ঢাকা , রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গোলাপ গ্রামে কাটুক ভালোবাসার দিন

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ লাল গোলাপ যেমন সৌন্দর্যের প্রতীক, তেমনি আরেকটি বিষয়ের জানান দেয়—‘ভালোবাসি’! লাল গোলাপে ভালোবাসা প্রকাশ পায়, আমাদের ধারণা এমনই। ভালোবাসা দিবস যদি গোলাপ ফুলের গ্রামে কাটানো যায়, তাহলে কেমন হয়? এমন দিনে এর চেয়ে ভালো জায়গা খুব কমই আছে।

গ্রামটা ঢাকার খুব কাছেই। গ্রামের ভেতর দিয়ে চলে গেছে আঁকাবাঁকা সরু পথ। পথের ধার ঘেঁষে অসংখ্য গোলাপের বাগান। যত দূর চোখ যাবে, শুধু লাল গোলাপের সমারোহ। মাঝে মাঝে কিছু সাদা গোলাপ, গ্লাডিওলাস, জারবেরার বাগানও চোখে পড়ে। প্রিয়জনের হাত ধরে যেতে যেতে মনে হবে, আপনাদের পদাচরণ ভালোবাসার রাজ্যে!

এরমধ্যে একটা টিপস দেই, দুটি রঙের গোলাপ একই সঙ্গে দিতে পারেন আপনার প্রিয়জনকে। আপনি যদি লাল ও সাদা গোলাপ একই সঙ্গে দিতে চান, তার মানে দাঁড়াবে—‘প্রিয়জনের সঙ্গে আপনার একতা’। লাল আর হলুদ গোলাপ বোঝাবে—‘তোমাকে ভালোবাসতে শুরু করেছি’। লাল ছাড়া অন্যান্য গোলাপ কম চোখে পড়লেও খুঁজে নিন। কথায় আছে না? ভালোবাসার মানুষের জন্য সব করা যায়!

গোলাপ গ্রাম

গোলাপ গ্রাম

সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নে সাদুল্লাপুর গ্রামের অবস্থান। তুরাগ নদীর তীরের এ গ্রামটিই বর্তমানে গোলাপ গ্রাম হিসেবে পরিচিত। নানা রঙের গোলাপ ফুল দিয়ে ঘেরা সমস্ত সাদুল্লাহপুর গ্রামটিকে একটি বাগান মনে হয়। পুরো গ্রামে গোলাপের সৌরভ পাবেন। লাল টকটকে গোলাপ মাথা উঁচিয়ে থাকে। দুপুরের পর থেকেই চাষিরা বাগানে নেমে যান গোলাপ তুলতে। তখনই পছন্দমতো গোলাপ কিনতে পারেন।

সাদুল্লাহপুরের পাশেই বিরুলিয়া গ্রাম। এখানে পাবেন বিরুলিয়া জমিদার বাড়ি। পুরোনো বাড়িগুলো তার মাটি সোঁদা গন্ধ আপনাকে ইতিহাসের খেরোখাতা খুলে দিবে চোখের সামনে। গ্রামের শেষ ঠিক মাথায় নদীর তীর ঘেঁষে বাড়িটি জমিদার রজনীকান্ত ঘোষের। সেখানে এখন বাস করছেন রজনীকান্ত ঘোষের বংশধররা। সেখানেও ঘুরে আসতে পারেন সহজেই!

মিরপুর ১ থেকে আলিফ কিংবা মোহনা বাসে উঠে সরাসরি বিরুলিয়া ব্রিজ যেতে পারেন। অথবা মিরপুর-১ এর কাছেই অবস্থিত দিয়াবাড়ি থেকে মিনিবাসে চড়তে পারেন। বেড়ীবাঁধের হাইওয়ে ধরে বেশ কিছুক্ষণ এগোলেই বিরুলিয়া সেতু।  বিরুলিয়া পোঁছালে আপনাকে পায়ে হেঁটে জমিদার বাড়িগুলো ঘুরে দেখতে হবে। আর গোলাপ গ্রামে যেতে আপনাকে প্রথমে যেতে হবে আক্রাইন বাজার। আকরাইন বাজার থেকে অটোতে সাদুল্লাহপুর।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

গোলাপ গ্রামে কাটুক ভালোবাসার দিন

আপডেট টাইম : ০৯:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২০

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ লাল গোলাপ যেমন সৌন্দর্যের প্রতীক, তেমনি আরেকটি বিষয়ের জানান দেয়—‘ভালোবাসি’! লাল গোলাপে ভালোবাসা প্রকাশ পায়, আমাদের ধারণা এমনই। ভালোবাসা দিবস যদি গোলাপ ফুলের গ্রামে কাটানো যায়, তাহলে কেমন হয়? এমন দিনে এর চেয়ে ভালো জায়গা খুব কমই আছে।

গ্রামটা ঢাকার খুব কাছেই। গ্রামের ভেতর দিয়ে চলে গেছে আঁকাবাঁকা সরু পথ। পথের ধার ঘেঁষে অসংখ্য গোলাপের বাগান। যত দূর চোখ যাবে, শুধু লাল গোলাপের সমারোহ। মাঝে মাঝে কিছু সাদা গোলাপ, গ্লাডিওলাস, জারবেরার বাগানও চোখে পড়ে। প্রিয়জনের হাত ধরে যেতে যেতে মনে হবে, আপনাদের পদাচরণ ভালোবাসার রাজ্যে!

এরমধ্যে একটা টিপস দেই, দুটি রঙের গোলাপ একই সঙ্গে দিতে পারেন আপনার প্রিয়জনকে। আপনি যদি লাল ও সাদা গোলাপ একই সঙ্গে দিতে চান, তার মানে দাঁড়াবে—‘প্রিয়জনের সঙ্গে আপনার একতা’। লাল আর হলুদ গোলাপ বোঝাবে—‘তোমাকে ভালোবাসতে শুরু করেছি’। লাল ছাড়া অন্যান্য গোলাপ কম চোখে পড়লেও খুঁজে নিন। কথায় আছে না? ভালোবাসার মানুষের জন্য সব করা যায়!

গোলাপ গ্রাম

গোলাপ গ্রাম

সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নে সাদুল্লাপুর গ্রামের অবস্থান। তুরাগ নদীর তীরের এ গ্রামটিই বর্তমানে গোলাপ গ্রাম হিসেবে পরিচিত। নানা রঙের গোলাপ ফুল দিয়ে ঘেরা সমস্ত সাদুল্লাহপুর গ্রামটিকে একটি বাগান মনে হয়। পুরো গ্রামে গোলাপের সৌরভ পাবেন। লাল টকটকে গোলাপ মাথা উঁচিয়ে থাকে। দুপুরের পর থেকেই চাষিরা বাগানে নেমে যান গোলাপ তুলতে। তখনই পছন্দমতো গোলাপ কিনতে পারেন।

সাদুল্লাহপুরের পাশেই বিরুলিয়া গ্রাম। এখানে পাবেন বিরুলিয়া জমিদার বাড়ি। পুরোনো বাড়িগুলো তার মাটি সোঁদা গন্ধ আপনাকে ইতিহাসের খেরোখাতা খুলে দিবে চোখের সামনে। গ্রামের শেষ ঠিক মাথায় নদীর তীর ঘেঁষে বাড়িটি জমিদার রজনীকান্ত ঘোষের। সেখানে এখন বাস করছেন রজনীকান্ত ঘোষের বংশধররা। সেখানেও ঘুরে আসতে পারেন সহজেই!

মিরপুর ১ থেকে আলিফ কিংবা মোহনা বাসে উঠে সরাসরি বিরুলিয়া ব্রিজ যেতে পারেন। অথবা মিরপুর-১ এর কাছেই অবস্থিত দিয়াবাড়ি থেকে মিনিবাসে চড়তে পারেন। বেড়ীবাঁধের হাইওয়ে ধরে বেশ কিছুক্ষণ এগোলেই বিরুলিয়া সেতু।  বিরুলিয়া পোঁছালে আপনাকে পায়ে হেঁটে জমিদার বাড়িগুলো ঘুরে দেখতে হবে। আর গোলাপ গ্রামে যেতে আপনাকে প্রথমে যেতে হবে আক্রাইন বাজার। আকরাইন বাজার থেকে অটোতে সাদুল্লাহপুর।