সূর্যমুখীর হাসিতে ঝলমলে দিনের স্বপ্ন আখাউড়ার চাষিদের চোখে

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ চারদিকে হলুদ রঙের সূর্যমুখী ফুলের মনমাতানো ঘ্রাণ আর মৌমাছির গুঞ্জনে মুখরিত হয়ে উঠেছে কৃষকের মাঠ। ভোর হলেই সোনা রোদে চোখ মেলে ঝলমলে র্সূযমুখী। সবুজ পাতার আড়ালে যেন সূর্যমুখী মুখ উঁচু করে আছে। এ যেন ফসলি জমি নয় এক দৃষ্টি নন্দন বাগান।

এমন মনোমুদ্ধকর দৃশ্য অবলোকনে শুধু প্রকৃতি প্রেমীই নয় যে কারো নজর কাড়বে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার উত্তর ইউপির চাঁনপুরের আনোয়ারপুর এলাকায় নয়ন জুড়ানো এমন দৃশ্য দেখা যায়। এ ফুলের নয়নাভিরাম দৃশ্য যেন সবাইকেই মোহিত করে।

কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন প্রতি বছর বাড়ছে সূর্যমুখীর চাষ। সবজিসহ অন্যসব ফসলের চেয়ে কম পরিশ্রম, সহজলভ্য উৎপাদন খরচ কম ও লাভ বেশি হওয়ায়  স্থানীয় কৃষকরা এ চাষে ঝুঁকছেন। সরকার কর্তৃক সব ধরনের সহায়তা পাওয়ায় এরইমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় র্সূযমুখির চাষে কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিসের সূত্রানুসারে, এবার মৌসুমে পৌর এলাকাসহ উপজেলার উত্তর, মোগড়া ও ধরখার ইউপিতে ২০ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী চাষ করা হয়। সরকারি সহায়তায় কৃষকের মাঝে সার বীজসহ আন্তপরিচর্যার জন্য বিঘা প্রতি ১৫শ টাকা দেয়া হয়। বেশিরভাগ কৃষক আর বিএস ২৭৫ ও হাইসান -৩৩ জাতের সূর্যমুখী আবাদ করেন। বর্তমানে স্থানীয় কৃষকরা এক প্রকার ফসলের ক্ষেতে পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।

কৃষকরা জানায়, ফসলের যে অবস্থা  কোন প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটলে এ মৌসুমে অন্যান্য ফসলের চেয়ে তারা সূর্যমুখী চাষে বেশি লাভবান হবেন।

উপজলোর উত্তর ইউপির চাঁনপুর গ্রামের র্সূযমুখী চাষী মো. ফজলু মিয়া ডেইলি বাংলাদেশকে জানান, আগে তিনি সবজিসহ অন্যান্য ফসল আবাদ করতেন। কিন্তু এ বছর উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে ১৫ শতক জায়গায় র্সূযমুখীর আবাদ করেছেন। কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে সূর্যমুখীর বীজ সার, নগদ টাকাসহ অন্যান্য উপকরনও পেয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, ফলনের যে অবস্থা আশা করছি এ চাষে ভালো লাভবান হব। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা লাভের আশায় র্সূযমুখী ফুলের চাষের মাধ্যমে  ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখেছেন।

উপজেলা উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. বিল্লাল হোসেন ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, সূর্যমুখী চাষ করতে প্রতিটি কৃষককে সার বীজসহ অন্যান্য উপকরণ দেয়া হয়। ফলন ভাল করতে কৃষকদেরকে নিয়মিত পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজেরা বেগম ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, এই উপজেলায় দিনদিন সূর্যমুখী চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলন ভাল করতে সব ধরনের পরামর্শ স্থানীয় কৃষকদের দেয়া হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ মৌসুমে র্সূযমুখীর বাম্পার ফলনের আশা করছেন তিনি।

Print Friendly, PDF & Email

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর