আয়কর অফিসের নাইটগার্ড সরোয়ার এখন কোটিপতি

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ মাদারীপুরের আয়কর অফিসের এক নাইটগার্ডের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের হয়রানি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত সরোয়ার হোসেনের দায়িত্বপালন করার কথা ঢাকা আয়কর অঞ্চল-৭ এ। কিন্তু তিনি থাকেন মাদারীপুর। মাদারীপুরের বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের আয়কর ফাইল তিনিই দেখভাল করেন।

স্থানীয়রা জানেন তিনি আয়কর অফিসের অফিসার। কথাবার্তায় চালচলন অফিসারের মতোই। মাদারীপুর জেলা অফিসের কাউকে পরোয়া করেন না। মাদারীপুর শহরের ব্যবসায়ী তার ভয়ে সব সময় তটস্থ থাকেন। ব্যবসায়ীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে হাতিয়ে নেন লাখ লাখ টাকা।

একাধিক ব্যবসায়ী জানান, সরোয়ার নিজেকে আয়কর অফিসের অফিসার পরিচয় দিয়ে ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখি লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। তার বাবা একজন কৃষক হলেও তিনি মাদারীপুর সদর উপজেলার ঘটমাঝি এলাকায় প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করেছেন বহুতল ভবন।
স্থানীয়দের তথ্য মতে ঢাকাতেও তার নামে বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ রয়েছে। তিনি নাইটগার্ড এর চাকরি করলেও খুলেছেন আয়কর ফাইল।

কোথায় পেলেন তিনি এতো টাকা? এর সদুত্তর নেই তার কাছেও। অভিযোগ উঠেছে, চাকরী নাইটগার্ডের পদে হলেও কখনও রাতে তিনি অফিস পাহারা দেন না। অর্থবিত্ত ও টাকার জোরে তিনিই এখন মাদারীপুর আয়কর অফিসের নিয়ন্ত্রক।

এ ব্যাপারে নাইট গার্ড সরোয়ার বলেন, আমি অফিস সহায়ক। স্থানীয় ও আমার আত্মীয় স্বজনরা কর রিটার্ন সংশ্লিষ্ট নানা সমস্যার কারণে আমার কাছে আসে। আমি আত্মীয়তার কারণে তাদের দুই চারটি কাজে সহযোগিতা করি। এখানে আমার তো কোন ভুল নাই।

তিনি আরো বলেন, আমার দুই তলা বিল্ডিংসহ এলাকার জায়গা জমি আমার পারিবারিক। তার নামে যে অভিযোগ দেওয়া হচ্ছে তা ভিত্তিহীন বলেও তিনি দাবি করেন।

মাদারীপুর আয়কর অফিসের উপ-পরিচালক আক্তারুজ্জামান বলেন, সরোয়ার ঢাকা আয়কর অঞ্চল-৭ এর একজন নাইটগার্ড। মাদারীপুরে অফিসের কাজে আসলে সেই সুবাদে কথা হয়। তাকে আমি চিনি। তবে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের বিষয়ে আমি সংশ্লিষ্ট স্যারদের জানিয়েছি। তিনি জেলায় থেকে কারো ফাইল করা বা ভয়ভীতি দেখানোর কোনো সুযোগ নেই। যদি এটা তিনি করে থাকেন তিনি অন্যায় করেছেন। বিষয়টি আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।

Print Friendly, PDF & Email

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর