়তেন অডিশন দিতে। এক প্রযোজক থেকে অন্য প্রযোজকের দরজায় দরজায় ঘুরে বেড়াতেন, শুধু একটা সুযোগের জন্য। শুধু তাই নয়, তাদের মাথায় ফ্যাশনের ধারণাও একেবারে ছিল না বললেই চলে।

২০১২ সালে ‘শহীদ’ সিনেমার জন্য ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান রাজকুমার রাও। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমার তালিকায় রয়েছে-‘সিটিলাইটস’, ‘তালাশ’, ‘কুইন’, ‘রাবতা’, ‘বারেলি কি বারফি’, ‘স্ত্রী’সহ বেশকিছু সিনেমা। সর্বশেষ  ‘জাজমেন্টাল হ্যায় ক্যায়া’ সিনেমার মধ্য দিয়ে শেষবার তাকে পর্দায় দেখা যায়।