কেয়ামতের দিন আল্লাহর সঙ্গে ঝগড়া করবে যে সূরা

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) এক ব্যক্তিকে বললেন, আমি কি তোমাকে এমন একটি হাদিস শোনাব, যা শুনে তুমি খুশি হবে? উত্তরে সে বলল, হ্যাঁ শোনান।

ইবনে আব্বাস (রা.) বললেন, তুমি নিজে সূরা মূলক পড় এবং পরিবারের সবাইকে ও প্রতিবেশীকে তা শিক্ষা দাও। কারণ এটি মুক্তিদানকারী ও ঝগড়াকারী।

কেয়ামতের দিন আল্লাহর সঙ্গে ঝগড়া করে তার পাঠকারীকে সে জাহান্নামের আজাব থেকে রক্ষা করবে এবং কবরের আজাব থেকে বাঁচিয়ে রাখবে।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমার একান্ত কামনা যে, এই সূরাটি আমার প্রত্যেক উম্মতের অন্তরে গেঁথে (মুখস্ত) থাকুক। (ইবনে কাসির)

হজরত আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোরআন শরীফে ৩০ আয়াত বিশিষ্ট একটি সূরা আছে, যা তার তিলাওয়াতকারীকে ক্ষমা করা পর্যন্ত তার জন্য সুপারিশ করতেই থাকবে। সূরাটি হলো তাবারকাল্লাযি বিয়াদিহিল মূলক। (আবু দাউদ)

এছাড়া সূরাটি নিয়মিত পাঠের আরও অনেক উপকারিতা রয়েছে।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি নিয়মিত সূরা মূলক তিলাওয়াতের আমল করবে সে কবরের আজাব থেকে মুক্তি পাবে। (তিরমিজি)

সুরা মূলক ৪১ বার তিলাওয়াত করলে সব বিপদ-আপদ হতে রক্ষা পাওয়া যায় এবং ঋণ পরিশোধ হয়।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সুরা মূলক তিলাওয়াত না করে রাতে ঘুমাতে যেতেন না। (তিরমিজি)

এ বর্ণনার উপর ভিত্তি করে আলেমরা এশার নামাজের পর সূরা মূলক তিলাওয়াতের আমল করার কথা বলেন।

 

সূরা মূলকের সারসংক্ষেপ

সূরা মূলক : ১-৩০

এ সূরা নাজিল হয়েছে মক্কায়। আয়াত সংখ্যা ৩০। রুকু সংখ্যা ২।

প্রথম ও দ্বিতীয় রুকু, ১ থেকে ৩০ নম্বর আয়াত। আল্লাহর মহত্ব ও বড়ত্ব এবং জীবন-মরণ সৃষ্টির উদ্দেশ্য বলে সূরা শুরু করা হয়েছে।

তারপর আল্লাহর সৃষ্টি নৈপুন্যের বর্ণনা দেয়া হয়েছে।  যারা এসব দেখেও অস্বীকার করে তাদের কঠোর হুশিয়ার করা হয়েছে।

শেষের দিকে বড় একটা অংশ আল্লাহ তায়ালা তার সৃষ্টির বিভিন্ন উপাদানের উপমা দিয়ে মানুষকে ইমানের প্রতি উদ্বুদ্ধ করেছেন।

Print Friendly, PDF & Email

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর