নারায়ণগঞ্জে ১৫০ শয্যার হাসপাতাল তৈরি করতে চান ব্যবসায়ীরা

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ নারায়ণগঞ্জে করোনা হাসপাতালে কোভিড-১৯ রোগীদের পাশাপাশি সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা সেবা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে ১৫০ শয্যাবিশিষ্ট একটি ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।

সাধারন রোগী ও বিশেষ করে হৃদরোগসহ জটিল রোগে আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবা চালু রাখতেই এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির এমপি ও বিকেএমইএ সভাপতি একেএম সেলিম ওসমান।
নারায়ণগঞ্জ করোনা হাসপাতাল পরিদর্শনে এসে বুধবার যুগান্তরকে এসব তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
সেলিম ওসমান এমপি জানান, যেহেতু হাসপাতালটি সরকারি তাই এখানে ব্যক্তিগত অর্থায়নে নতুন ভবন তৈরি করতে সরকারের অনুমোদন প্রয়োজন। আমরা আশা করছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই অনুমোদন আমাদের দিবেন।
জানা গেছে, নগরীর ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালটি কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল ঘোষণার পর শহরের সরকারি ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালটি (ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল) শুধুমাত্র সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা সেবার জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে।
কিন্তু করোনার শুরুতেই ওই হাসপাতালের প্রায় ডজনখানেক ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় অনেকে আতঙ্কে সেখানে চিকিৎসা নিতে যান না।

পাশাপাশি হাসপাতালটির স্টাফরা বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীর চিকিৎসা সেবা দিতেও হিমশিম খাচ্ছেন।
শহরে ১৮টির মতো বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক থাকলেও সেখানেও সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা দিতে অনীহা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ফলে হৃদরোগসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্তরা বাধ্য হয়েই ছুটছেন রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে।
সেখানেও সাধারন জ্বর-সর্দি থাকা রোগীদের পরীক্ষার আগেই ভর্তি না করার অসংখ্য তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। বুধবার নারায়ণগঞ্জ করোনা হাসপাতালে পরিদর্শনে এসে ৩০০ শয্যা হাসপাতালের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানন এমপি যুগান্তরকে জানান, অনেক সময় শোনা যাচ্ছে সাধারণ রোগীরা চিকিৎসার জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।
কারণ খানপুর হাসপাতালে শুধুমাত্র করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সরকারের কাছ থেকে অনুমোদন পেলে আমরা নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ীরা হাসপাতালের পেছনের অংশে জরাজীর্ন টিনশেডটির ভেঙে অন্তত ১৫০ শয্যার সুবিধা সম্পন্ন একটি ভবন তৈরি করবো।
সাড়ে ৫ হাজার স্কয়ার ফিট জায়গা নিয়ে ৬তলা ফাউন্ডেশন দিয়ে আপাতত ৩তলা পর্যন্ত ভবন নির্মাণ করে সখানে সাধারণ সব রোগীদের জন্য চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।
তিনি বলেন, মূলত কাগজে কলমে ৩০০ শয্যা থাকলেও বাস্তবে এই হাসপাতালটি ১৫০ শয্যা হয়ে গেছে। কারণ,খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালটি ৫০০ শয্যায় উন্নীত করতে হাসপাতালের একটি অংশ ভেঙ্গে দিয়ে উন্নয়নের কাজ শুরু করা হয়েছে। যা বর্তমানে বিভিন্ন জটিলতায় কাজ আটকে রয়েছে।

যখন হাসপাতাটি ৫০০ শয্যার হবে, তখন এটিকে মেডিকেল কলেজে রূপান্তরিত করতে এই ভবনটি ভূমিকা রাখবে।

Print Friendly, PDF & Email

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর