সরকারি কর্মচারীদের শতভাগ পেনশন

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ সরকারি কর্মচারীদের শতভাগ পেনশনসহ সাত দাবিতে শনিবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী উন্নয়ন পরিষদ।

শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

তাদের দাবিগুলো হচ্ছে- পদ ও বেতন বৈষম্য দূর করা, বিভিন্ন দপ্তর/প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন খাতে কর্মরত কর্মচারীদের রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করা, পেনশনের হার ৯০ থেকে ১০০ শতাংশ ও গ্রাচুইটি হার এক টাকায় ২৩০ টাকার স্থলে ৪০০ টাকায় উন্নীত করা, ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা প্রদান, ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত গৃহ নির্মাণ ঋণ প্রদান এবং চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ এবং অবসর গ্রহণের বয়স ৬২ করা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সংহতি পরিষদের সভাপতি মো. নিজামুল ইসলাম ভূঁইয়া, বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি ওয়ারেছ আলী, সাধারণ সম্পাদক খায়ের আহমেদ মজুমদার প্রমুখ।

বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মো. ওয়ারেছ আলী বলেন, ‘আমরা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। আমাদের বঞ্চনার জায়গা রয়েছে। দাবি আদায়ে শৃঙ্খলা রক্ষা করে আমরা আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করব। আমরা বিভাগীয় পর্যায়ে সমাবেশ, কালো ব্যাচ ধারণ, কর্ম বিরতিসহ বিভিন্ন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করব। আশা করি, সরকার আমাদের দাবিগুলো মেনে নেবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘পাঁচ বছর পরপর পে-স্কেল দেয়ার কথা। অষ্টম পে-স্কেল ঘোষণার পর পাঁচ বছর হয়ে গেছে। আমরা নবম পে-স্কেল ঘোষণার দাবি জানাচ্ছি। বৈষম্য কমানোর জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার জীবদ্দশায় ১০ ধাপের পে-স্কেল দিয়েছিলেন। আমরা নবম পে-স্কেলটা ১০ ধাপের চাচ্ছি। এতে বৈষম্য কমবে। এখন সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ বেতনের অনুপাত ১:১০ এর মতো। এটা অনেক বেশি।’

বৈষম্যের উদাহরণ দিতে গিয়ে কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি বলেন, ‘সচিবালয়ে পিওন থেকে হয় অফিস সহকারী, এরপর পদোন্নতি পেয়ে হয় এও-পিও (প্রশাসনিক কর্মকর্তা-ব্যক্তিগত কর্মকর্তা), যেটা দ্বিতীয় শ্রেণির। কিন্তু বাইরে এই সুযোগে নেই। স্বাধীন, সার্বভৌম দেশে এটা আমরা প্রত্যাশা করি না। এটা বড় ধরনের বৈষম্য।’

তিনি বলেন, ‘সচিবালয়ে যারা কাজ করেন তাদের স্পেশাল অ্যালাউন্স দেয়া যেতে পারে। তাই আমরা সমতা আনতে অভিন্ন নিয়োগ বিধি চালু করার কথা বলছি। কর্মচারী যেখানেই চাকরি করুক সবার পদমর্যাদা এক হোক, পদোন্নতিও হোক একই নিয়মে।’

আউটসোর্সিং দাস প্রথার মতো একটা ব্যবস্থা বলে মন্তব্য করেন কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি ওয়ারেছ আলী।

তিনি বলেন, ‘সরকারের একটি দামি সম্পদ হচ্ছে গাড়ি, গাড়ি চালানোর চালক নেয়া হচ্ছে আউটসোর্সিংয়ে মাধ্যমে। সে তো কোনো বাধ্যবাধকতার মধ্যেই নেই। সরকারের এই সম্পদ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে নেয়া জনবলকে উপযুক্ত বেতন দেয় না ঠিকাদাররা। কিন্তু তারা কিন্তু ঠিকই সরকারের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছে। তাই আউটসোর্সিং বাতিলের দাবি জানাচ্ছি আমরা।’

Print Friendly, PDF & Email

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর