ভারতে একদিনে রেকর্ড শনাক্ত ৪ লাখ ১৪ হাজার ১৮৮, মৃত্যু ৩৯১৫

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও চার লাখ ১৪ হাজার ১৮৮ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এটিই এখন পর্যন্ত দেশটিতে একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত। দেশটিতে মোট শনাক্ত হয়েছেন দুই কোটি ১৪ লাখ ৯১ হাজার ৫৯৮ জন। সংক্রমণের দিক থেকে বিশ্বের মধ্যে ভারতের অবস্থান বর্তমানে দ্বিতীয়তে।

একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরও তিন হাজার ৯১৫ জন। গতকাল দেশটিতে সর্বোচ্চ তিন হাজার ৯৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনায় এ পর্যন্ত ভারতে মারা গেছেন দুই লাখ ৩৪ হাজার ৮৩ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও তিন লাখ ৩১ হাজার ৫০৭ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন এক কোটি ৭৬ লাখ ১২ হাজার ৩৫১ জন।

আজ শুক্রবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি মহারাষ্ট্রে। এরপর রয়েছে কর্ণাটক, কেরালা, উত্তর প্রদেশ, তামিলনাড়ু, দিল্লি, অন্ধ্রপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, ছত্তিশগড় ও রাজস্থান।

গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে শনাক্ত হয়েছেন ৬২ হাজার ১৯৪ জন।

ভারতে মোট শনাক্ত দুই কোটি ১৪ লাখ ৯১ হাজার ৫৯৮ জনের মধ্যে বর্তমানে আক্রান্ত রয়েছেন ৩৬ লাখ ৪৫ হাজার ১৬৪ জন

ভারতে এখন পর্যন্ত সাড়ে ১৬ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে এনডিটিভির প্রতিবেদনে।

ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে আরটি-পিসিআর ও অ্যান্টিজেন পদ্ধতিতে ১৮ লাখ ২৬ হাজার ৪৯০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। আর এখন পর্যন্ত পরীক্ষা করা হয়েছে ২৯ কোটি ৮৬ লাখ এক হাজার ৬৯৯টি নমুনা।

পরিসংখ্যান নিয়ে কাজ করা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, ভারতের মোট জনসংখ্যা ১৩৯ কোটির বেশি। সেখানে প্রতি ১০ লাখ মানুষের মধ্যে গড়ে দুই লাখ ১৪ হাজার ৫৯৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। আর বাংলাদেশে জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৬০ লাখের বেশি। এখানে প্রতি ১০ লাখ মানুষের মধ্যে গড়ে ৩৩ হাজার ৬১৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৩০ জানুয়ারি ভারতে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির করোনাভাইরাস রিসোর্স সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, সংক্রমণের দিক থেকে বর্তমানে বিশ্বে ভারতের অবস্থান দুই নম্বরে। ভারতের আগে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও পরে ব্রাজিল।

জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ কোটি ৫৬ লাখ ৫০ হাজার ২৫৮ জন এবং মারা গেছেন ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৯৬০ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন নয় কোটি ১৯ লাখ ২৯ হাজার ৩৬১ জন।

Print Friendly, PDF & Email

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর