হাতুরির ‘ঠুং ঠাং’ শব্দে ব্যস্ত কামাররা

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ আর মাত্র একদিন পরেই ঈদুল আজহা। আর তাই দিন-রাত হাতুরির ‘ঠুং ঠাং’ শব্দে ব্যস্ত সময় পার করছেন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার কামাররা। দিনরাত পরিশ্রম করে চাপাতি, ছুরিসহ নানা সামগ্রী তৈরি করে দোকানে সাজাচ্ছেন তারা। ক্রেতাদের ভিড়ও বাড়ছে দিন দিন।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর উত্তরা, কারওয়ান বাজার, টঙ্গি, কামরাঙ্গীরচর এলাকার কামারপট্টি ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।দিনরাত পরিশ্রম করে চাপাতি, ছুরিসহ নানা সামগ্রী তৈরি করে দোকানে সাজাচ্ছেন কামাররা

কারওয়ান বাজার কামারপট্টির ‘সঞ্জয় কামারশালা’ নামের একটি দোকানের মালিক সঞ্জয় কুমার বলেন, দীর্ঘদিন আমাদের কোনো বিক্রি ছিল না। শুধু মাল তৈরি করে সাজিয়ে রাখতাম। চিন্তায় পড়েছিলাম কি যেন হয়। আজ থেকে বিক্রি শুরু হয়েছে। হয়তো আগামী দু’দিন বেশি ক্রেতা আসবে।

তিনি বলেন, এরইমধ্যে অনেকে গরু কিনে ফেলেছেন তাই এখন কামারপাড়ায় ভিড় জমাচ্ছেন। কিছুটা হলেও স্বস্তির আভাস পাচ্ছি। তবে গ্রামে গিয়ে কোরবানি করবে এমন লোকজন মালামাল কিনে গ্রামে চলে যাচ্ছেন। এখন ভিড় করছেন রাজধানীতে থাকা মানুষগুলো। No description available.দিনরাত পরিশ্রম করে চাপাতি, ছুরিসহ নানা সামগ্রী তৈরি করে দোকানে সাজাচ্ছেন কামাররা

তুরাগের একটি দোকানের বিক্রেতা নরেন কুমার বলেন, কয়েকদিন ধরেই কাজ ছিল না। কিন্তু এখন কাজের পরিমাণ বেড়ে গেছে। অনেকে ছুরি, চাপাতি কিনতে ও শান দিতে আসছেন। আজ ও শুক্রবার কাজের চাপ ও বিক্রি বেশি হবে।

সাদ্দাম হোসেন নামের এক ক্রেতা বলেন, আজ সকালে কোরবানির পশু কিনে ফেলেছি। তাই এখন ছুরি, চাপাতি কিনতে এসেছি। কসাই দিয়ে কোরবানি করলেও এবার নিজেদের নতুন ছুরি ও চাপাতি দিয়ে মাংস কাটবো। এবার করোনার কারণে নিজেরাই কামারপাড়া এসে এসব কিনে নিয়ে যাচ্ছি। যাতে কোনো সমস্যা না থাকে।No description available.দিনরাত পরিশ্রম করে চাপাতি, ছুরিসহ নানা সামগ্রী তৈরি করে দোকানে সাজাচ্ছেন কামাররা

মোস্তফা জামান নামের অপর এক ক্রেতা বলেন, এবারের কোরবানিটা ভিন্ন রকমের। আনন্দ থাকলেও ভয়টা বেশি। দ্রুত দামাদামি করে ছুরি, চাপাতি ও দা কিনে ঘরে ফিরতে পারলেই বাঁচি।

এদিকে সময় যতই গড়াচ্ছে ততই ভিড় বাড়ছে কামারশালায়। কেরানীগঞ্জ জিনজিরা বাজারের কামার সুনীল বলেন, কোরবানির আসলেই আমাদের কাজের ব্যস্ততায় খাবার খাওয়ার সময় থাকে না। এবার করোনার কারণে কাজের চাপ খুব বেশি। বাজারেও ভালো ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে লোহা ও কয়লার দাম বেড়ে যাওয়ায় এবার খুব সীমিত লাভে বিক্রি করতে হচ্ছে।

Print Friendly, PDF & Email

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর