বছরের শুরুতে আলোচনায় মেহজাবিন-অপূর্ব

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ ছোট পর্দার জনপ্রিয় জুটি মেহজাবিন চৌধুরী ও জিয়াউল ফারুক অপূর্ব। চলতি বছরের তৃতীয় দিন সিএমভির ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পায় এ জুটির ‘ক্যান্ডি ক্রাশ’ নামে একক নাটক। মুক্তির পর থেকে নেটিজেনদের প্রশংসা কুড়াচ্ছেন অপূর্ব-মেহজাবিন।

দেশ নয়, বিদেশের দর্শকরাও মুগ্ধতা প্রকাশ করছেন নাটকটি দেখে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে দিল্লীর দর্শক এ তালিকায় রয়েছেন। ভারতীয় দর্শকদের বেশিরভাগই মন্তব্য করছেন—‘নাটকটি দেখে মনে হচ্ছে ভারতীয় নাটকের চেয়ে কয়েক ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ।’ এছাড়া অপূর্ব-মেহজাবিন জুটির অসংখ্য ভক্তের উচ্ছ্বাস তো রয়েছেই!

‘ক্যান্ডি ক্রাশ’ নাটকটি রচনা ও পরিচালনা করেছেন মহিদুল মহিম। গত ৬ দিনে নাটকটির ভিউ দাঁড়িয়েছে ৩২ লাখ ৪৫ হাজারের বেশি। মন্তব্য পড়েছে ৮ হাজারের বেশি। যার সিংহভাগই ইতিবাচক।

বছরের শুরুতে এমন সফলতা প্রসঙ্গে অপূর্ব বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, বছরটা খুব ভালো একটি কাজ দিয়ে শুরু হয়েছে। নাটকটি থেকে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। দর্শকরা নাটকটি খুবই পছন্দ করেছেন এবং ব্যক্তিগতভাবে এই নাটক আমারও খুব পছন্দের। এতে নির্মাতা মহিদুল মহিম, আমার কো-আর্টিস্ট মেহজাবিন দারুণ সমর্থন দিয়েছেন। সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। নাটকটি না দেখলে দেখার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।’

এদিকে নির্মাতা মহিম মনে করেন, কোনো ভালো কাজ এককভাবে সম্ভব নয়। নাটকটি যৌথ প্রচেষ্টার ফসল। তার ভাষ্যে—‘নাটকটি নিয়ে দর্শকদের কাছ থেকে প্রচুর সাড়া পাচ্ছি। কাজটি অনেক যত্ন নিয়ে করার চেষ্টা করেছি। সবাই নাটকটি পছন্দ করায় কষ্ট সার্থক হয়েছে। আর অপূর্ব ভাইয়া ও মেহজাবিন আপুর দুর্দান্ত অভিনয় নাটকটিকে পূর্ণতা দিয়েছেন বলে আমি মনে করি।’

নাটকটি মুক্তির পর দর্শক দারুণভাবে গ্রহণ করুক এমন চাওয়াই ছিল মেহজাবিনের। আর তার পূর্ণ হয়েছে। বিষয়টি উল্লেখ করে এই অভিনেত্রী বলেন—‘আমাদের পুরো টিমের ইচ্ছা ছিল, নাটকটি যেন বছরের শুরুতেই সম্প্রচার হয়। কারণ ভারাক্রান্ত একটা বছর পেরিয়ে আমরা নতুন বছরটা শুরু করতে চেয়েছি হাসি-আনন্দ আর মজা দিয়ে। আমরা চেয়েছি, নাটকটি দেখে দর্শক একটু হাসবে, একটু এনজয় করবে। সেই চিন্তা থেকেই কাজটি করা। আমাদের পরিকল্পনাটি কাজে লেগেছে। দর্শকের উচ্ছ্বাস দেখে মনটা ভালো হয়ে গেছে।’

চিত্রনাট্যকারের প্রশংসা করে মেহজাবিন বলেন—‘চিত্রনাট্যের বিষয়ে বলব, মহিম ভাইয়ার প্লাস পয়েন্ট হচ্ছে তার সংলাপ লেখার গুণ। সে যখন লেখেন, একটার সঙ্গে আরেকটার এতো সুন্দর ম্যাচিং হয়, একটা ছন্দ থাকে তার লেখার মধ্যে। দর্শক একটার পর একটা লাইন শোনেন, আর মুগ্ধ হন। এমন চিত্রনাট্যে অভিনয় করলেও মজা লাগে। কাজটি করার সময় যেমন রেসপন্স আশা করেছিলাম, প্রচারের পর ঠিক তেমনই সাড়া পাচ্ছি। আশা করি, নাটকটি যারা এখানো দেখেনি, তারা দেখে নেবেন। দেখলে নিশ্চিত আনন্দ পাবেন।’

Print Friendly, PDF & Email

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর