টিউশন ফি কমাতে চাওয়ায় শিক্ষার্থীদের হয়রানি

বিজয় দাস নেত্রকোনাঃ করোনাকালে স্কুলের টিউশন ফি কিছুটা মওকুফ করার দাবি করায় শিক্ষার্থীদের নানা ধরনের হয়রানিসহ পরে দেখে নেয়া হবে হুমকি দেয়া হয়।
এমন অভিযোগ উঠেছে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার মাঘান উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
বিষয়টি অবগত করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য রোববার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

মাঘান উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী একা আক্তার, অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী তৃষা আক্তার, রিয়া মনি আক্তার ও অনিক চন্দ্র সূত্রধর জানায়, গত ১৪ ডিসেম্বর করোনার কারণে পরিবারের আর্থিক সঙ্কটের কথা জানিয়ে আমরা দুইশত শিক্ষার্থী মিলে অর্ধেক টিউশন ফি কমানোর জন্য প্রধান শিক্ষক বরাবর লিখিতভাবে আবেদন করি। এতে স্যার আমাদের প্রতি  উল্টো ক্ষেপে যান। তাৎক্ষণিক সবাইকে ক্লাসরুমে নিয়ে টিউশন ফি পুরোটাই দেয়ার জন্য চাপ দেন।

পরে বিষয়টি নিয়ে ১৯ ডিসেম্বর আবার প্রধান শিক্ষকের কাছে গেলে পুরো টাকা পরিশোধ না করলে এসাইনম্যান্ট গ্রহণ করা হবে না বলে জানিয়ে দেন। সেইসাথে প্রমোশন আটকে দেয়াসহ ‘পরে দেখে নেয়া হবে’ বলেও হুমকি দিয়ে এক পর্যায়ে ক্লাসরুম থেকে আমাদের বের করে দেয়া হয়। খবর পেয়ে ছাত্র ইউনিয়নের জেলা-উপজেলা সংসদের নেতাকর্মী এসে আমাদের দাবির সাথে একমত জানায়।

শিক্ষার্থীরা জানায়,  রোববার বাধ্য হয়ে আমরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও শিক্ষা অফিসার বরাবর অভিযোগপত্র দিয়েছি। তাদের ক্ষোভ, আমরা পঞ্চাশ ভাগ টিউশন ফি মওকুফ চেয়েছিলাম। দশ ভাগ মওকুফ করলেও একটা স্বান্তনা পেতাম। উল্টো নিজের বিদ্যালয়ের শিক্ষদের হয়রানি, হুমকি-ধামকিতে আমরা মর্মাহত।

তবে শিক্ষার্থীদের হয়রানি বা হুমকির বিষয়টি সঠিক নয় বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবুল হাসান। তিনি জানান, স্কুলে ৭৫০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। সবার টিউশন ফি তো আর মওকুফ করা সম্ভব নয়। তবে দরিদ্র-মেধাবী ও অসহায় শিক্ষার্থীদের সবসময় আমরা বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকি।

বিষয়টি অবগত করে উপজেলা নিবার্হী অফিসার আরিফুজ্জামানের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, আজ আমি অফিসে ছিলাম না, তাই শিক্ষার্থীদের দেয়া অভিযোগটি এখনো হাতে পৌঁছেনি। পাওয়ার পর এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।

Print Friendly, PDF & Email

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর