ম্যাড়ম্যাড়ে এক ম্যাচে ঢাকার প্রথম জয়

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ ধীর গতির উইকেট। সেই চিরাচরিত স্বল্প পুঁজি। লক্ষ্য তাড়ায় অতি সাবধানী ব্যাটিং। ম্যাচে ছড়ানো মৃদু রোমাঞ্চ। ভাগ্যদেবী যাদের পাশে থাকে তারাই হাসে শেষ হাসি। বিপিএলে লো স্কোরিং ম্যাচগুলোতে এমন পরিস্থিতি দেখা যেতো হরহামেশাই। ‘বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ স্পন্সরড বাই ওয়ালটন’-এও দেখা গেলো এমন দিন। বুধবার ফরচুন বরিশাল ও বেক্সিমকো ঢাকার ম্যাচটি হলো একেবারেই নিরুত্তাপ। আগে ব্যাটিং করে বরিশাল ৮ উইকেট হারিয়ে তোলে ১০৮ রান। জবাবে মাত্র ৭ বল আগে ৭ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে ঢাকা।

টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে বরিশালের ব্যাটসম্যানরা আজও জ্বলে উঠতে পারেনি। দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পেরেছেন মাত্র তিন ব্যাটসম্যান। অধিনায়ক তামিম ইকবালের ব্যাট থেকে এসেছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩১ রান। তার থেকে ২ রান বেশি করেন তৌহিদ হৃদয় (৩৩)। শেষ দিকে মেহেদী হাসান মিরাজ করেন ১২ রান। তাতে কোনোমতে একশ পেরিয়ে বরিশালের রান ১০৮।

ঢাকার জয়ের নায়ক রবিউল ইসলাম রবি চার ওভারে ২০ রানে নেন ৪ উইকেট। ২ উইকেট নেন বাঁহাতি পেসার শফিকুল ইসলাম। প্রথম ওভারে ১০ রান দেওয়ার পর পরের দুই ওভার মেডেন নেন ঢাকার এই ডানহাতি পেসার।

বোলিংয়ে দুর্দান্ত পারফর্ম করলেও ব্যাটিংয়ে দুর্ভাগ্যের শিকার হন রবি। রান তাড়ায় রান আউট হন ঢাকার ওপেনার। মোহাম্মদ নাঈমের শট স্পিনার তানভীর ইসলামের হাতে লেগে স্টাম্পে আঘাত করে। তখন নন স্ট্রাইকে থাকা রবি ক্রিজের বাইরে। পরে নাঈমও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হন তিনিও, ১৩ রানে।

তৃতীয় উইকেটে তানজিদ হাসান তামিম ও মুশফিক ৩১ রান যোগ করেন। এ জুটি ভাঙেন মিরাজ। অফস্পিনারের বলে এলবিডাব্লিউ হন ২২ রান করা তানজিদ। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি ঢাকাকে। মুশফিক ও ইয়াসির আলী রাব্বির ব্যাটে টুর্নামেন্টে প্রথম জয় পায় ঢাকা। দুইজনের ৪১ বলে অবিচ্ছিন্ন ৫৫ রানের জুটিতে ঢাকা সহজে ম্যাচ জিতে নেয়।

শেষ ১২ বলে ১৬ রান লাগতো ঢাকার। তাসকিন আহমেদের ওভারে মিড উইকেট দিয়ে দুই ছক্কা হাঁকিয়ে কাজটা সহজ করেন ইয়াসির। ডানহাতি ব্যাটসম্যান ৩০ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় করেন ৪৪ রান। মুশফিক মন্থর ইনিংসে খেলেন ৩৪ বল, রান করেন মাত্র ২৩। ঢাকার প্রথম জয়ের ম্যাচে তৃতীয় হারের স্বাদ পেল তামিমের বরিশাল।

চার ম্যাচ শেষে বরিশাল ও ঢাকা সমান দুটি করে পয়েন্ট পেয়েছে। সবার শেষ দুটি দল তারা। তবে নেট রান রেটে ঢাকার চেয়ে এগিয়ে থেকে চতুর্থ স্থানে বরিশাল।

Print Friendly, PDF & Email

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর