খিলগাঁওয়ে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধুকে হত্যার অভিযোগে স্বামী গ্রেপ্তার

রাজধানীর খিলগাঁওয়ের দক্ষিণ গোড়ানে মাহমুদা আক্তার মুন্নি (২২) নামে এক অন্তঃস্বত্ত্বা গৃহবধুকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ শুক্রবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

স্বজনরা অভিযোগ করছেন, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ‘মারধরে’ গুরুতর আহত হন মুন্নি। স্বামী সাইফুল আল মামুন তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে দাবি স্বজনদের।

পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, নিহত মুন্নির স্বামী ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মামুনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে।

খিলগাঁও থানার ওসি কাজী মাইনুল ইসলাম বলেন, ওই গৃহবধু আট মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা ছিলেন। তাকে হত্যার অভিযোগ এনে স্বামীকে আসামি করে একটি মামলা হয়েছে। মৃতের শরীরে আঘাতের কিছু চিহ্ন রয়েছে। তবে ঘটনাটি হত্যাকাণ্ড কিনা তা ময়নাতদন্ত রিপোর্ট না পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে বলা যাবে না। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

মৃতের চাচা ফজলুল করিম বলেন, বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে দক্ষিণ গোড়ানের ৩৪৭ নম্বর বাসায় থাকতেন মুন্নি। কিছুদিন ধরে স্বামীর সঙ্গে তার সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিল না। গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বাসায় ফেরেন মামুন। এ সময় মুন্নির দরজা খুলতে দেরি হওয়ায় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। তিনি মুন্নিকে বেধড়ক পেটান। এতে মারাত্মক আহত হন মুন্নি।

খবর পেয়ে স্বজনরা তাকে ওই বাসা থেকে উদ্ধার করে ধানমণ্ডির একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে আজ সকাল ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়। মুন্নির বাবা মনিরুল করিম লক্ষীপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেও জানান তিনি।

স্বজনদের অভিযোগ, সাইফুল আল মামুন কিছুদিন আগে অন্য ধর্মের এক মেয়েকে গোপনে বিয়ে করেন। বিষয়টি জানার পর কলহ শুরু হয়। স্ত্রীর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার বিপরীতে তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিলেন মামুন।

পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মামুন স্ত্রীকে নির্যাতনের কথা স্বীকার করেননি। তবে তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে বিস্তারিত জানা যাবে বলে আশা করছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।

Print Friendly, PDF & Email

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর