ভুতুড়ে বিলে ৩০০ জনকে শাস্তির সুপারিশ

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে ভুতুড়ে বিল সমন্বয় করতে ব্যর্থ হওয়ায় দেশের চারটি বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থার প্রায় ৩০০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগ গঠিত টাস্কফোর্স এ সুপারিশ করেছে বলে জানা গেছে।

গত ২৫ জুন বিদ্যুৎ বিভাগ একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে টাস্কফোর্স গঠন করে। সাত দিনের মধ্যে ভুতুড়ে বিলের সমাধান না করতে পারলে বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শাস্তি দেয়ার কথা বলে এই টাস্কফোর্স।

ঢাকার দক্ষিণে বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি) চারজন প্রকৌশলীকে সাময়িক বরখাস্ত করার সুপারিশ করেছে টাস্কফোর্স। এ ছাড়া ৩৬ জন প্রকৌশলীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া এবং ১৩ মিটার রিডার সুপারভাইজারকে বরখাস্ত করার সুপারিশ করেছে।

ঢাকা উত্তরের বিতরণ সংস্থা ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (ডেসকো) দু’জন মিটার রিডারকে বরখাস্তের সুপারিশ করেছে টাস্কফোর্স।

দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার বিতরণ সংস্থা ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড ২৩০ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে কারণ দর্শাও এবং বরখাস্তসহ বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

রাজশাহী ও রংপুরের ১৬ জেলায় বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) লিমিটেডের দু’জন মিটার রিডারকে বরখাস্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে।

দেশের সব থেকে বড় বিতরণ সংস্থা পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) ৮০টি সমিতির কারা ভুতুড়ে বিলের জন্য দায়ী, এ ব্যাপারে এখনো কোনো তথ্য দেয়নি আরইবি। এখনো কোনো তথ্য দেয়নি বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডও (পিডিবি)।

এর মধ্যে টাস্কফোর্স কমিটির দেয়া সুপারিশ অনুযায়ী ত্বরিত সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিপিডিসি। সুপারিশ অনুযায়ী যে চারজন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছেন আদাবর আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রকৌশলী মো. হেলাল উদ্দিন, উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. রায়হানুল আলম, সহকারী প্রকৌশলী মো. মজিবুল রহমান ভূঁইয়া ও কম্পিউটার ডেটা এন্ট্রি কো অর্ডিনেটর জেসমিন আহমেদ। সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অধিকতর তদন্ত শেষে দোষী প্রমাণিত হলে স্থায়ী বরখাস্ত করা হবে। এ ছাড়া ৩৬টি আঞ্চলিক এর নির্বাহী প্রকৌশলীদের কারণ দর্শাও নোটিশ দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান চাকমা গণমাধ্যমে বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে একটি কমিটি গঠন করে সাত দিনের সময় বেঁধে দেয়া হয়েছিল। কমিটির সুপারিশে অনুযায়ী কয়েকজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে, ৩৬ জনকে কারণ দর্শাও নোটিশ দেয়া হয়েছে। কিছু মাঠ কর্মীকে বরখাস্তের সুপারিশ করা হয়েছে। আমরা কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া শুরু করেছি।

দেশে ছয়টি বিতরণ সংস্থা রয়েছে। এদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে প্রকৃত বিলের চেয়ে কোথাও কোথাও তিন থেকে ১০ গুন বেশি বিল করার অভিযোগ উঠেছে।

Print Friendly, PDF & Email

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর