খালেদা জিয়া টিকার এসএমএস পেয়েছেন, বাসায় নিতে চান

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ টানা ৫৩ দিন হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে ১৯ জুন রাতে বাসায় ফেরেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।করোনা ভ্যাকসিন (টিকা) নেওয়ার জন্য নিবন্ধনও করেছিলেন তিনি। সে অনুযায়ী টিকা নেওয়ার নির্ধারিত তারিখ উল্লেখ করে একটি এসএমএসও পেয়েছেন তিনি। কিন্তু তার বর্তমান শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় তাকে ঘরের বাইরে নেওয়াটা নিরাপদ মনে করছে না ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা।

আর এ জন্য টিকাকেন্দ্র নয় বরং বাসায় এসে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে ইতোমধ্যে সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে দলটি। জানা গেছে, গুলশানের নিজ বাসভবন ফিরোজায় করোনা টিকা নিতে চান খালেদা জিয়া। তার চিকিৎসকরাও মনে করছেন, বর্তমানে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। এ অবস্থায় তার বাসার বাইরে যাওয়া কোনোভাবেই নিরাপদ নয়। তাই সরকার যেন তার বাসায় গিয়ে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করে। এ জন্য সরকারের একজন মন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

খালেদা জিয়া টিকা নেওয়ার এসএমএস পেয়েছেন কি না জানতে চাইলে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, এটা তো একটা আনুষ্ঠানিকতা। সেটা এসেছে। কবে তিনি টিকা নেবেন জানতে চাইলে ডা. জাহিদ বলেন, ঈদের আগেই যে কোনো সময় টিকা নিতে পারেন ম্যাডাম। কবে তিনি টিকা নেবেন সেটা এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার বলেন, এসএমএসে কবে টিকা নেওয়ার তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে সেটি জানি না। এটি ডা. জাহিদ হোসেন জানেন। তবে, ম্যাডামের চিকিৎসকরা এই মুহূর্তে তাকে বাইরে নেওয়া নিরাপদ মনে করছেন না। তারা চাচ্ছেন ম্যাডামকে বাসায় রেখেই টিকা নেওয়ার ব্যবস্থা করতে। এ জন্য দলের মহাসচিব (মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর) ইতোমধ্যে যোগাযোগ শুরু করেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপি চেয়ারপারসনের একটি সূত্র জানায়, এসএমএসে খালেদা জিয়ার টিকা নেওয়ার তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে ১৯ জুলাই (সোমবার)। তবে কোথায় কখন টিকা নেবেন তিনি তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। এ ক্ষেত্রে দলের পক্ষ থেকে সরকারের সহযোগিতা কামনা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, গত ৮ জুলাই টিকা নিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ‘সুরক্ষা’ ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করেন খালেদা জিয়া। নিবন্ধনে টিকার কেন্দ্র নির্বাচন করা হয় মহাখালীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল।

Print Friendly, PDF & Email

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর