ভাত ছেড়ে দিয়েছেন তাসকিন

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় থাকলে আপনার চোখ এড়ানোর কথা নয়। কখনো বালুর মাঠে পেছনে টায়ার বেঁধে ছুটছেন, জিমে ঘাম ঝরাচ্ছেন, বাসার গ্যারেজে বোলিংয়ের ড্রিল করছেন তাসকিন আহমেদ। ঝরঝরে, মেদহীন সুঠাম শারীরিক গঠন এখন তাসকিনের। ভিডিওর কল্যাণে যা সবারই দৃষ্টিগোচর হচ্ছে।

অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি ফিট তাসকিন। ওজন কমিয়েছেন ছয় কেজি। করোনাকালের এই দুর্যোগে ফিটনেসের জন্য সর্বোচ্চ পরিশ্রম করছেন ডানহাতি এই পেসার। নিজেকে মোটামুটি খলনলচে বদলে ফেলেছেন তিনি। খাদ্যাভাসে এনেছেন পরিবর্তন। যেমনটা এখন আর ভাতই খান না তাসকিন। ২৫ বছর বয়সি এই পেসারের চাওয়া একটাই, মাঠে নামার আগে যেন নিজের দিক থেকে সর্বোচ্চ ফিট ও প্রস্তুত থাকতে পারেন।

ক্রিকেটার মাত্রই ফিটনেস সচেতন হতে হবে। আধুনিক ক্রিকেটে যেটি আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ফিটনেসের দিকে গুরুত্ব কম দেওয়ায় গত তিন বছরে অনেকবার ইনজুরিতে পড়েছেন তাসকিন। বাংলাদেশের জার্সিতে শেষবার খেলেছেন ২০১৮ সালের মার্চে।

করোনার মাঝে নিজের রুটিন সম্পর্কে তাসকিন বলেছেন, ‘আমি এখন সপ্তাহে পাঁচ দিন কাজ করি। তিন দিন পর একদিন বিরতি। জিম, বোলিং ড্রিল, রানিং এগুলো ভাগ করে নিয়েছি।’

বাঙালির প্রধান খাদ্য ভাত থেকে অনেক দূরে তাসকিন। বলেছেন, ‘খাদ্যাভাসে বেশ পরিবর্তন এনেছি। একটু অন্য রকম। রুটিন করা আছে সবকিছু। আমি এখন আর ভাত খাই না। স্বাস্থ্যকর খাবার খাই। মাঝে মাঝে হয়তো ব্রাউন রাইস খাই।’

ফিটনেসের জন্য বিসিবি দেওয়া রুটিনের সঙ্গে নিজস্ব ট্রেনারের পরামর্শও অনুসরণ করছেন তাসকিন। বোলিংয়ের ড্রিলগুলো করছেন বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের পেস বোলিং কোচ মাহবুব জাকির পরামর্শে। যার মাধ্যমেই বোলিং অ্যাকশনের ত্রুটি কাটিয়ে উঠেছিলেন দ্রুতগতির এই পেসার।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের অদূরে বসিলায় ম্যাক্সওয়েল ওয়েস্টার্ন সিটির মাঠেই রানিং করছেন তাসকিন। নিজেকে আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি ফিট বোধ করেন তাসকিন। তিনি বলেন, ‘এখন স্কিলের সুযোগ হচ্ছে সেভাবে নেই। করোনার কারণে স্কিল ট্রেনিং নেই। এর বাইরে আমার কাজটা আমি করে রাখছি। নিজেও ভালো বোধ করি। আগের চেয়ে অনেক ভালো ফিট লাগে। আমি যখন সেরা রিদমে ছিলাম, তখন যেমন ছিলাম, সেই অবস্থায় যেতে চেয়েছি। ওজন কমেছে। ৮১ থেকে ৭৫ কেজি এখন। আমার টার্গেট ওজন কমলেও আমি যেন দুর্বল না হই।’

ইনজুরিমুক্ত থেকে টানা খেলতে চান তাসকিন। ডানহাতি এই পেসার বলেন, ‘বারবার ইনজুরড হতে ভালো লাগে না। যখনই রিদমে আসি তখনই ইনজুরড হই। অবশ্যই ইনজুরি কারো হাতে নেই। দুর্ভাগ্যক্রমে ইনজুরি হতেই পারে। যে কারো ক্ষেত্রে এটা হতে পারে। সেরা অবস্থানে থেকে আমি মাঠে যেতে চাই।

Print Friendly, PDF & Email

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর